ইউকে ভিজিট ভিসা ২০২৩ : বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশী লোকেরা ইউকে ভিসা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন?
তাই আজ আমি তাদের কথা চিন্তা করে, ইউকে ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ইউকে ভিজিট ভিসা ২০২৩
আপনি যদি ইউকে প্রথম অবস্থায় ভিজিট করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাসের জন্য এপ্লাই করতে হবে।
এখন কেউ যদি ছয় মাসের ভিজিট ভিসা পেয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সময়মত নিয়ম অনুযায়ী 6 মাস এর ভিতরে নিজ দেশে ফেরত আসে।
সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে এক বছরের জন্য এপ্লাই করতে পারবে।
কিন্তু ভিসা পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আপনার নিজের অবস্থান এর এবং ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর করবে।
ভিসা আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আমরা আর্টিকেলের শুরুতে আপনাকে বলে রাখতে চাই, আপনি যদি ইউকেতে যেতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসায়ী হতে হবে।
এছাড়া প্রাইভেট বা সরকারি যেকোনো চাকরিজীবী হতে হবে।
কারণ নিজেকে প্রমাণ করতে হবে কি জন্য আপনি ইউকেতে ভিজিট করবেন। আবার নিয়ম অনুযায়ী দেশে ফিরে আসবেন। মনে করুন আপনার নিজের একটি ব্যবসা বা চাকরি রয়েছে।
সেক্ষেত্রে আপনার যা যা লাগবে ?
সেগুলো হলো-
- আপনি যদি ব্যবসায়ী হন। সে ক্ষেত্রে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স।
- আপনি যদি চাকরিজীবী হন। সে ক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে ভিজিট পারমিশন লেটার এবং ভিজিট করে আবার চাকরিতে যোগদান করবেন। সেটা উল্লেখ করতে হবে।
- আবার আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ভিজিটিং কার্ড লাগবে।
- আপনি কি ধরনের ব্যবসা করেন তার প্রমাণপত্র লাগবে। কারন আপনি ক্লায়েন্ট এর সাথে কি ধরনের ব্যবসা করছেন। বা কি ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন তা রিসিপ্ট প্রমাণ করতে হবে।
- তো আপনারা যারা চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী, আপনার নিজস্ব কিছু সম্পদ থাকতে পারে। তার নোটারি পাবলিক ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।
- আপনার কমপক্ষে ছয় মাসের পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে।
- বিভিন্ন দেশে ভিজিট করার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হবে। যেমন- মালয়েশিয়া বা ভারতে।
- আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্টের ছয় মাস এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
তো আপনি যদি ইউকে ভিজিট ভিসা করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
সেগুলো হল-
- ভিসা পুরনকৃত আবেদন ফরম।
- পেমেন্ট পরিশোধের লেটার।
- এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন প্রিন্ট কপি।
- এক বছর মেয়াদে পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজের ব্যক্তির ছবি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- স্টুডেন্ট হলে, ইউনিভার্সিটি হতে হলিডে লেটার।
- চাকরিজীবী হলে কোম্পানির ছুটির লেটার।
- চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে তিন মাসের স্যালারি স্লিপ।
- ব্যবসায়ী হলে, বিজনেস রেজিস্ট্রেশন পেপার।
- ব্যবসায়ী হলে সর্বশেষ তিন মাসের ব্যালেন্স শীট। ইত্যাদি।
তো আপনারা যদি উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনারা খুব সহজেই ইউকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউকে ভিসা আবেদন
তো আপনি যদি ইউকে ভিসা করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইন প্লাটফর্মে গিয়ে ইউকে ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।
তোকে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনারা এই gov.uk/check-uk-visa লিংকে প্রবেশ করুন।
আপনারা কোন ক্যাটেগরের ভিসা করতে চান? সেটি নির্ধারণ করে, প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করবেন। তারপর ইউকে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করে হয়ে গেলে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি কনফার্ম করতে হবে।
আর ইউকে ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করার জন্য আপনারা পেপাল, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড ইত্যাদি পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে, পরিশোধ করতে পারবেন।
আর ইউকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি হচ্ছে ১৯৩ ইউরো সার্ভিস চার্জসহ।
আপনারা ইউকে ভিসা আবেদন করে ফি পরিশোধ করার পর। ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বা এম্বাসির কন্সুলার সেকশন এ এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার তারিখ এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার পরে সম্পূর্ণ এপ্লিকেশন ফর্ম এবং ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফ্রি কনফার্মেশন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে যেকোনো সময় অনলাইন থেকে অ্যাপ্লিকেশন করে পেমেন্ট পরিশোধের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ইউকে ভিসা ইন্টারভিউ
ইউকে যাওয়ার জন্য মানে ইউকে ভিসা করার জন্য সকল প্রকার কাগজপত্র নিয়ে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে প্রবেশ করবেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন লেটারে স্থান এবং তারিখ লেখা থাকবে।
আপনারা যখন ইউকে ভিসা ইন্টারভিউ দিতে যাবেন। সেখানে কমপক্ষে 15 মিনিট আগে ইন্টারভিউ এবং বায়োমেট্রিকের জন্য হাজির হবেন।
ইউকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর আপনাকে ফরমাল কিছু প্রশ্ন করবে।
তারপর বায়োমেট্রিক মানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে। আপনারা চাইলে সকল প্রকার কাগজপত্র অরিজিনাল জমা দিতে পারেন।
তারা আপনার ইউকে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম আর আপনার রেমিটেন্সের কপি বাদ দিয়ে সকল প্রকার কাগজপত্র ফেরত দিয়ে দিবে।
ইউ কে ভিসা আবেদনের দিন থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে সাধারণভাবে বিচার ডিসিশন পেলে বা রিজেক্ট হলে পোষ্টের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট বাসায় ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হবে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আমরা আজকের এই আর্টিকেলে, আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম ইউকে ভিজিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে।
তো আপনি যদি ইউকে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান? বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা খুব সহজে ভিসা করে নিতে পারবেন।
তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।