মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম : কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়। এ বিষয় নিয়ে অনেকেই অনলাইনে সার্চ করে জানার চেষ্টা করে।
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাতে চাচ্ছি। যে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকায় করার সেরা কিছু অনলাইন সেক্টর বিষয়ে।
বর্তমান সময়ে আপনি যদি পার্ট টাইম জব করতে চান? সেক্ষেত্রে মোবাইলে ইনকাম করার সেরা একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
কারণ আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে, মোবাইল দিয়ে অসংখ্য কাজ পেয়ে যাবেন। যা করে আপনারা সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে করতে পারবেন।
- ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
- টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় (বিস্তারিত এখানে)
- মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় [এখনই শুরু করুন]
তো বন্ধুরা আপনারা যারা মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন। তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
আপনার কাছে যদি এটি স্মার্ট মোবাইল ফোন থাকে। তাহলে সেই মোবাইল ব্যবহার করে, অনলাইন সেক্টরে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম টাকা রোজার করার পথ বেছে নিতে পার।
তো আমি আজকে আপনাকে এমন কিছু অনলাইন ইনকামের পথ আপনাকে দেখাবো। যেগুলো নিজের মোবাইলে করে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক। মোবাইল দিয়ে টাকাই করার সেরা মাধ্যমগুলো সম্পর্কে।
ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম
বর্তমান সময়ে, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, খুব সহজেই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আনলিমিটেড ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
বিশেষ করে আপনি যদি কোন প্রকার টাকা খরচ না করে, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? তাহলে গুগলের ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
আপনারা ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ওয়েবসাইটে ভিজিটর/ ট্রাফিক আসা শুরু হবে তখন আপনি নিজের ওয়েবসাইট থেকে টাকা রোজগার শুরু করতে পারবেন।
আপনার হয়তো ভাবছেন মোবাইল থেকে ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করা অনেক কঠিন এবং ঝামেলার বিষয়। তবে এটি একদমই নয়।
মোবাইল থেকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে মাত্র পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় লাগবে। তারপরে নিজের ব্লগে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে সার্চ ইঞ্জিনে জমা দিয়ে, ওয়েবসাইটে ভিজিট আনতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা শুরু হলে, গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে নিজের ওয়েবসাইট রেজিস্টার করে, টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটে google এডসেন্স অনুমোদন পেলে, নিজের ওয়েবসাইটে টেক্সট, লিংক, ভিডিও এবং ইমেজ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করবে।
বর্তমান থেকে মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, যে কি পরিমানের টাকা উপার্জন করছে। তা কল্পনা’র বাইরে।
তাই আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে ইনকাম করতে চান? তাহলে ইনকাম করার পথ হবে গুগল এডসেন্স।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আপনি যদি ইউটিউবে কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করে, অনেক লাভজনক হতে পারবেন।
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক ইউটিউবার রয়েছে। যারা নিজের ঘরে বসে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছে এবং মাসে লক্ষ টাকার উপরে আয় করছে।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো? প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বানানোর নিয়ম
তো আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে স্মার্টফোন দিয়ে ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার মোবাইলে টাকা ইউটিউব অ্যাপস বা মোবাইলের যে কোন ওয়েব ব্রাউজার চালু করে। youtube ওয়েব সাইটে প্রবেশ করবেন।
তারপর একটি ইউটিউব চ্যানেল জিমেইল অ্যাকাউন্ট দ্বারা ক্রিয়েট করে নিবেন।
ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর আপনাকে অবশ্যই সেটি কাস্টমাইজ করতে হবে। আর কিভাবে আপনার কাস্টমাইজ করবেন।
সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা রয়েছে। সেটি অনুসরণ করে, বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
তো youtube চ্যানেল তৈরি করার পর ভালোভাবে কাস্টমাইজ করে নিয়ে, সে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য, ভিডিও নিশ সিলেক্ট করতে হবে।
মানে আপনি যে বিষয়ে ভালো দক্ষ সে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে খুব সহজেই ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
ইউটিউব ভিডিও এর জন্য নতুন টপিক কিভাবে খুজবেন ?
বিশেষ করে, আপনারা চাইলে youtube চ্যানেলের নিস হিসেবে বেছে নিতে পারেন। যেমন-
- টেকনোলজি
- কোর্স ভিডিও
- কমেডি ভিডিও
- স্টোরি ভিডিও
- শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও ইত্যাদি
আপনারা যে বিষয়গুলোতে বেশি জানেন এবং বুঝেন সে বিষয়ে, ইউটিউব নিস বেছে নিয়ে ভিডিও তৈরি করা শুরু করবেন।
ইউটিউব এর জন্য ভিডিওগুলো কখনোই কপিরাইট না করে নিজে নিজে ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
এবং সে ভিডিও গুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে, গুগল এডসেন্স দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করার A টু Z [ইউটিউব টিউটরিয়াল]
তো youtube চ্যানেল থেকে কিভাবে আপনারা আয় করতে পারবেন।
সে বিষয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ আর্টিকেল এ টু জেড জানিয়ে দিয়েছি। যা থেকে আপনারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে ইনকাম
আপনি যদি নিজের ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার উপায় খোঁজেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা আরও একটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের পথ হিসেবে, ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, ভালো পরিমাণের মেম্বার থাকা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়। তো আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে, টাকা ইনকাম করার পর বেছে নিতে পারেন।
তো ফেসবুক গ্রুপ থেকে আপনারা বিভিন্ন কোর্স আপলোড করে, ইনকাম করতে পারবেন আবার আপনারা বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট প্রচার করে এবং বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন গেম ইনকাম
বর্তমানে যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তারা সকলে কিন্তু গেম খেলতে পছন্দ করে। তো আপনি যদি অযথাই গেম খেলে সময় নষ্ট করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর।
কারণ বর্তমানে এমন কতগুলো এন্ড্রয়েড অ্যাপস চালু হয়েছে। যে অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে গেম খেললে। আপনারা খুব সহজে নিজের ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তো চিন্তার কোন কারণে আমি আপনাকে এমন কিছু অনলাইন গেম অ্যাপস এর বিষয়ে জানাবো। যেগুলো খুব সহজেই আপনারা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে।
নিজের মোবাইলে ইন্সটল করে গেম খেলা শুরু করতে পারবেন। এবং গেম খেলে বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যেমন-
- WinZo app
- Money Bingo Clash
- Yatzy Dice : Win cash
তো বন্ধুরা আপনার যারা মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে গেম খেলতে আগ্রহী। তারা উপরোক্ত অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করে খুব সহজেই আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিয়ে গেম খেলে টাকা উপার্জন করা শুরু করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকেন। তারা উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
তো সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে, আমরা আপনাকে অনলাইন ইনকাম বিষয়ে যে, আয়ের পথ গুলো জানিয়েছি।
সেগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। বিনা ইনভেস্টেই আপনারা স্মার্ট মোবাইল ফোন দ্বারা খুব সহজে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
তো শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।
আর বিশেষ করে, আমাদের আজকের লেখা আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।