বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ : বর্তমান সময়ের, যারা ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন নিয়ে কাজ করেন। তারা google এর সন্ধান করে থাকেন, বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ।

তো আপনারা যারা এই বিটকয়েন সম্পর্কে তথ্য জানতে চান? সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। কারণ আজকে এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানাবো বিটকয়েন মূলত কোন কোন দেশে বৈধ।

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ
বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করতে পারি আপনারা বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ

আমরা জানি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিটকয়েন ছিল প্রথম ক্রিপ্টো কারেন্সি, যা সব থেকে মূল্যবান এবং সব থেকে বেশি বিনিয়োগ করা হয়।

বিটকয়েন একটি অবৈধ এবং বৈধ মুদ্রা হিসেবে শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সম্পত্তি কিছু সংস্থা, কর কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা বিটকয়েনের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ এবং বৈধ করার উপায় খুঁজেন।

বিটকয়েনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সঙ্গে, কিছু দেশ এটিকে লেনদেনের একটি বৈধ উপায় হিসেবে মনে করছেন। কিছু কিছু কোম্পানি বিটকয়েনে অর্থ প্রদান ও গ্রহণ করা শুরু করে দিয়েছে।

আপনারা বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারবেন, কিনা তা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে অবস্থান করছেন। কারণ বিভিন্ন দেশ রয়েছে, যেখানে এখনো পর্যন্ত বিটকয়েন কে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।

বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের দেশে বিটকয়েনের ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, লেনদেন এর বেনামী ও তাদের ট্র্যাক করা কতটা কঠিন।

কংগ্রেসের লাইব্রেরী সাধারণত ক্রিপ্টো কারেন্সি ও বিটকয়েনের উপর বিভিন্ন দেশের অবস্থান পর্যালোচনা করে থাকে।

গত নভেম্বর ২০২১ সালে, ১১৩ টি দেশে খুজে পেয়েছে যেগুলো সরকার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও AML / CFT এ তাদের ইউটিলিটি সম্পর্কিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য অগ্রাধিকার ও বিধি তৈরি করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এখানে আরো চিহ্নিত করেছে যে, নিম্নলিখিত দেশ গুলোতে মানুষদের বিটকয়েন ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে। তাই চলুন, কোন কোন দেশে বিটকয়েন বৈধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে দেশগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্র

গত ২০১৩ সাল থেকে ইউনাইটেড স্টেটস ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক বিটকয়েন সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করে আসছে।

মার্কিন ব্যাংক বিটকয়েন গুলোকে একটি রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা মার্কিন ডলার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

তারা অর্থ পরিষেবা ব্যবসা হিসেবে বিটকয়েন বিনিময় ও পরিচালনাকারী সকল সত্তাকে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী তারা ব্যাংকে নিবন্ধন করে, 10,000 ডলার এর উপরে লেনদেনের প্রতিবেদন ফাইল এবং ব্যাংক গোপনীয়তা আইনের অধীন।

FinCEN, ক্রিপ্টো রিপোর্টিং ও ট্র্যাকিং অগ্রধিকার বিকাশ এর জন্য ও-আর্থিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্ররিধান স্থাপন করেন।

প্রবিধানের জন্য ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্দেহজনক কার্যকলাপ ও নির্দিষ্ট লেনদেন এর রিপোর্ট করতে হবে, যেগুলো তদন্তের অনুমতি প্রদান করে।

ইউরোপ

ইউরোপে ক্রিপ্টো কারেন্ট এগুলোকে ক্রিপ্টো এক্সেস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর এটিকে বিটকয়েন ব্যবসা ও ব্যবহার করা বৈধ করে তোলে।

ইউরোপের মধ্যে মুদ্রা বৈধ ঘোষণা করেছে যে, ক্রিপ্টো কয়েন জড়িত কোন কার্যক্রম তাদের কন্ট্রোলে নাই।

গত 2001 সালে ইউরোপীয় কমিশন সকল ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়ন প্রস্তাব অনুমোদন করেন। আইনটি ইউনিয়ন জুড়ে আর্থিক স্থল সমতল করতে ও জনসাধারণের নিরাপদে ক্রিপ্টো ব্যবহার করতে পারে, তার নিশ্চিত করা হয়।

কানাডা

কানাডা দেশের রেভিনিউ এজেন্সি বিটকয়েন কে আয় করের জন্য একটি পণ্য হিসেবে দেখে থাকে। যার অর্থ তারা ব্যবসায়িক আয় হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহার করা থাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত তারা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জকে পরিষেবা ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। যার অর্থ তারা সন্ত্রাসী অর্থায়ন আইন ও অপরাধের প্রক্রিয়ার আওতায় রয়েছে।

তাছাড়া তাদের কোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের রিপোর্ট করতে হবে, নির্দিষ্ট রেকর্ড রাখতে হবে। কানাডা রেজিস্ট্রেশন এর একটি আর্থিক লেনদেনের বিজ্ঞাপন রিপোর্ট বিশ্লেষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া ট্যাক্সেশন অফিস বিটকয়েন কে নির্দিষ্ট ইভেন্টের অধীনে করযোগ্য মূল্যসহ আর্থিক সম্পদ হিসেবে দেখা থাকে। অস্ট্রেলিয়ানরা যখন বিক্রি করে, বিনিময় করে, বাণিজ্য করে এছাড়া কাউকে উপহার দেয়?। লেনদেনের বিটকয়েন ব্যবহার করে তখন তারা মূলধন লাভ করে ট্রিগার করে।

ইন্দোনেশিয়া

ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যা ২০১৮ সাল এর আগে অর্থ প্রদানের উপায় হিসেবে, বিটকয়েন সহ ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করত। কিন্তু ১৮ সালের শুরুতে, বিটকয়েন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এরকমভাবে আরও বিভিন্ন দেশে বিটকয়েন ব্যবহার করা হয় বৈধ হিসেবে। আবার কোন কোন দেশে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয় বিটকয়েন গুলোকে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা বিটকয়েন কোন কোন দেশে জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরোক্ত আলোচনায় বিভিন্ন দেশের নাম দেখতে পারলেন।

তবে যারা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ বিটকয়েন কি বৈধ, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি বাংলাদেশের বিটকয়েন একদম অবৈধ।

এ বিটকয়েন সম্পর্কে আরো অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে চাইলে, আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top