ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা : বর্তমান সময়ে, আমাদের বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ইংল্যান্ড যেতে আগ্রহী থাকে।
অনেকে আছে কোন কিছু না জেনে বুঝেই ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তথ্যগত ভুল, সঠিকভাবে আবেদন না করার জন্য, ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা বাতিল হয়ে যায়।
সেজন্য আজ আমাদের আর্টিকেলে, ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।
ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা আবেদন করতে কি কি শর্ত রয়েছে। সে গুলো অবশ্যই অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। তার সবকিছুই আমি আজকের এই আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান। আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনি যদি ইংল্যান্ডে গমন করতে চান? সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরিতে যেতে পারবেন।
যেমন- ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, একাডেমিক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, চিকিৎসা ভিসা ইত্যাদি।
আপনারা এই ধরনের বিভিন্ন অনুযায়ী ইংল্যান্ডে গমন করতে পারবেন। এছাড়া খুব সহজেই নিজে নিজে ইংল্যান্ডের ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা আবেদন পদ্ধতি
আপনি যদি ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান? তাহলে আপনাকে অ্যাম্বাসি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
ইংল্যান্ডের ভিসা নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা অ্যাম্বাসির নির্দেশনা মতে আবেদন করতে পারবেন।
সর্বপ্রথম আপনারা সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করবেন। তারপর সেখানে ফর্ম অবশ্যই ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। ভিসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের ফি পরিশোধ করতে হবে।
আপনারা বিভিন্ন ব্যাংকিং কার্ড ব্যবহার করেও ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা ফি জমা দিতে পারবেন।
আপনারা ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা ফরম পূরণ করার পর, অবশ্যই এক কপি প্রিন্ট আউট করে সংগ্রহ করবেন। ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা সম্পর্কে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, দলিল এর মূল কপি এবং ফটোকপি সাথে রাখতে হবে, বাংলাতে হলে সেগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে করতে হবে।
ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসার নির্ধারিত সাক্ষাৎকার তারিখে অবশ্যই স্ব শরীরে ভিসা সেন্টারে উপস্থিত হতে হবে।
সাক্ষাৎকার করার দিনে অবশ্যই সময়মতো এম্বাসিতে পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। তারপর, আপনার রশিদ, আপনার ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট সংগ্রহ করার সময় প্রয়োজন হবে।
এছাড়া আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুধুমাত্র একবারই সাবমিট করতে পারবেন। পরবর্তীতে আর কোন সুযোগ দেয়া হবে না। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সাথে রাখবেন।
ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা প্রার্থীদের ভিসা সেন্টারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সদ্য তোলা ছবি জমা দিতে হবে। এ ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনার ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে না।
ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
তো আপনি যদি ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা করার জন্য একজন প্রার্থী হয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। আর সে বিষয়ে আমি এখানে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করছি।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা করার জন্য প্রার্থীদের যে ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
সেগুলো হচ্ছে-
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট- কমপক্ষে ০৬ মাস মেয়াদের হতে হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট ফটোকপি- ০১ কপি।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ২ কপি ছবি। যা (35 এমএম হতে 45 এমএম) এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের।
- আবেদনকারী চাকরিজীবী হলে ছুটির সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারী চাকরিজীবী হলে অফিস আইডি কার্ডের কপি।
- আবেদনকারী ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স।
- আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠানের পেট এবং ভিজিটিং কার্ড।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- আবেদনকারীর টিআইএন সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্কুল আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন।
- সম্পত্তির দলিল।
- বৈবাহিক/ কাবিননামা সনদপত্র।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইত্যাদি।
আপনারা ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা পেতে চাইলে, অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ইন্টারভিউ এর উপর নির্ভর করবে।
কোন কারণবশত ভিসা না হলে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ভিসা প্রসেসিং ফি সম্পন্ন অফেরৎযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ভিসা আবেদন ঠিকানা
আপনি যদি ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান? তাহলে নেতা দেওয়া ঠিকানায় আবেদন করতে হবে।
ভিএসএফ
সায়মন বিল্ডিং গুলশান-১ ঢাকা।
আবেদন জমার সময়- প্রতিদিন সকাল- ৮.৩০ হতে ১২.০০ টা আবার দুপুর ২.০০ হতে ৩.০০ টা পর্যন্ত। (শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ)
তো আপনার যদি কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকে। তাহলে ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হলে, ইন্টারভিউ এর প্রয়োজন হবে না।
ভিসা আবেদন জমা দেয়ার পর সাধারণত দিন থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কোন কোন সময় আরো বেশিও লাগতে পারে ভিসা সম্পন্ন হওয়ার।
ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ কত ?
তো আপনারা যারা ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা নিয়ে গমন করতে চান? তারা উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী যদি কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সহজেই ইংল্যান্ড গমন করতে পারবেন।
এখন আমি আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি, ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা প্রসেসিং খরচ কত? যা অফেরতযোগ্য –
- ভিসা ফি- 8060/- (ভিএসএফ কে প্রদান করতে হবে)।
- সার্ভিস চার্জ- 5000/- (এজেন্টদের দিতে হবে)।
- অরিজিনাল হোটেল বুকিং- 5000/- (এজেন্টদের দিতে হবে)।
- সর্বমোট- 18,060/- টাকা ভিসা প্রসেসিং খরচ হবে।
তো বন্ধুরা আপনারা উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসা খুব সহজে করে নিতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
আমরা এখানে ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের লেখা আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আর বিশেষ করে ইংল্যান্ড ভিজিট ভিসা সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন দেশের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে, নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।