জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম : আপনি কি জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম জানতে চান। তো আমাদের ওয়েবসাইটে যারা নিয়মিত ভিজিট করেন।
তারা জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার প্রয়োজন সকল আপডেট রয়েছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছি। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
তো বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের বিশেষ সুবিধার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম জানিয়ে দেবো।
প্রকৃতপক্ষে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আপনারা যদি আবেদন করে থাকেন। তবে সেই আবেদন কোনভাবে বাতিল করা যাবে না।
কারণ আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করবেন। তখন সেই আবেদন সাবমিট করবেন। তখন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য যে, ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে তথ্য লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
সে সময় আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন কোনভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন না। এবং পরবর্তীতে জন্মনিবন্ধন সনদ এর যাবতীয় কাজ আপনাকে সম্পাদন করতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার আরও একটি নিয়ম জানতে চান তাহলে এখান থেকে তা জানতে পারবেন।
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ এর কোন তথ্য পরিবর্তন করে দেখেন। যে সে তথ্য পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। তাহলে আপনাকে অন্য একটি পথ বেছে নিতে হবে।
আপনারা জন্ম নিবন্ধনের আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পরে যখন আবেদন পত্র প্রিন্ট করবেন। এবং ইউনিয়ন পরিষদের বা পুরসভায় জমা দিবেন। তখন আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুরোপুরিভাবে গ্রহণ করা হয়ে যাবে।
তবে নতুন তথ্য অনুযায়ী আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন কপি প্রিন্ট দেওয়ার পরে। যদি আপনি 15 দিনের মধ্যে নিবন্ধকের কার্যালয় জমা না দিতে পারেন। তাহলে আপনার এই আবেদন অটোমেটিকভাবে বাতিল হবে।
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা ২০২৩
- জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড [nid card online copy]
এরপরও আমরা আপনাদেরকে এখানে আরো একটি তথ্য জানিয়ে দেবো যে তথ্যের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন।
আপনাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি একাধিক হয়ে যায়। বা জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি কোন একটি বাতিল করতে চান। তাহলে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
আমাদের বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন চলমান ছিল। আবার পরবর্তীতে ডিজিটাল করার সময় নতুন ভাবে আবেদন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছে।
কিন্তু একই স্থান প্রদান করে এবং পিতা ও মাতার নাম ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি কখনো জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে পারবেন না।
তবে কোনভাবে যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার আলাদা হয়ে যায়। এবং তথ্য অনুসন্ধান করে দেখতে পান।
যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইনে দেওয়া রয়েছে। তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করতে হবে।
তার কারণ একজন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ যখন একাধিক ব্যবহার করবে। তখন এটি তার জন্য আইনত অপরাধ হয়ে দাঁড়াবে।
তার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর যদি একাধিক কপি থেকে থাকে এবং তথ্য অনুসন্ধান করে যদি অনলাইনে অনেকগুলো তথ্য পেয়ে যান।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি জন্মনিবন্ধন রেখে অন্য গুলো জন্ম নিবন্ধনের আবেদন বাতিল করে দিতে হবে। তার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
এবং সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বাতিল করার জন্য আমরা একটি লিঙ্ক যুক্ত করে দিয়েছি সেখানে ক্লিক করতে হবে।
এখানে কথা হচ্ছে আপনি যদি উক্ত লিংকে ক্লিক করে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন।
তাহলে আপনি কিন্তু নিজে নিজে আবেদন বাতিল করতে পারবেন না কারণ এটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট স্থানীয় সরকার বিভাগের হাতে থাকে।
তো আপনি যদি স্থানীয় সরকার বিভাগে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে কি কি লাগে
আপনারা জন্ম নিবন্ধন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যে তথ্য বাতিল করতে চান।
সে তথ্যের জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার প্রয়োজন হবে।
এজন্য আপনি 17 ডিজিট এর নম্বর প্রদান করার পর, জন্ম নিবন্ধন সনদ জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করাতে হবে।
এরপরে আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে। এবং অনুসন্ধান অনুযায়ী যে তথ্য প্রদান করা হবে। সে তথ্য যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
নিশ্চিত করুন অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে অপশন চলে আসবে এবং সেখান থেকে আপনাদের কনফার্ম এর জন্য Yes করতে হবে।
এরপরে আপনারা পরবর্তী পেজে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ বাতিল করতে চাইলে তার ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
এক্ষেত্রে সে ব্যক্তির দেশ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের ইউনিয়ন নম্বর ওয়ার্ড নম্বর সকল তথ্য সঠিক ভাবে যুক্ত করতে হবে তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ বাতিল করার কারণ হিসেবে নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে নিজের তথ্য যুক্ত করুন
এরকম ভাবে আপনারা পরবর্তী আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করবেন এবং আবেদনকারী যদি আপনি নিজে হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের অপশন সিলেক্ট করে দিবেন।
এছাড়া আপনি যদি এটি কোন বাইরের লোক বিয়ে করিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অন্যান্য অপশন দিয়ে পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিতে হবে।
কিন্তু এ ধরনের তথ্য আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে হালনাগাদ করা হবে বলে আপনারা অবশ্যই নিজের মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন এবং ঘরে বসে চাইলে আপনারা এই কাজ নিজে নিজেই সারতে পারবেন।
এখানে এই ঘরে সকল তথ্য পূরণ করে আপনারা পরবর্তীতে যেতে পারবেন পরবর্তী পেজে গিয়ে দেখবেন।
আপনাদের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য যে আবেদন করেছিলেন সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। এবং তার জন্য আপনাকে একটি আবেদন নাম্বার দেওয়া হবে।
আপনারা উক্ত ওয়েবসাইট থেকে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পর জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করলেন।
সেই আবেদনপত্রটি পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
উক্ত পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিয়ে আপনারা স্থানীয় নিবন্ধকের কার্যালয় সাবমিট দিলে।
তারা আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এর তথ্য বাতিল করে দেবে বা ডিলিট করে দিবে।
আমরা প্রথমে আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার কোন অপশন নেই। শুধুমাত্র স্থানীয় বিভাগের কার্যালয় হতে আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি একাধিক হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অনলাইনে বাতিল করতে পারবেন।
আর সবথেকে সহজ মাধ্যম হচ্ছে, আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে থাকেন সেক্ষেত্রে, আবেদনটি স্থানীয় সরকার বিভাগ এ জমা না দিয়ে থাকেন।
এবং 15 দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন অটোমেটিকলি বাতিল হয়ে যাবে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হলো জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম।
তো আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে নিজে নিজেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে পারবেন।
আর আপনি যদি এত কষ্ট করতে না চান? এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম টি না বুঝে থাকেন।
তাহলে কোন সমস্যা নেই আপনারা জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর 15 দিন এর মধ্যে জন্ম নিবন্ধন আবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগের জমা দেবেন না।
তাহলে অটোমেটিকলি এভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। আমাদের আর্টিকেলটি জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম আর এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো।
আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই বিষয়ে আপনার বন্ধুদের জানাতে একটু শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।