মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

বর্তমান সময়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে আপনি আপনার জমা করা সঞ্জয়কে কোন ফান্ডে জমা করবেন এবং আপনার সেই জমাকৃত সঞ্জয় কে অন্য কোন কাজে বিনিয়োগ করা হবে।

মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?
মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

আর সেই বিনিয়োগ থেকে যে পরিমাণের আসবে সেই লভাংশের, টাকাটি আপনি দাবিদার হবেন। তবে আপনি কি জানেন মিউচুয়াল ফান্ড কি। আর মিউচুয়াল ফান্ডে কী পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা যায়।

আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের এ বিষয়ের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মিউচুয়াল ফান্ড কি ?

মিউচুয়াল ফান্ড হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ ফান্ড স্কিম এর সমন্বয়। যার মাধ্যমে আপনার অথবা আমাদের মত সাধারন মানুষরা বিনিয়োগ করতে পারে। আর সেই বিনিয়োগের টাকা গুলো পুনরায় অন্য একটি কাজে নিয়োগ করা হয়।

মূলত এটিই মিউচুয়াল ফান্ডের মূল কার্যক্রম। আমাদের মত সাধারন মানুষদের থেকে বিনিয়োগ করা টাকা গুলো অন্যদের, কোন কাজে পুনরায় বিনিয়োগ করার জন্য এমন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি রয়েছে।

আর একটি কোম্পানিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিম্বা ফান্ড কে পরিচালনা করার জন্য আলাদা আলাদাভাবে ম্যানেজার রয়েছে। প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে এই কাজগুলোতে সবসময় ম্যানেজারকে নিয়োগ দেয়া হয়।

তাদের শেয়ার বাজার সম্পর্কিত অনেক ভালো ধারণা থাকে যাতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বিনিয়োগ করা টাকা গুলো থেকে কোন প্রকার লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করে থাকে তাদের বিনিয়োগকারীরা যাতে লাভবান হয়।

আরো পড়ুনঃ

মিউচুয়াল ফান্ড মানে কি?

আপনি উপরের আলোচনা থেকে মিউচুয়াল ফান্ড কি? এবিষয়ে জেনেছেন আপনি এতে করে, উপরের আলোচনা থেকে মিউচুয়াল ফান্ডের মানে কি? এটি নাও বুঝতে পারেন। তাই এখন আমরা পরিস্কার ধারণা আপনাকে জানিয়ে দেবো।

মনে করুন আপনার কাছে কিছু পরিমাণ এর টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রয়েছে। এখন আপনি আপনার কাছে জমা থাকা সঞ্জয়কে কোন কাজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

তবে কোথায় বিনিয়োগ করলে আপনি অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। এই পরিস্থিতে আপনার উচিত হবে আপনার জামাইকে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা।

তার কারণ আপনার মত এখন অনেক লোক আছে যারা মূলত তাদের জমা করা সঞ্জয়কে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকে। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে কেন মানুষকে মিউচুয়াল ফান্ডে তাদের জমাকৃত টাকা বিনিয়োগ করবে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের এই মাধ্যমটি হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের স্ক্রীম।

যার মাধ্যমে আপনার মতো আরও অসংখ্য মানুষ এই স্ক্রিমে বিনিয়োগ করে। আর এরকম ভাবে যখন অনেক লোক বিনিয়োগ করবে তখন একটা মোটা অংকের টাকা জমা হয়ে যাবে। আর সেই জমাকৃত টাকার অংক পুনরায় আবার অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করা হবে। মূলত এটি হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ড এর মূল কাজ।

SBI মিউচুয়াল ফান্ড কি ?

মিউচুয়াল ফান্ড এর মানে কি সেটি জানিয়েছেন এর পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে এস বি আই মিউচুয়াল ফান্ড কি। আর এটি হচ্ছে- ইন্ডিয়ার সব থেকে একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। আইএসবি এর বিস্তৃতি এতটাই বৃহৎ যে এই কোম্পানির আওতায় আরো বিভিন্ন ছোট ছোট বেসরকারি কোম্পানি গুলো কাজ করে থাকে।

সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে এস বি আই মিউচুয়াল ফান্ড 2317 বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে এস বি আই মিউচুয়াল ফান্ড এর জনপ্রিয়তা অনেক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর আপনি যদি ইন্ডিয়ান প্যান স্তর এর চিন্তা করেন। তাহলে আপনার দেখতে পারবেন এস বি আই মিউচুয়াল ফান্ডে প্রায় 200 টিরও বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

আর সবথেকে অবাক করার বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়ে এই মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ লাখেরও বেশি।

মিউচুয়াল ফান্ড এর কাজ কি ?

