বর্তমান সময়ে যারা ব্লগিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার চিন্তা করে তখন তাকে একটি ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে হয়। কারণ ডোমেইন নেম ছাড়া একটি ওয়েবসাইট খোলা যায় না।
আর একটি ওয়েবসাইট এর পরিচয় বহন করে ডোমেইন নেম। তাই ওয়েবসাইট খোলার জন্য ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে হয়।
আজ আমি ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল কি এই বিষয়ে জানাব। কারণ আমাদের মধ্যে অনেক নতুন ব্লগার আছে যারা ডোমেইন ক্রয় করার পরে সেটি পরিচালনা করতে পারে না।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে।
ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল অপশনে যে ফিচার গুলো পাবেন যেমন-
- Name servers | নেম সার্ভার
- DNS Host Record Management | ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড মেনেজমেন্ট
- Registrar Lock / Theft Protection | রেজিস্ট্রার লক
- Epp Code / Authorization | অথোরাইজেশন
- Push Domain | পোস ডোমেইন
- Registrant Contact Information | রেজিস্ট্রেশন কন্টাক্ট ইনফরমেশন
- Whois Protection | হুইজ প্রোটেকশন
- Renew | রিনিউ
উক্ত ফিচার গুলো ছাড়া আরো ফ্রি কিছু অপশনাল ফিচার পাবেন যেমন-
- ফ্রি ইমেল একাউন্ট।
- ফ্রি ইমেইল ফরওয়ার্ডিং সার্ভিস।
- ফ্রি লেন্ডার পেজ।
- ফ্রি মাইক্রো ব্লগ সাইট করার সুবিধা।
এরকম আরও অনেক ফিচার রেজিষ্ট্রার কোম্পানি গুলো কাস্টমাদের সন্তুষ্ট করার জন্য প্রদান করে থাকে। এখন আমরা ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল এর ফিচার গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
তো চলুন ডোমেইন কন্ট্রোল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
Name servers
DNS সার্ভারের সাথে ডোমেইন যুক্ত করার জন্য নেম সার্ভার ব্যবহার করা হয়। ডিএনএস সার্ভার এ থাকা রেকর্ড অনুযায়ী ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, এফটিপি সার্ভার ইত্যদিতে যুক্ত হতে নির্দেশ করে থাকে
DNS সার্ভার মূলত ঠিক করে থাকে ডোমেইন বা ডোমেইনের কোন অংশ কোথায় যুক্ত করতে হবে।
DNS Host Record Management
এক্সটার্নাল “A” রেকর্ড যা একটি হোস্ট রেকর্ড কিংবা ডিএনএস হোস্ট নামে পরিচিত। সহজ করে বলতে গেলে যে সার্ভারের সাথে ডোমেইন যুক্ত করা থাকবে সেই সার্ভারের ডিএসএস জোন ফাইল থেকে ডিএনএস রেকর্ড গুলো ম্যঅনেজমেন্ট করা যায়।
মনে করুন আপনি যদি ক্লাউডফ্লেয়ার এর সাথে ডোমেইন যুক্ত করে রাখেন। তবে ক্লাউডপ্লেয়ার থেকেই ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড গুলো ম্যানেজমেন্ট করে নিতে পারবেন।
যেমন- রেজিস্ট্রার কোম্পানি গুলো ফ্রি ও প্রিমিয়াম ভাবে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল এর সাথে ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট করার সুযোগ প্রদান করে থাকে।
DNS হোস্ট রেকর্ড এর অনেক কিছু ফিচার আছে যেমন- Cname, MX, CAA, NS, Sshfp, A, AAAA এবং TLSA রেকর্ড।
তো চলুন এই ফিচার গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
A, AAAA A, AAAA এই রেকর্ড কে এক্সটার্নাল হোস্ট বলা হয়। A পয়েন্ট IPv4 এড্রেস হবে AAAA পয়েন্ট এ IPv6 এড্রেস হবে।
CHAME
CHAME এমন একটি ডিএনএস রেকর্ড যা একটি Alias নামকে ক্যঅনোনিকাল ডোমেইন নেমে ম্যাপ করে। CHAME রেকর্ড গুলো সাধারণত সাব ডোমেইন নাম এর দিকে নির্দেশ করে থাকে।
MX
MX ইমেইল সার্ভারের সাথে যুক্ত করার জন্যে এই রেকর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ
SRV
SRV রেকর্ড এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য পোর্ট ব্যবহার করা হয়, যা একটি ডোমেইন কে অন্য ডোমেইন নির্দেশ করে থাকে। এস আর ভি রেকর্ড গুলো নির্দিষ্ট সার্ভিস যেমন- ভিও আই পি বা আই এম একটি পৃথক স্থানে পরিচালিত হওয়ার অনুমতি প্রদান করে থাকে।
TXT
TXT এই রেকর্ড হলো মানুষ এর পাঠ যোগ্য পাঠ্যের জন্যে তৈরি করা হয়। উক্ত রেকর্ড গতিশীল ও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। যেমন- ইমেইল সিস্টেম ব্যবহার করে, সনাক্ত করতে সহায়তা করে। ইমেইল সঠিক উৎস থেকে আসছে কি না এবং ডোমেইন থেকে স্পাম বার্তা ফিল্টার করতে সহায়তা করে। তাছাড়া ডোমেইন নেম ভেরিফাই করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
CCA
CCA রেকর্ড হলো সার্টিফিকেশন অথরিটি অথোরাইজেশন। এটি রেকর্ড এর মাধ্যমে ডোমেইন এর জন্য SSL / TLS সার্টিফিকেল ইস্যু করে থাকে।
NS
NS রেকর্ড হলেঅ নেম সার্ভার। উক্ত রেকর্ড এর মাধ্যমে নেম সার্ভার তৈরি করা হয়ে থাকে।
আরও দেখুনঃ
- ডোমেইন কি? ডোমেইন কত প্রকার এবং সঠিক ডোমেইন নেম নির্বাচন করার উপায়
- Expired domain কি ? কেন একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনবেন ?
