আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা : আমরা পূর্বের একটি আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি?

তো আজ আমি আপনাকে আউটসোর্সিং কাজের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো
আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো

আউটসোর্সিং এর মূল উদ্দেশ্য ব্যবসার কাজে যেখানে যেখানে সম্ভব হয়। সেখানে টাকা এবং সময় সাশ্রয় করা। আউটসোর্সিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই আছে।

তো আপনি যদি আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান? তবে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

আউটসোর্সিং করার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা আছে তার পেছনে, কিন্তু অসুবিধাও আছে। তো এই সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে, আজকে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে প্রস্তুত করা হয়েছে।

Upwork কি? আপওয়ার্কে কিভাবে কাজ করব (বিস্তারিত এখানে)

এখান থেকে আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারবেন। কি কি সুবিধা পাবেন ? এবং কি কি অসুবিধা পাবেন ?

তো চলুন, আর সময় নষ্ট না করে এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

আউটসোর্সিং এর সুবিধা

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে, বায়র’রা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক দামে এমনকি কখনো কখনো স্বল্প পারিশ্রমিক এর কাজ করিয়েও নিতে পারেন।

যা হয়তো নিয়মিত কর্মীদের মাধ্যমে করিয়ে নিলে অনেক বেশি খরচ হতে পারত। তাই আউটসোর্সিং এর এটি হচ্ছে, সব থেকে বড় সুবিধা।

তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করে নেওয়া হয় বলে। কাজের মান উন্নত হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সার পরবর্তী কাজ পাওয়ার জন্য প্রতিটি কাজের নিজস্ব দক্ষতার ছাপ রাখার চেষ্টা করেন।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে কাজ করিয়ে নেয়া যায় জন্য। প্রচলিত প্রকার কর্মের দরকার হয় না। যার ফলে বেশি টাকা খরচ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বায়ারগণ খন্ডকালীন রূপে কোন ব্যক্তিকে কাজের জন্য নিয়োগ প্রদান করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার নিজের ঘরে বসে কাজগুলো করতে পারেন।

যার ফলে, অনেকে পুর্নকালীন চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে, পার্ট টাইম জব হিসেবে, আউটসোর্সিং কাজের সাথে যুক্ত হন।

লগো ডিজাইন করে আয় করুন মাসে 50,000/- টাকা। লগো ডিজাইন A2Z

আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে, কর্মদাতা কে কোন অফিসে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যার ফলে অবকাঠামো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় যেমন- কর্মের বসার স্থান, উন্নত কম্পিউটার কোন দরকার হয় না। এতে করে অনেক খরচ বেঁচে যায়।

বায়ারণন টাইম জোনের ডুবে থাকে কাজে লাগাতে পারেন। পৃথিবীর একপ্রান্তে যখন রাত অন্য প্রান্তে দিন (সকাল)।

সে ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে নিলে, বায়ারগন যখন ঘুমিয়ে থাকে। তখন অন্য প্রান্তে তার দেওয়া কাজ ‍গুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়।

যার ফলে সময়ের সদ্ব্যবহার করা যায় বায়ারগণ হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পারেন তাদের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। যার ফলে তারা সারাদিন চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে পারে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নিজের আর্থিক উন্নতি করে নিতে পারে। এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণের ইনকাম করার সুযোগ আছে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যে কোন দেশের শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয়।

আউটসোর্সিং কে শিল্পে পরিণত করা গেলে তা যে কোন দেশের দারিদ্র্য বিমোচন এর লক্ষ্যে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। আমাদের জানামতে দরিদ্র দেশগুলো এখন আউটসোর্সিং কে পেশায় পরিণত করে নিচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি আর কিভাবে করবেন। চলুন কিছু তথ্য জেনে নেই

বিশেষ করে, আমাদের বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং সেক্টরে লোকেরা যুক্ত হয়ে মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে যাচ্ছে।

শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী এই আউটসোর্সিং কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারে খুব সহজে।

তো আশা করি আপনারা বুঝতে পারলেন আউটসোর্সিং এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে। এছাড়া আরো অন্যান্য সুবিধা রয়েছে যা আপনারা আউটসোর্সিং সেক্টরে যুক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে জেনে যাবেন।

তো এখন আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো, আউটসোর্সিং এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে।

আউটসোর্সিং এর অসুবিধা

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে নিলে অনেক সময় কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’র গোপনীয়তা তৃতীয় পক্ষ দ্বারা ভঙ্গ হতে পারে।

যার ফলে যখন কোন কোম্পানি এস আর, পেরোল এবং নিয়োগ সেবাকে আউটসোর্স করে দেয় তখন প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন সময় বায়ারগণ সঠিক আউটসোর্স কর্মে খুঁজে ব্যর্থ হলে যথাসময়ে তার কাজটি সম্পন্ন নাও করে নিতে পারে। সেজন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। তার পাশাপাশি নিজস্ব পরিমণ্ডলে ব্যাপক আর্থিক হতে সম্ভাবনা দেখা দেয়।

যদি সার্বিক বিবেচনায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করিয়া নেওয়া টাকা সাশ্রয় হয়। কিন্তু কিছু হিডেন কস্ট থাকতে পারে।

যা পরবর্তীতে বায়ারদের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বায়ার যখন কোন বাইরের কোম্পানির সাথে আউটসোর্সিং এর চুক্তি করবেন।

তখন প্রযুক্তির শর্ত মোতাবেক তার বিভিন্ন ধরনের খরচ বৃদ্ধি পাবে।

আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলোকে ভালোভাবে প্রচলন করে, মুনাফা সৃষ্টি করতে হয়।

আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব ?

বাইর করতে কাজের মূল্য নির্দিষ্ট করে থাকলে এবং সব সময় এই হার একই রকম থাকলে। তখন মুনাফা সৃষ্টির জন্য উক্ত কোম্পানির কাছ থেকে যে পথটি খোলা থাকে। সেটি হল খরচ কমানো।

আর এখানে এই কাজটি করতে গেলে কাজের মান নেমে যেতে পারে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার টাকা নিজ দেশে উত্তোলন করতে গিয়ে। ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।

যেমন- ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডের মধ্যে তাদের উপযোগী মেথরটি গ্রহণ করতে হয়।

বিভিন্ন সময় নিজ দেশে সেবা চালু নাও থাকতে পারে। যেমন- পেপাল একাউন্ট আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু চালু নেই।

তাই আমাদের বাধ্য হয়ে পেওনিয়ার এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে, টাকা উত্তোলন করতে হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন ?

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে।

আপনারা যারা আউটসোর্সিং সেক্টরের যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত হবেন। তাদের অবশ্যই এ বিষয়ে বিশেষভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

তো আমাদের আজকের লেখা আর্টিকেল আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এখানে সমাপ্তি ঘোষনা করা হলো। আপনার যদি কোন প্রশ্ন উত্তর জানার থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সংক্রান্ত নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top