কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কাকে বলে? হার্ডওয়্যার এর প্রকারভেদ?

কম্পিউটারের বাহ্যিক অংশ সমূহকে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বলা হয়। উদাহরন স্বরুপ সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU), মনিটর, কিবোর্ড, কম্পিউটার ডাটা ‍স্টোরেজ, গ্রাফিক্স কার্ড, ‍সাউন্ড কার্ড, স্পিকার ‍এবং মাদারবোর্ড । হার্ডওয়্যার মূলত সফটওয়্যার দারা পরিচালিত হয় । সফটওয়্যার হচ্ছে কিছু নিদিষ্ট পোগ্রাম যা ছাড়া কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার অচল। হার্ডওয়্যার ইনস্টল যে কেউ চাইলেই করতে পারে না। এর জন্য একজন কে অবশ্যই প্রশিক্ষিত হতে হয়।

This image is about Computer Hardware Components

কম্পি্উটার  সিস্টেমের প্রকারভেদ:

1. কম্পিউটার কেইসঃ কম্পিউটার কেইস এর ভেতর কম্পিউটারের বেশির ভানগ পার্টস অন্তভূক্ত থাকে। এটা কম্পিউটার অভ্যন্তরিন বিভিন্ন পার্টস কে নিরাপত্তা ও মেকানিকাল সার্পোট দিয়ে । উদাহরণ স্বরূপ মাদারর্বোড, ডিস্ক ড্রাইভ, পাওয়ার সাপল্লাই কে কোলিং মেশিনের দারা কেইস এর অভ্যন্তরে ঠান্ডা রাখে।

2. পাওয়ার ‍সাপল্লাই ইউনিট: ইলেকট্রিক ডিভাইস পরিচালনা করতে বিদুৎতের প্রয়োজন। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজ হচ্ছে বিদুৎ সরবরাহ করা। পাওয়ার সাপ্লাই বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এর মধ্যে বিদুৎ সরবরাহ করে এটি সচল রাখে । সঠিক ভাবে বিদুৎ সরবরাহ না হলে, অনায়াসে কম্পিউটার হ্যাং, র্রিস্টার, পাওয়ার প্রবলেম ইত্যাদি সমস্যা করবে।

3. মাদারবোর্ড : মাদারবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের প্রধান উপাদান । যার মাধ্যমে ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাইক্রোপ্রসেসর, প্রধান মেমরি ও কম্পিউটরের গুরুত্তপূর্ণ অংশ জড়িত থাকে। শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অডিও , মেমরি, ল্যান কার্ড ,কি-বোর্ড , মাউসসহ সব ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

4. এক্সপেনশন কার্ড : এক্সপেনশন কার্ডটি সরাসরি সম্প্রসারণ বন্দরে প্লাগ করা হয় যাতে মাদারবের্ডটিতে হার্ডওয়্যারটিতে সরাসরি অ্যাক্সেস থাকে। তবে, যেহেতেু সমস্ত কম্পিউটারের সীমিত সংখ্যক সম্প্রসারণ স্লট রয়েছে, তাই আপনার কম্পিউটারটি  খোলার এবং আপনার কেনার আগে কী পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রসারণ স্লট গুলি কখনও কখনও বাস স্লট বা সম্প্রসারণ বন্দর হিসাবে চিহ্নিত  করা হয়। কয়েক বছর ধরে পিসিআই, এজিপি , এ এম আর , সি এন আর, আইএস এ ইত্যাদি সম্প্রসারণ স্লট রয়েছে।

5. কম্পিউটার ডাটা স্টোরেজ: স্টোরেজ ডিভাইস হচ্ছে এমন সব ডিজিটাল বা প্রযুক্তিপণ্য, যেগুলোতে ফাইল, ছবি বা যেকোনো ডাটা সংরক্ষণ করে রাখা  যায়। কম্পিউটার ডাটা স্টোরেজে হার্ডওয়্যার খুবই গুরুত্বপূর্ন। সাধারনথ দুই ধরণের স্টোরেজ ডিভাইস আছে-প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। র‌্যানডম এক্সেস মেমরি  হচ্ছে প্রাইমারি স্টোরেজ। কম্পিউটার বা হ্যান্ডসেট পরিচালনার বিভিন্ন কাজে সাময়িক মেমরি কাজ করে। এ খানে তথ্য স্থায়ি ভাবে সংরক্ষিত থাকে না । সেকেন্ডরি মেমরির মধ্যৌ বিভিন্ন ধরণ আছে, যেমন–মেনেটিক, অপটিক্যাল ও ফ্ল্যাশ। হার্ড ড্রাইভ, ফ্লপি ডিস্ক, টেপ ক্যাসেট– এ গুলো মেগনেটক স্টোরেজ ডিভাইস। অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইসের মধ্যে আছে সিডি ও ডিভিডি ডিস্ক। মেমরি কার্ড,  মেমরি স্টিক, পেন ড্রাইভ, সলিড স্টেট ড্রাইভ এগুলো ফ্ল্যাশ মেমরি ডিভাইসের মধ্যে পড়ে।

6. ইনপুট এবং আউটপুট পেরিফেরাল: হার্ডও্যারে ইনপুট এবং আউটপুট এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারন কম্পিউটারকে কিছু কমান্ড করলে ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমেই করতে হয়। উদাহরন স্বরুপ মাউস, কিবোর্ড, টাচ স্কিন ইত্যাদি। কম্পিউটারে কিছু ইনপুট দেয়ার পর আউটপুট যে মাধ্যমে আসে তাকে আউটপুট পেরিফেরাল বলে। যেমন : মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।

একটি মানুষ সুস্থ ভাবে বেচে থাকতে চাইলে যেমন শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরী । তেমনি একটি কম্পিউটারকে পরিচালনার জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমান ভাবে প্রয়োজনীয়। হার্ডওয়্যার ছাড়া যেমন সফটওয়্যার অচল, তেমন সফট্ওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অচল। আর তাই প্রযুক্তি উৎকর্ষ সাধনে এই হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুটোর ভূমিকাই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top