আমরা অনেকেই হয়ত জানি, বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে কপিরাইটারের পোস্ট থাকে। অনেকের ধারণা কন্টেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং একই জিনিস, কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারলেই কপিরাইটিং করা যায়। কিন্তু স্কিল, এপ্লিকেশন এবং আউটকাম চিন্তা করলে এই দুটোর পার্থক্য অনেক বেশি।>
কন্টেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং এর মধ্যে পার্থক্যঃ
প্রথমে জানা যাক কন্টেন্ট রাইটিংয়ের মাধ্যমে কি ধরনের কাজ করা হয়। মূলত, আর্টিকেল, ব্লগপোস্ট, ফিচার, সংবাদ, রিভিউ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট এমনকি অ্যাকাডেমিক কপিও লেখাও কন্টেন্ট রাইটিংয়ের একটা অংশ।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ে ক্রিয়েটিভ থিংকিং বা নতুন আইডিয়া জেনারেট করার বদলে চিত্তাকর্ষক এবং তথ্যবহুল লেখনীটাই বেশি জরুরী। আপনার লেখায় যেন প্রোপার স্ট্রাকচারটা থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
অন্যদিকে, কপিরাইটিং কে অনেকটা এডভান্সড লেভেলের বলা যায়, কারণ এখানে লেখালিখির থেকেও ক্রিয়েটিভ থিংকিং এর প্রয়োজন বেশি। পাবলিক ডিমান্ড বুঝে ছোট ছোট চটকদার এবং চিত্তাকর্ষক লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করাই কপিরাইটিং এর মূল উদ্দেশ্য।
কোনটি কেথায় ব্যবহার করা হয়ঃ
মূলত মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে কপিরাইটিং ব্যবহার করা হয়, স্লোগান, পাঞ্চলাইন, হেডিং, ফেসবুক পোস্ট লেখা, নতুন আইডিয়া জেনারেট করা, স্ক্রিপ্ট লেখা, প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং বা প্রমোশনাল পোস্ট লেখা, এমনকি ইমেইল এবং রেজিউম বা সিভি আর প্রফেশনাল নোটস বা মেসেজ লেখার জন্যই কপিরাইটিংয়ের প্রয়োজন বেশি।
সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আইডিয়া থাকা এবং সেটাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো স্টার্ট আপের প্রচারণাই কপিরাইটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। পাবলিক ফিডব্যাক ফলো করা, এবং সে অনুযায়ী নতুন “কপি”র প্ল্যান করাও কপিরাইটিংয়ের অন্যতম একটি অংশ।
প্রচারণার এই দুনিয়ায় কপিরাইটিংয়ের ডিমান্ড দিন দিন বাড়ছে, আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করে বোরড ফিল করেন এবং কাজের মধ্যে চ্যালেঞ্জ এবং অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতে চান, তাহলে কপিরাইটিংই হতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের পরবর্তী গন্তব্য।
কোনটি সহজঃ
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কনটেন্ট বা কপিরাইটিং কনটেন্ট এর প্রয়োজন হবে। আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং কোনটা আপনার প্রয়োজন আপনি সেটি যেভাবে করেন না কেন কষ্ট ছাড়া কিন্তু কোন কিছুই ভালোমতো করতে পারবেন না। তুলনামূলকভাবে কনটেন্ট রাইটিং এর কপিরাইটিং অনেকটাই সহজলভ্য।
ক্যারিয়ার হিসেবে কপিরাইটিংঃ
আপনি যদি কপিরাইটিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে এইটা পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবন কে। কেননা বর্তমান ডিজিটাল যুগে কনটেন্ট রাইটিং বা কপিরাইট আইন এর প্রয়োজন অতুলনীয়। দিন দিন এর প্রয়োজনীয়তা বাড়বে ছাড়া কমবে না। সুতরাং আপনি কপিরাইটিং আপনার ক্যারিয়ার করতে পারেন।
সর্বপরিঃ সর্বোপরি বলতে গেলে পইরা কিংবা কনটেন্ট রাইটিং আপনি সেটাই করেন না কোন ভবিষ্যত উজ্জ্বল। এবং এসে আপনি এটি করতে পারেন এটা করে আপনি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন এটুকু গ্যারান্টি দিচ্ছি।