৭ টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি || চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি খোঁজার জন্য গুগল সন্ধান করে থাকেন। অনেকে প্রশ্ন করেন যে আসলে কি অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়, কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়, অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি কোনগুলো।

আপনি যদি এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে এমন অসংখ্য লোক রয়েছে। যারা এখনো অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। তো আপনি যদি আমাদের লেখাটি পড়েন তাহলে আপনার অনেক কাজে আসবে।

কারণ আমরা অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবো। সে অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারলে মাসে ভালো পরিমান টাকা রোজগার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে, অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক।

৭ টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
৭ টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি

অনলাইন ইনকাম কি?

আপনাদের যদি সহজ ভাষায় বলি, আপনি অনলাইন থেকে যে, পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করবেন। তাকেই অনলাইন ইনকাম বলা হয়।

আমরা যেরকম ভাবে বাস্তব জীবনে টাকা ইনকাম করার জন্য চাকরি করি। তেমনি ভাবে আপনি অনলাইনে গিয়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে চাকরি করার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু আমাদের মাঝে অসংখ্য লোক রয়েছে। যারা মনে করে থাকে অনলাইন থেকে বসে বসেই ইনকাম করা যায়। কিন্তু বিষয়টি সেরকম না এখানেও আপনাকে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে হবে।

বিশেষ করে আমরা যখন কোন চাকরি করি তখন যেভাবে আমরা অফিস গিয়ে কাজ করে ঠিক তেমনি আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন। তখন আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করতে হবে, অনলাইন সেক্টরের যথেষ্ট শ্রম দিতে পারলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কি কি লাগে?

মূলত, যুদ্ধকালীন অবস্থায় অস্ত্র ছাড়া যেমন যুদ্ধ করা যায় না। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রেও সেই কাজগুলো করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার হবে। সে জিনিসগুলো ছাড়া আপনি অনলাইনে কাজ শুরু করতে পারবেন না।

তো আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কি কি লাগে, সে বিষয়ে জানতে চান? তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-

  • প্রথমত একটি ডিভাইস থাকতে হবে। হতে পারে সেটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার।
  • ভালো ইন্টারনেট কানেকশন। হতে পারে, মোবাইল ডাটা, ওয়াইফাই কানেকশন।
  • অনলাইনে কাজ করার জন্য ধৈর্য শক্তি।
  • অনলাইনে কাজ করে পেমেন্ট উত্তোলনের জন্য ব্যাংক একাউন্ট।

আপনার কাছে যদি এগুলো থাকে তাহলে খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

৭ টি সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি

অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয় সম্পর্কে, আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে, সহজ উপায় অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি কোনগুলো। যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইন কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।

তবে আপনার সুবিধাতে আমি বলছি, আপনি আমাদের দেখানো অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারলে নিজের ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের দেখানো অনলাইন পদ্ধতি গুলোতে আপনার যদি কাজ করার দক্ষতা থাকে, তাহলে সহজেই নিজেকে এরিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

বর্তমানে এমন অসংখ্য সহজ অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলোতে আপনি দ্রুত অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো আসুন সেই অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিগুলো জেনে নেয়া যায়।

ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম

বর্তমানে যতগুলো অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো ব্লগিং।

ব্লগিং সেক্টরে আপনারা চাইলে নিজের ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে বিপুল পরিমাণে টাকা রোজগার করতে পারবেন। কারণ আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে, তবে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

বিশেষ করে যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। সেই সকল লোকদের জন্য এই ব্লগিং সেক্টর টি অন্যতম। যেখানে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি এবং চাকরির পাশাপাশি বাড়তি টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

মোটকথা ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে, আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আর সেই ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

আপনাদের ওয়েবসাইট নিস অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণের কন্টেন্ট হয়ে গেলে, যখন দেখবেন মোটামুটি আকারে ভিজিটর প্রবেশ করছে। তখন google এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন।

আর গুগল এডসেন্স আবেদন করার পর যখন এডসেন্স এপ্রুভাল অর্থাৎ মনিটাইজেশন হবে। তখন আপনারা এডসেন্স দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি চাইলে ব্লগিং সেক্টরে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে, আপনারা বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে প্রমোশন এবং বিক্রি করার মাধ্যমে, কমিশন আকারে মাসে ভালো পরিমাণে টাকা রোজগার করতে পারবেন।

