পুরাতন ভোটার যারা স্মার্ট কার্ড পাননি তাদের জন্য পরামর্শ : আপনি যদি পুরাতন ভোটার ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল এবং ২০০৯ সালের দিকে ভোটার হওয়া সত্বেও স্মার্ট কার্ড এখনো পাননি।
স্মার্ট কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে গেলে হয়তো আপনাকে বলা হয়েছিল আপনার কার্ড Not Found হয়েছে এছাড়া প্রিন্টিং প্রোগ্রেস চলমান রয়েছে।
আপনারা পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে কার্ড সংগ্রহ করবেন।
এরকম ভাবে বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে অনেক পুরাতন ভোটারদের তারপর দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ার পরে হাতে পায়নি স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র।
বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর গুরুত্ব এতটাই বেড়েছে যে জাতীয় পরিচয় ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোন কিছুই চিন্তা করা সম্ভব হয় না।
বিশেষ করে, আপনি চাকরির জন্য আবেদন করবেন। বেতন ভাতা তুলবেন, সিম কিনবেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলবেন, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট করবেন, পাসপোর্ট করবেন, ভিসা করবেন, জমি কিনা, বিক্রি করা সহ প্রায় সকল কাজে। জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর ব্যবহার করা হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই।
যাদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে
2007-2008 সাল থেকে শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত যারা ভোটার হয়েছে তাদের সকলকেই পেপার লেমিনিটেট জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়েছিল। যেটিকে আমরা অনেকেই ভোটার আইডি কার্ড বলে থাকি বা চিনা থাকি।
২০১৪ সাল এবং ২০১৫ সালের ভোটারদেরকে সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড না দিয়ে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তারপরে অনেক প্রতীক্ষার পরে ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের ভোটার থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হওয়া সকল ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়।
এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে যারা এখনো স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারেনি।
তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে পুরাতন কার্ড গ্রহণ করতে পারেন। ২০১৯ সালের হালনাগাদকৃত যারা নতুন ভোটার হয়েছে। তাদের স্মার্ট কার্ড খুব দ্রুত সময় এর মধ্যে চলে আসে এবং সেগুলো বিতরণ করা হয়।
যাদের স্মার্ট কার্ড এখনো আসেনি
2017 সালে যারা ভোটার হয়েছে তাদের স্মার্ট কার্ড এখনো আসেনি। 2015 এবং 2019 সালে কিছু আন্ডারেজ ভোটার যাদেরকে আঠারো বছর বয়স না হতেই ভোট নিমন্ত্রণ করা হয় তাদের স্মার্ট কার্ড এখনো আসেনি।
কিন্তু সময় মত তাদেরকে পেপার লেমিনেটেড সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড প্রদান করা হয়।
2019 সালের Underage ভোটারদের মাঝে পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ না করা হলেও। অনলাইন সিস্টেম থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
যাতে করে তারা তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ভোটারের হাতে, জাতীয় পরিচয় পত্র তুলে দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড এখনো আসেনি তারাও স্মার্ট কার্ড পাবেন। তবে হয়তো কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে।
2007-2008 সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত হওয়া সকল ভোটার এর মধ্যে কিছু ভোটার রয়েছে যাদের স্মার্ট কার্ড আসেনি।
কিন্তু তাদের বেশিরভাগ ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ভোটার হয়েছে। কেন তাদের স্মার্ট কার্ড আসেনি এই প্রশ্নের আশানুরূপ কোন উত্তর এখনো ভোটাররা পায়নি।
আপনার এলাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ হওয়ার সময় আপনি হয়তো সকাল সকাল খাবার খেয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণের কেন্দ্রে গিয়ে দেখলেন দীর্ঘ লাইন সবাই দাঁড়িয়ে আছে।