মিউচুয়াল ফান্ড কি বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনাকে জানতে হবে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড এর কাজ কি। মিউচুয়াল ফান্ডে আপনি প্রধানত দুই ধরনের কাজ দেখতে পারবেন যেমন বিনিয়োগ গ্রহণ করা এবং পুনরায় বিনিয়োগ করা।

বিনিয়োগ গ্রহন করা

কোন একটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে বিনিয়োগকারীর শত টাকা জমা করা। যেখানে মূলত আপনার বা আপনাদের মত সাধারণ লোকেরা একটি স্ক্রিম তৈরি করে সেই ফান্ডের টাকা জমা করতে পারবে।

এছাড়া সাধারন জনগনের বিনিয়োগ করা টাকাগুলো কে জমা রাখা হলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর প্রথম কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।

পুনরায় বিনিয়োগ করা

একটি স্ক্রিম তৈরি করে, আমাদের মত সাধারন মানুষদের যে, পরিমাণ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে জমা করে রাখা হয়। সে টাকাগুলো কে পুনরায় আবার অন্য কোন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হলো মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয়তঃ কাজ।

যাতে করে বিনিয়োগকারীরা তাদের জমাকৃত টাকা থেকে অধিক পরিমাণে লাভ গ্রহণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে মিউচুয়াল ফান্ড কাজ করা যায়।

আরো পড়ুনঃ

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রকার ?

আপনি যদি একান্ত ভাবে জানতে চান যে মিউচুয়াল ফান্ড কত প্রকার তাহলে আমি আপনাকে জানাবো বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডের দেখতে পারবেন।

এর কারণ প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা কোম্পানির কাছে বিভিন্ন স্ক্রিম থাকে। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে মিউচুয়াল ফান্ড কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-

  1. Structure Mutual Fund
  2. Asset Mutual Fund
  3. Interval Mutual Fund

মিউচুয়াল ফান্ড এর সুবিধা কি?

আপনি যদি একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তবে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার পড়ে আপনি আসলে কি কি সুবিধা পাবেন সেগুলো আমরা আপনাকে এখানে জানাবো সংক্ষিপ্তভাবে যেমন-

নিরাপত্তা

আমাদের মধ্যে অনেক লোক আছে যারা মূলত মনে করে যে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখা মানেই রিস্ক। যারা এই ধারণা নিয়ে, বসবাস করছেন তাদের জানাতে চাই যে বর্তমান সময়ে কিন্তু সরকারিভাবে অনেক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডের কোম্পানি রয়েছে।

কারণ মিউচুয়াল ফান্ড এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনি একেবারে নিশ্চিন্তে আপনার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন আর বিনিয়োগ করা টাকা নিরাপত্তা মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি থেকে প্রদান করা হবে।

পুনরায় বিনিয়োগ

এখানে বিনিয়োগ করা টাকা গুলো তৈরি হবে আর সেই সবথেকে আপনি  একটি বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন। সবথেকে ভালো বিষয় হলো এই বাড়তি টাকা গুলো পুনরায় যেকোনো স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে।

যার মাধ্যমে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

অধিক লেনদেন করাতে কম খরচ

আপনি কোন একটি মিউচুয়াল ফান্ডে যত বেশি আপনার খরচের পরিমাণ কমতে থাকবে। এর কারণ হলো প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ড এর সুবিধা। যেখানে ইউনিট কেনার পরিমাণ যত বেশি বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি ভাবে খরচ এর পরিমাণ হ্রাস পেতে শুরু করবে।

মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করব ?

আপনি চাইলে সহজেই যেকোনো ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সে জন্য আপনার নিকট কোন মিউচুয়াল ফান্ড এগিয়ে মাত্র কয়েকটা ধাপ অনুসরণ করে সহজেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে নিতে পারবেন।

মনে করুন আপনি যে জেলায় বসবাস করেন বাজে থানায় বসবাস করেন সেখানে যদি কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের কোম্পানি থাকে সেখানে আপনি যোগাযোগ করে আপনার কিছু পার্সোনাল তথ্য দিয়ে যেমন ভোটার আইডি কার্ড ছবি ইত্যাদি ডকুমেন্ট যুক্ত করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনাদের নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।

যা থেকে আপনারা ভালো পরিমাণে লাভ অংশ গ্রহন করতে পারবেন মাসিক ভিত্তিতে বাৎসরিক ভিত্তিতে। তাই আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা জমাতে চান তাহলে অবশ্যই আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হলো মিউচুয়াল ফান্ড কি? এবং মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করতে হয়। আপনি যদি এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি শেয়ার করে দিবেন।

ট্যাগঃ মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ? মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ? মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ? মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ? মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

আর মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে আরও কোন তথ্য জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট করতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 thought on “মিউচুয়াল ফান্ড কি ? মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?”

Scroll to Top