ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম : আমাদের ওয়েবসাইটে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখার সময় অনেকে প্রশ্ন করেছেন। যে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম কি।

অনেকেই একটা কথাই বলে থাকে। আমার ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চাই। ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম কি। আমাদের একটু জানালে উপকৃত হতাম।

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

তাই আজ আমাদের আর্টিকেলে, ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

একটি মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তাই লোকেরা তাদের ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তারা সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

আর আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মানুষ কেন ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চান?

বর্তমান সময়ে যারা জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চান তারা প্রকৃত নিরুপায় হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তার কারণ তাদের সেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আর কোন কাজ করতে পারে না।

কোন কাজ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সামনে চলে আসে। কেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারছ না।

তাদের ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকে যে ভুল গুলোর কারণে সংশোধন করার সুযোগ পায় না।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক মানুষ কেন ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চান।

যেমন-

অল্প বয়সে ভোটার

অনেক লোক রয়েছে যাদের বয়স না হতেই বয়স দেখে নতুন ভোটার হওয়া যায়। এবং সেই জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশ চলে যায়।

বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর দেখে মূলত ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ অনুযায়ী বছরের উপরে হয়েছে।

যা কোনোভাবেই সংশোধন করতে পারে না বিধায়। মানুষ ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকে।

নাম পরিবর্তন করে ভোটার

আবার এমন লোক রয়েছে অনেকে অন্যের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে। চাকরি পাওয়ার জন্য নিজের নামের বিপরীতে সার্টিফিকেটধারী নাম ব্যবহার করে ভোটার হয়ে থাকে।

পরবর্তী সময়ে সন্তানের সার্টিফিকেট অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে নিজের নামের গরমিল দেখা দিলে। শুরু হয়ে যায় নির্বাচন অফিসের দৌড়াদৌড়ি।

জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ড থেকে সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করা অনেক ঝামেলা। এছাড়া উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া কখনই এমন সংশোধন করা যায় না।

যার ফলে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়। এবং এনআইডি কার্ড বাতিল করার জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন।

এছাড়া অনেক মানুষ অন্য ব্যক্তির ভিসা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য আলাদা নাম, আলাদা পিতা এবং মাতার নাম এবং জন্মতারিখ ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশ গমন করে।

পরবর্তী সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ড থেকে তার যাবতীয় তথ্য পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়ে। ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

না জেনে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার চিন্তা

আমাদের মধ্যে আবার এমন অনেক লোক রয়েছে যারা সঠিক তথ্য না জানার জন্য নিজেদের ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে আগ্রহী থাকে।

তার কারণ তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভুল থাকে। তার জন্য ভেবে নেয় এই আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন করে ভোটার হবে।

সেটা না হলে সেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কোন কাজ করা যাবে না। এমন মানুষ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য তাদের দ্বারা এমন ভুলগুলো হয়ে থাকে।

অনেক এর জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকার জন্য তারা দ্বিতীয়বার ভোটার হয়। তারা চিন্তা করে আমার ভোটার আইডি কার্ডের ভুল আছে এটি দিয়ে আর কোন কাজ হবে না।

তাই নতুন করে আরও একটি কাট করে নিতে হবে। অনেকে এমন ভাবে, শুধু তাই নয়। অনেক লোক এরকম ধরনের পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

কারণ আমাদের বাংলাদেশে যেমন ডাক্তারের অভাব নেই তেমন পরামর্শদাতার কোন অভাব নেই।

তার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ড সম্পর্কে অন্যের পরামর্শ নেওয়ার আগে অবশ্যই একবার নির্বাচন অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে আসার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।

আপনার আইডি কার্ড থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি দ্বিতীয়বার আইডি কার্ড করেন। তাহলে আপনার বিরুদ্ধে সরকারি আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে এবং জরিমানার কবলে পড়তে হবে।

তো আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করলে আপনার যা হতে পারে। মানে একাধিকবার ভোটার নিবন্ধন করলে যা হতে পারে

ভোটার আইডি কার্ড কি বাতিল করা যায় ?

