ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক সংখ্যক ইউটিউবার ইউটিউবিং করে, নিজেদের সেলিব্রিটি করে তুলেছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভালো মানের টাকাও আয় করে যাচ্ছে।
আর উক্ত ইউটিউব থেকে যারা অনলাইন আয় করে তারা কিন্তু বিনা পরিশ্রম করেই ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারে নাই এবং মানুষের ভালো বাসা ভোগ করতে পারে নাই।
অবশ্যই তারা ইউটিউব চ্যানেলে অনেক শ্রম দিয়ে কাজ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেখানে তারা মেধা ও মননশীলতা কে ব্যবহার করে, তারা এমন ভিডিও কনটেন্ট গুলো তৈরি করে করে যা মানুষ এর কাছে তাদেরকে প্রিয়পাত্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
বর্তমান সময়ে লোকেরা ইউটিউবে দ্রুত সফল হতে পারে কারণ তারা ইউটিউবিং কাজকে পছন্দ করে থাকে। নিজের আত্মতৃপ্তি ও মানুষ এর ভালোবাসা অর্জনের জন্য তারা তাদের ভিডিও কে মনের মতো করে সাজিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে কোন প্রতিদানের আশা করেন না এটি বলা পুরোপুরি ভাবে ভুল হবে। প্রতিটি ইউটিউব চ্যানেল নিজের ভিডিও গুলো মাধ্যমৈ টাকা আয় করতে চান।
তবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনার উদ্দেশ্য যাতে করে টাকা আয় করায় না যায় তাহলে সৃষ্টিশীলতা কে লাগিয়ে এমন ভিডিও তৈরি করুন যা মানুষ এর কাছে ভালো লাগবে।
সেটি হতে পারে ফানি ভিডিও বা কোন মুভি রিভিউ এছাড়া কোন শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও বা প্রযুক্তি বিষযক বিভিন্ন খবর ইত্যাদি। যা কিছু আপনি তৈরি করেন না কেন এটি আপনার দর্শকরা যাতে সাদরে গ্রহণ করতে পারে। সেটি মাথায় রেখে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করার দরকার হয়।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
আপনারা অনলাইনে অনেক ঘাটাঘাটি করেছেন সেক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন হয়েছি কি ইউটিউব থেকে কি পরিমাণের আয় করার সম্ভব? আপনি যদি গুগল সার্চ করেন তাহলে ইউটিউব চ্যানেল থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
তবে আপনি যদি বাংলাদেশের ইউটিউবারদের দিকে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষ টাকার উপরে আয় করে আবার কেউ কেউ কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে থাকে।
বিশ্বে এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যে গুলো প্রতিদিন লক্ষ টাকা আয় করে। ভাবতেই অবাক লাগলেই এটি সত্যি। তাই আপনি যদি অনলাইন আয় করেন চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করতে হবে। আর একটি চ্যানেল তৈরি করার পরে, ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও গুলো আপলোড করে আয় করতে পারবেন।
তাই আজ আমি এই পোস্টে আপনাকে এখানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার তিনটি নিয়ম জানাব। তো চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ
- ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করার উপায়
- কিভাবে প্রফেশনাল ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন করা যায় (সহজ উপায়)
- ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম
1. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করুন
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তাহলে ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সব থেকৈ সহজ ও সাধারণ উপায় হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে হবে। উক্ত প্রক্রিয়াতে আপনি আপনার ভিডিও গুলোকে মনিটাইজ করবেন। যার ফলে আপনার ভিডিও শুরু হওয়ার আগে কিছু সময় চলার পরে সেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে।
তাছাড়া ইউটিউব ভিডিও এর নিচের অংশে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় যাকে ব্যানার এড বলা হয। আপনার দর্শকরা কতটা সময় ধরে বিজ্ঞাপন দেখছে ও কতজন তাতে ক্লিক করছে তার উপর নির্ভর করবে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এ একজন ভিডিও ক্রিয়েটর কে টাকা প্রদান করতে হয়।