SSHFP
SSHFP একটি নিরাপদ শেল ফিঙ্গাপ্রিন্ট রেকর্ড। ডোমেইন সিস্টেম এর এক ধরণের রিসোর্স রেকর্ড যা SSH কী গুলোকে চিহ্নিত করে থাকে। SSHFP রেকর্ড এর জন্য ডিএনএস এসই এস এর মতো একটি মেকানিজমের সহয়াতায় সুরক্ষিত করার দরকার হয়।
আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে ডিএনএস হোস্ট রেকর্ড ফিচার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা একটু কষ্ট করে গুগলে সার্চ করলে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Registrar Lock
Registrar Lock অপশন থেকে ডোমেইনে রেজিস্ট্রার লক ও আনলক করার সুবিধা পাবেন। অন্যান্য রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে ডোমেইন ট্রান্সফার করার জন্যে রেজিস্ট্রার আনলক করা হয়। রেজিস্টার লক থাকলে অন্য রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে ডোমেইন ট্রান্সফার করতে পারবেন না।
Epp Code/Authorization
Epp Code বা Authorization কোড বা সিক্রেট কোড নামেও হতে পারে। ডোমেইন ট্রান্সফার করার সময় এই কোড গুলো ডোমেইন এর পাসওয়ার্ড হিসেবে মালিকানা যাচাই করে।
Push Domain
Push Domain এর মাধ্যমে ডোমেইন এর মালিকানা পরিবর্তন করার কাজ করে। একই রেজিস্ট্রার কোম্পানিরর ওয়েব পোর্টাল এর এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে Push Domain করা হয়।
Registrant Contact Information
Registrant Contact Information এ ডোমেইন এর মালিকের তথ্য থাকে। যেমন- ইমেইল, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা। এই অপশন গুলো থেকে তথ্য গুলো যে কোন সময় পরিবর্তন করা যায়।
Whois Protection
Whois Protection এই সেবাটি ব্যবহার করলে ডোমেইনের মালিক এর তথ্য জনসাধারণের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়। উক্ত সেবাটি অনেক রেজিস্ট্রার কোম্পানি ফ্রিতে প্রদান করে। আবার অনেক রেজিস্টার কোম্পানি এই সেবাটির জন্য এক থেকৈ পাচ ডলার প্রতি বছর চার্জ করতে হয়।
Renew
Renew অপশন থেকে আপনি যে, কোন সময় ডোমেইন রিনিউ করতে পারবেন। এখানে সর্বোনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত রিনিউ করা যায় ও অটো রিনিউ সেট করে রাখা যায়।
আপনি যে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলে কি কি ফিচার কাজ করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারলেন। তবে এই আর্টিকেলে স্পন্সর করা হয়েছে Exonhost কোম্পানি।
এই কোম্পানিটি দেশ ও দেশের বাইরের মার্কেপ্লেস গুলোতে বেশ সুনাম এর সহিত ডোমেইন এবং হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার করছে। কোম্পানির সার্ভিস কোয়ালিটি অনেক ভালো। 24 ঘন্টা কাস্টমার সাপোর্ট প্রদান করে থাকে।
আরো দেখুনঃ
- ফ্রি টপ লেভেল ডোমেইন খুজছেন? জেনে নিন কোথায় পাবেন!!
- ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল কি? এবং কন্ট্রোল প্যানেল কি কি ফিচার রয়েছে সেগুলো কাজ কি সেই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।
আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই সাইট থেকে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।