চুক্তি করবেন যেভাবে : বর্তমান সময়ে, আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, টাকা-পয়সা লেনদেন, বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় বিক্রয়ের সময় চুক্তি করার দরকার হয়।
আবার কোন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ উত্তোলন করতে চাইলে। ঋণের জন্য চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হয়।
তাছাড়া ব্যক্তিগত যে কোন কাজ করার জন্য চুক্তি নামা প্রয়োজন হয়। চুক্তি করার সময় আপনার যদি না জেনে বুঝে চুক্তি সম্পাদন করেন।চুক্তি করবেন যেভাবে সে ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
তাই আপনারা যে কোন কাজের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করেন না কেন? অবশ্যই চুক্তি নামার বিধি-বিধান অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
তো একটি চুক্তি নামায় কি ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করতে হয়। এবং কি কি বিষয় থাকে, সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত ধারণা আপনাকে জানিয়ে দেবো।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন। চুক্তি কিবাবে করতে হয়।
আর চুক্তি করবেন যেভাবে জানতে, আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
চুক্তিনামায় যা যা থাকবে ?
আপনারা যে কোন কাজের জন্য, চুক্তিনামা সম্পাদন করতে চাইলে সর্বপ্রথম নজর রাখতে হবে। চুক্তি করতে গিয়ে যাতে কোন প্রকার অপূর্ণতা না হয়।
ব্যবসা করার জন্য চুক্তি নামে করতে চাইলে সে ব্যবসা ছোট হোক আর বড় হোক। চুক্তিতে কার কি, ধরনের দায়িত্ব থাকবে।
সে গুলো শর্ত হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। কোনভাবেই চুক্তিতে ফাঁকফোকর রাখা যাবে না। এতে করে ভবিষ্যতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যার ফলে চুক্তি নিয়ে বড় ধরনের জটিলতা পড়ার আশঙ্কায় না পড়ে আপনারা শুখ্যভাবে চুক্তিনামা তৈরি করবেন।
আর চুক্তিপত্রে পক্ষগণের নাম এবং ঠিকানা সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে। চুক্তি নামে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য হলে, ঠিকানা থাকতে হবে।
চুক্তিপত্রে কার কতটুকু অংশ এবং কাজ থাকবে। চুক্তি কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা কাজ নিয়ে হলে সেটি শুরু করার তারিখ এবং সম্পূর্ণ, অবস্থান হওয়ার তারিখ সংযুক্ত করতে হবে।
ব্যবসায়িক সংক্রান্ত হলে, ব্যবসার জন্য কত টাকা পুঁজি খাটানো হয়েছে। এবং সেখান থেকে কিভাবে লভ্যাংশ উপার্জন হবে, ব্যবসার ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সবকিছুর বিষয়ে অবশ্যই চুক্তিপত্র থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে যদি কোন বিরুদ্ধে দেখা যায় তাহলে নিষ্পতি কিভাবে হবে, সে বিষয়গুলো চুক্তিতে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।
বিশেষ করে ব্যবসার জন্য তো কোনো কারণে বিরোধ দেখা দিলে আলোচনা বা সালিশের মাধ্যমে। সেটি নিষ্পত্তি করার সুযোগ থাকবে কিনা। সে বিষয়গুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন।
বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রে মীমাংসার মাধ্যমে যে, কোন বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়। তার জন্য চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদে। এ সংক্রান্ত শর্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। চুক্তিপত্রে সালিশ আইন 2001 এর মাধ্যমে নিষ্পত্তি বিধান রাখতে পারবেন।
যেকোনো চুক্তিপত্রের সর্বশেষ অংশে দুই পক্ষের স্বাক্ষর এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর থাকতে হবে। যে তারিখে চুক্তিপত্রটি স্বাক্ষরিত হবে সে তার একটি চুক্তিপত্রে সংযুক্ত করতে হবে।
এক্ষেত্রে যারা নাবালক, পাগল, সরকারি কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, দেশদ্রোহী ব্যক্তির সাথে কোন প্রকার চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া যাবে না। বিশেষ করে এদের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি কখনোই করা যাবে না।
চুক্তি করবেন যেভাবে ?
আপনারা যদি কোন কাজের জন্য চুক্তিপত্র করতে চান? তাহলে উপরে আলোচনায় যে বিষয় গুলো সম্পর্কে বলা হলো সেগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে, চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি চুক্তিপত্রের বিধি-বিধান অনুসরণ না করে, নিজেদের মত অনুযায়ী করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে শর্ত হিসেবে প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো চুক্তি নামায় উল্লেখ করবেন।
এখন অনেকে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্তর জানার পর। অবশ্যই জানতে চাইবেন যৌক্তিক কিভাবে করতে হয়। সাধারণত চুক্তিপত্র করতে হয় 300 টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে।
কিন্তু, বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষ এর তারতম হতে পারে। বিশেষ করে অংশীদারি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র হয় ২০০০ টাকার নন-জোনিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। আবার ব্যবসার মূলধন ৫০ হাজার টাকার নিচে হলে এক হাজার টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করা হয়।
সাধারণ যে চুক্তিপত্র নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নোটারি রাইজ করতে হবে। অংশীদারে চুক্তিপত্রের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ হতে।
চুক্তিনামায় কোন জমি বা ফ্লাট কিনতে, বায়না নামা সম্পাদন করার দরকার হতে পারে। বাযনা নামা এক ধরনের চুক্তিপত্র।
কিন্তু, বায়না নামা সম্পাদন করলে, অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নিতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
তো বন্ধুরা আশা করবো আপনারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, চুক্তি করবেন যেভাবে সম্পূর্ণ জানতে পেরেছেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা চুক্তি করবেন যেভাবে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনা অনুসরণ করে, যে কোন ধরনের চুক্তি সম্পাদন করতে পারবেন, ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে।
আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন চুক্তিপত্রের বিষয়ে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।