2. উটিউবে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করুন
আপনি যদি নিজের কোন পণ্য থাকে। তাহলে আপনি ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে সেটি বিক্রিয় করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই সকল ভিডিও তৈরি করার জন্য একটি ভালো কোয়ালিটির ক্যামো দিয়ে আপনার পন্য গুলো এমন ভাবে ভিডিও করবেন যেন দর্শক সেটি দেখেই তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণ গ্রহণ করতে পারে।
এরপরে ভিডিও এর মধ্যে পণ্যটির বিভিন্ন কিদ সমুহ নিয়ে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করতে হবে। দর্শকরা এটি বোঝার জন্য যে কোন এই পণ্যটি বাজারে উপস্থিত থাকা অন্যান্য পন্য এর চাইতে আলাদা। আর ভিজিটর যদি এটি ক্রয় করে তবে সে কি কি সুবিধা লাভ করতে পারবে। একই সঙ্গে আপনি পণ্যটির পেমেন্ট কিভাবে নিবেন, কিভাবে গ্রাহক পর্যন্ত পৌছে দেবেন সেটি বর্ণনা করবেন।
এরকম ভাবে আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে চান। তাহলে আপনার ইউটিউবে বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনার নিজের পণ্য গুলো না থাকলেও আপনি অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কন্টাক্ট করে তাদের পণ্য গুলো প্রচার করে আয় করতে পারবেন।
3. এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তাহলে আপনার জন্য আরো একটি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে মার্কেটিং করতে চান। তবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন।
উক্ত এফিলিয়েট আগের পদ্ধতি অনুযায়ী করতে পারবেন। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম হলো যে আপনাকে সরাসরি কোন পেমেন্ট গ্রহণ করতে হবে না বা পণ্য ডেলিভারী করতে হবে না।
আমরা অনেক সময় যে ইউটিউব চ্যানেল গুলো দেখে থাকি। সেখানে তাদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রির প্রচার ও বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। কিন্তু যারা প্রচার করে তারা কিন্তু পণ্য গুলো বিক্রি করে কাস্টমারদের পৌছে দেয় না। তার শূধু এফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে পণ্য গুলো প্রচার করে থাকে। আর সেই প্রচার থেকেই তারা কোম্পানি গুলো থেকে টাকা কমিশন নিয়ে থাকে।
এর মানে হলো বাজারে থাকা বিভিন্ন পণ্য কেমন সেগুলোর মধ্যে কি কি ফিচার আছে। এছাড়া কেন আপনার সেটি ক্রয় করা দরকার সেই বিষয়ে ভিডিওতে বিস্তারিত বলতে হয়। এই সাথে তার পণ্যটি ক্রয় এ রজন্য নিজের এফিলিয়েট লিংক ভিডিও এর ডেসক্রিপশনের প্রদান করে। যাতে করে ভিজিটর অনুরোধ করে যে তারা এই পণ্য টি ক্রয় করতে আগ্রহী। তাই ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিংক থেকে ক্রয় করতে পারে।
যার ফলে একজন ভিজিটর যখন উক্ত লিংক থেকে সম্পৃক্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্য ক্রয় করে তখন ইউটিউবার সেই ওয়েবসাইট থেকে কমিশণ পেয়ে যায়। তার পাশাপাশি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর টাকা তো আছেই। উক্ত দেখানো মাধ্যম গুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা শূরু করতে পারবেন।
আমরা এখানে যে তিনটি প্রক্রিয়া বা উপায় জানালাম সেখান থেকে যে কোন একটি উপায় অবলম্বন করে দ্রুত ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- ইউটিউবে কি কি বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে (বিস্তারিত)
- ইউটিউব এসইও কি ? ইউটিউব ভিডিও এসইও করার উপায়
- ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করার নিয়ম
শেষ কথঃ
তো বন্ধুরা, আজ এই আর্টিকেলে আপনাকে জানানো হলো ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার ৩ টি সহজ উপায়। যেই কাজ গুলো আপনি নিজের ঘরে বসে সহজেই করতে পারবেন।
আর আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তবে উক্ত যে কোন একটি কাজ বেছে নিতে পারেন। তাই আমাদের এই পোস্ট পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।