কার্ড নেওয়ার জন্য সবাই কার্ড আছে এবং সেই সাথে আপনিও দাঁড়িয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে গরমে দাঁড়িয়ে থেকে। যখন আপনার সিরিয়াল আসলো তখন অপারেটর আপনাকে বলল। আপনার স্মার্ট কার্ড আসেনি এবং কার্ড ব্যাক পার্টে সাদা কাগজ পিন করে লিখে দিল স্মার্ট কার্ড নট ফাউন্ড।
আপনি হয়তো সেখান থেকে একটু পরামর্শ পেয়ে গেছেন যে কয়েক মাস পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নেবেন।
আপনার কার্ড হয়তো কিছুদিনের মধ্যে চলে আসবেন। নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিলে বলা হয় যে কাট হয়েছে। সেগুলো আমাদের কাছে এখনো আসেনি আসলে আমরা পুনরায় বিতরণ করে দেব। আপনি আপাতত পুনরায় কার্ডটির ব্যবহার করতে থাকেন। পেপার লেমিনেটেড দিয়ে আপনার সব কাজই হবে।
এরকমভাবে মাসের পর মাস যাওয়ার পরেও স্মার্ট কার্ড আসে না। একই সাথে ভোটার হয়েছে একই সাথে কার্ড গ্রহণ করেছে অন্যজন কার্ড হাতে পেলেও আপনি কেন পাচ্ছেন না।
তার কারণ আপনার তথ্যে মধ্যে সমস্যা রয়েছে বিধায় আপনার স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়নি। আর ততদিন স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হবে না। যতদিন না আপনি আপনার এন আইডি কার্ডের তথ্যগুলো সংশোধন করছেন।
যাদের স্মার্ট কার্ড Not Found হয়েছে তাদের জন্য করণীয়
যারা পুরাতন ভোটার এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি বা স্মার্ট কার্ড এর আওতায় রয়েছে তারা পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে চলে যাবেন।
হেলপ ট্যাক্সে যিনি দায়িত্ব পালন করে তার কাছে গিয়ে বলবেন। আমার সাথে হওয়া সকল ভোটার স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করেছে। আমি পুরাতন ভোটার হওয়া সত্ত্বেও স্মার্ট কার্ড পাইনি।
আমার কার্ডের তথ্য কোন অসঙ্গতি বা ভুল আছে কিনা আমি সেটি যাচাই করতে চাই। এছাড়া অফিস স্টাফদের বলবেন কি সমস্যার জন্য আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়নি।
আপনার কি স্মার্ট কার্ড কেন তৈরি হয়নি তারা আপনাকে জানিয়ে দেবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনি যদি ভোটার হয়েছিলেন তখন যে ২নং ফর্ম পূরণ করা হয়েছিল সেখানে আপনার সম্পর্কে প্রায় যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে থেকে কোন না কোন তথ্য ভুল রয়েছে।
আপনার বিস্তারিত তথ্য প্রিন্ট আউট করে নেবেন এবং এক এক করে আপনার প্রতিটি তথ্য নিজে নিজে যাচাই করে দেখবেন। অন্য কাউকে বলবেন না যে ভাই আমার একটা চেক করে দেখেন ঠিক আছে কিনা।
তাহলে আবার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ আপনার সঠিক তথ্য কি সেটাই আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না।
সকল প্রকার তথ্য যাচাই করে নেওয়ার পর যেগুলো ভুল খুঁজে পাবেন সেগুলো সংশোধন করে নিতে হবে। সে ভুলগুলোর মধ্যে আবার অনেকগুলো তথ্য থাকতে পারে।
একটি আবেদনে সব ভুল তথ্য সংশোধন করে নিতে পারবেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার ভুল থাকে, পাসপোর্ট নাম্বার ভুল থাকে ইত্যাদি।
এছাড়া হতে পারে আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে যতগুলো ভুল থাকুক না কেন? সবগুলো সংশোধন ফর্মে উল্লেখ করে দেবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হলো, পুরাতন ভোটার যারা স্মার্ট এনআইডি কার্ড পাননি তাদের জন্য পারামর্শ সম্পর্কে।
তো আপনি যদি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকেন এখনো স্মার্ট এনআইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন আপনার আইডি কার্ড যদি নট ফাউন্ড হয়।
তাহলে আপনারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে তথ্য ভুল থাকলে। সেগুলো সংশোধন এর জন্য আবেদন করবেন।
তারপর আপনারা পুনরায় স্মার্ট এন আই ডি কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর এই বিষয়টি আপনার বন্ধুদের জানাতে নিচে থাকা যেকোনো একটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।