ই-কমার্স এর মাধ্যমে ইনকাম

আপনারা উপরের অংশে, ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে জানতে পারলাম। এখন আমি আপনাকে জানাবো ই-কমার্স এর মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে।

বর্তমান এই সময়ে ই-কমার্স এর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আছে। যার ফলে অনেক মানুষ নিজের ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।

বর্তমান বিশ্বের উন্নত তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে দিক থেকে খেয়াল করলে আমাদের বাংলাদেশও কোন অংশে পিছিয়ে নেয়।

আমাদের দেশে অনেক ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ দারাজ, চাল-ডাল ইত্যাদি।

তো আপনি যদি অনলাইন বিজনেস করার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান? তবে আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনের একটি সব তৈরি করে দিতে পারেন।

এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে মাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ প্রোডাক্ট বিক্রি করার মত সহজ উপায় আপনি আর অন্য কোথাও পাবেন না।

তাই ব্যক্তিগত কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করা শুরু করুন। আর যদি আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের অধীনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে চান? তাহলে কমিশন আকারে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকাম

আমরা সকলেই জানি, বর্তমানে সারা পৃথিবীর মধ্যে ইউটিউব হলর সবথেকে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।

যেখানে একজন মানুষ জন্মের পর থেকে যদি মৃত্যু পর্যন্ত একটানা youtube এ ভিডিও দেখতে থাকে তারপরও সেখান থেকে ভিডিও দেখা শেষ করতে পারবে না।

সত্যি কথা বলতে গেলে যখন এ বিষয়টি জানতে পেরেছি তখন আমিও আপনাদের মত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

তো youtube এর জনপ্রিয় তাকে বজায় রাখতে কনটেন্ট থিয়েটারদের জন্য পার্টনার প্রোগ্রামে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি ভিডিও আপলোড করে, ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য সাধারণ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পূরণ করতে হবে সেই সাথে 4000 ঘণ্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে।

আপনি যদি এই সাধারণ শর্তগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করে, ইউটিউব থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করা থেকে শুরু করে চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং।

কারণ অনলাইনের এই কাজে আপনি অল্প পরিশ্রম করার বিনিময়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি বর্তমান বিশ্বে অনলাইন শপিং এর মধ্যে আমাজন শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটার জন্য এই আমাজনের উপর নির্ভরশীল।

আমাজন কম্পানি বিশ্বের প্রতিটি দেশ থেকে কাস্টমার পাওয়ার ফলে। আমাজন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষদের জন্য ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

তাই আপনি যদি আমাজনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে দিতে পারেন তার বিনিময়ে কমিশন পেয়ে যাবেন। মূলত আমাজনের প্রোডাক্ট গুলো আপনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে, বিক্রি করার ফলে, কমিশন হিসেবে বেশ ভালো পরিমানের টাকা রোজগার করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি আমাজন এফিলেয়েট মার্কেটিং এ যুক্ত হতে চান? তাহলে, আজও একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে ফেলুন আর বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করুন।

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতির মধ্যে সবথেকে আলোচিত একটি পদ্ধতি অব ফ্রিল্যান্সিং। কারণ এখন অনেক ধরনের অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে। যেগুলোতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে যত ফ্রিল্যান্সার আছে তাদের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ তিনটি অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকে যেমন- ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইবার।

আপনারা এই অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যোগ দিলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরো বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইন থেকে আয়

অনলাইনে যত ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ভালো এবং সম্মানজনক একটি কাজ হল আর্টিকেল রাইটিং।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। এখন পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করতে আর্টিকেল রাইটিং জব খুঁজেন।

তাহলে, আপনি বাংলাদেশী জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট, blog.jit.com.bd তে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে, বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে, নিজের ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইন ইনকাম

আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থেকে থাকে। তবে আপনি অবশ্যই জানেন যে বর্তমানে ওয়েবসাইটের কি পরিমাণ চাহিদা আছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ সেই সাথে ব্যক্তিগত কাজ পর্যন্ত। প্রায়ই সবকিছুই এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।

তো এই ওয়েবসাইট গুলো আপনি বা আমি তৈরি করতে না পারলেও। যারা মূলত ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে তারা এই ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করে থাকে।

ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজগুলো এই সময়ে অনেক ডিমান্ড ডেবল কাজ। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কোর্স করেন।

তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট করে, মাসে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সেই সাথে অনলাইন সেক্টরে আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ বর্তমান সময়ের যতগুলো অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি রয়েছে তার সবগুলো আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।

এখন এই অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি নিয়ে, আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top