একজন মানুষের ভোটার তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হয়। একটি জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল করে পুনরায়। আবার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে হলে, আবার ভোটার হতে হবে।

তবে একটি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে পুনরায় আরো একটি ভোটার আইডি কার্ড করতে হলে দুইবার ভোটার হতে হয়।

তবে আইন অনুযায়ী একজন মানুষ শুধুমাত্র একবার ভোটার হতে পারে, একাধিক ভোটার হওয়া আইনগত অপরাধ।

এজন্য একজন মানুষ কখনোই একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারে না। এখন আপনারা বলতে পারেন যে আমিতো একটি জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড বাতিল করে তারপর অন্য একটি করতে চাচ্ছে তাহলে সমস্যা কি?

সমস্যা হচ্ছে এই যে, আপনি আপনার নিজের তথ্য বারবার পরিবর্তন করে ইচ্ছামত সুবিধা নিতে পারবেন না।

ভোটার হওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। একজন মানুষ তার সঠিক তথ্য প্রদান করে একবার ভোটার হতে পারবে।

এবং একটি মাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র পাবে এটি কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ম। আপনি জীবিত থাকতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ড কখনোই বাতিল করতে পারবেন না।

কিন্তু আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ড এ যদি কোন প্রকার তথ্য ভুল থাকে তাহলে উপযুক্ত প্রমান কাগজপত্র দিয়ে সংশোধন করে নিতে পারবেন। এখানে বাতিল করার কোন প্রশ্নই আসে না।

তো বন্ধুরা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার একটি উপায় রয়েছে। সেটি হচ্ছে আপনাকে মরে যেতে হবে। তার কারণ মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় রাখা হয় না, কর্তন করে দেয়া হয়।

যার ফলে দেশের প্রকৃত মোট ভোটার সংখ্যা সম্পর্কে ধারনা থাকে তাই যদি আপনি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে হয়ত আপনার ভোটার তথ্য কর্তন করে আইডি কার্ডটি অকেজো করে দেওয়া যেতে পারে।

কিন্তু মারা যাওয়ার মতো মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েও কোন লাভ হবে না বলে আশা করা যায়। কারণঃ নির্বাচন কমিশন জীবিত, সকল ভোটারদের হাতের ছাপ তাদের সংরক্ষণ করেন।

মিথ্যা তথ্য প্রচার করে নাম পরিবর্তন করার পর যখন নতুন করে ভোটার হবেন।

তখন আপনার আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ স্ক্যান করে নেয়া হবে। এছাড়া মেইন সার্ভারে করা হবে।

আপনার আগের হাতের ছাপ এবং বর্তমান হাতের ছাপ ঠিকই ক্রস ম্যাচে মিলে যাবে। সে সময় আপনার ভোটার তথ্য বাতিল করে দেয়া হবে। আর কখনও আইডি কার্ড আসবেনা।

তাই মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে। বর্তমান জাতীয় পরিচয় পত্র অকেজো করে আরো বেশি বিপদে পড়ে যাবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা বুঝতেই পারছেন ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার কোন নিয়ম নাই। শুধুমাত্র মৃত্যুবরণ করার পর ভোটার তথ্য এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র অকেজো করা যায়। কিন্তু সার্ভারে মৃত ব্যক্তিদের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার চিন্তা করছেন আশা করি তারা বুঝতে পারছেন যে এটি শুধু শুধু বৃথা চেষ্টা।

তাই আপনাদের বলছি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ডের যদি কোন ভুল থাকে। তাহলে আপনারা সরাসরি উপজেলা নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে সংশোধন করার চিন্তা করবেন।

আর ভবিষ্যতে কেউ গোপন করে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হতে যাবেন না।

জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি কার্ড নিয়ে কোন সমস্যা সম্পর্কে যদি প্রশ্ন থাকে। তাহলে বিস্তারিত উল্লেখ করে, জানিয়ে দিবেন কমেন্ট এর মাধ্যমে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top