প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম : বর্তমান সময়ে, আমাদের শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে, চাকরি জীবন পর্যন্ত, বিভিন্ন ধরনের প্রত্যয়ন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে, যারা এখনো তাদের প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্র গুলো লিখতে পারে না।

প্রত্যয়ন পত্রের দরকার হলে, তারা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার দোকান গুলোতে ছোটাছুটি করেন। বিশেষ করে এমন অনেকেই রয়েছে। যারা চাকরির পর বিভিন্ন ধরনের প্রত্যায়ন পত্র না লিখতে পারায়, অনেক হয়রানের শিকার হতে হয়।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

তাই আপনারা যারা প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জানতে চান, তারা সঠিক একটি ওয়েবসাইটে চলে এসেছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাকে প্রত্যয়ন পত্র লেখার সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

বিশেষ করে, প্রত্যয়ন পত্র কিভাবে লিখতে হয়। সে বিষয়ে একটি নমুনা জানিয়ে দেব।

একটি প্রত্যয়ন পত্র লেখার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু শর্ত রয়েছে। যে, শর্ত গুলো অনুযায়ী প্রত্যয়ন পত্র প্রস্তুত করতে হয়। তাই প্রত্যয়নপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে, আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

প্রত্যয়ন পত্র কি ?

প্রত্যয়ন পত্র হচ্ছে এক ধরনের সনদ। প্রত্যয়ন পত্র এমন একটি পত্র যা আমাদের বিভিন্ন চাকরির আবেদনের সময় ব্যবহার করতে হয়। আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য এ ধরনের প্রত্যয়ন পত্র লিখার দরকার হয়।

প্রত্যয় শব্দটির অর্থ হচ্ছে, আস্থা এবং কোন গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে একটি প্রত্যয়নপত্র সত্যায়িত করে, নিয়ে আপনারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।

একটি প্রত্যয়ন পত্রে একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য প্রদান করা থাকে যা দেখে, প্রতিষ্ঠান গুলো আপনার সম্পর্কে বিশেষ ধারণা গ্রহণ করতে পারেন।

তো একটি প্রত্যয়ন পত্র সত্যায়ন করার জন্য অবশ্যই সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা করতে স্বাক্ষরিত করার প্রয়োজন হয়। এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় হতে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করে, সেগুলো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যায়।

প্রত্যয়ন পত্র কত প্রকার ?

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম, আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে, ভর্তি হওয়ার জন্য যে প্রত্যয়নপত্র লেখা হয় সেটি আপনি চাকরির আবেদনের সময় ব্যবহার করতে পারবেন না।

এরকম ভাবে আরো বিভিন্ন কারণে প্রত্যয়ন পত্র লেখার দরকার হয়। তাই আপনাদের সামনে, এমন কিছু প্রত্যয়ন পত্র যা বাংলাদেশ প্রচলিত সে বিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছি। যেমন-

  • উত্তরাধিকার সনদপত্র।
  • মৃত নিবন্ধন সনদ।
  • জাতীয়তা সনদপত্র।
  • চারিত্রিক সনদপত্র।
  • মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র।
  • বৈবাহিক সনদপত্র।
  • বেকারত্ব সনদপত্র।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয়ন পত্র।
  • চাকরি ক্ষেত্রে প্রত্যয়ন পত্র।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম (নমুনা)

বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বাংলা প্রত্যয়ন পত্রের পাশাপাশি। ইংরেজিতে প্রত্যয়ন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়।

আমরা পূর্বের একটি আর্টিকেলে ইংরেজিতে কিভাবে প্রত্যয়ন পত্র লিখতে হয়। সে বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করে দিয়েছে, আপনারা চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন।

আজকের এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র আপনাদের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নমুনা সম্পর্কে জানাবো, যা শুধুমাত্র বাংলায়।

আপনারা আমাদের নমুনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে, চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্র গুলো লিখতে পারবেন।

আমরা আপনাকে আগেই বলেছি প্রত্যয়ন পত্রের বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। তো সেই প্রকার গুলোর মধ্যে আমি আপনাকে, চারিত্রিক সনদ কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে জানিয়ে দেব।

আপনারা এখন যে চারিত্রিক সনদ পত্র লেখার নমুনা দেখতে পারবেন, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীল যুক্ত করে নিয়ে। আপনার প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে পারবেন।

চারিত্রিক সনদপত্র

এ মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, মোঃ / মোছাঃ (এখানে ব্যক্তির নাম লিখতে হবে), পিতার নামঃ (এখানে পিতার নাম লিখতে হবে), মাতার নামঃ (এখানে মাতার নাম লিখতে হবে), গ্রামঃ (ব্যক্তির যে এলাকায় বসবাস করে সে ব্যক্তি ’র এলাকার নাম লিখতে হবে), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের নাম লিখতে হবে), ওয়ার্ড নং যেমন- ১১, ইউনিয়নঃ (ব্যক্তির যে ইউনিয়নের বাসিন্দা সে ইউনিয়নের নাম লিখতে হবে), উপজেলাঃ (উপজেলার নাম লিখতে হবে), জেলাঃ (জেলার নাম লিখতে হবে)। তিনি আমার নিকট ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত। তিনি আমার ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার জানামতে তিনি কোন রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নয়। তার স্বভাব চরিত্র ভালো।

অতএব, আমি তার জীবনের সার্বিক উন্নতি কামনা করি।

চেয়্যারম্যান

স্বাক্ষর ও সীল

এখানে ইউনিয়ন পরিষদের নাম

পরিষদের ঠিকানা

আপনারা উপরে যে নমুনাটি দেখতে পাচ্ছেন, এই নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারলে, আপনার প্রয়োজনীয় যে, কোন প্রত্যয়ন পত্র লিখে সম্পন্ন করে, নিতে পারবেন। আমরা আপনাকে শুধুমাত্র প্রত্যয়ন পত্র হিসেবে, চারিত্রিক সনদপত্র কিভাবে লিখতে হয় সেটি জানিয়েছি।

এখন আপনার যদি ভর্তি সংক্রান্ত কোনো পর্যায়ন পত্র প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে, বিষয় পরিবর্তন করবেন, আর বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করবেন। তাহলেই প্রত্যয়ন পত্র সম্পন্ন হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ

আপনার যারা জানতে, চেয়েছিলেন প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম কি ? তারা উপরোক্ত প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা অনুযায়ী যে, কোন প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারেন।

আর এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top