পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। আপনারা সকল পাইকারি ব্যবসা গুলো অল্প পুঁজিতেই শুরু করতে পারবেন।
আর যে সকল পাইকারি ব্যবসার চাহিদা সব থেকে বেশি। সেই সেরা লাভজনক ব্যবসার তালিকা আমাদের এই পোস্টে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তাই আপনার যদি ব্যবসা করার মন মানসিকতা থাকে, তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

আমরা জানি মানুষ একটি ছোট্ট ব্যবসা শুরু করে, ধীরে ধীরে সেটি কে বড় পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর এই কাজটা কিন্তু এমনি এমনি হয় না।
যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই ব্যবসার পরিকল্পনা করতে হয়। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে, যে কোন ব্যবসায়ী দ্রুত সফলতা অর্জন করা যায়।
তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে, লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াঃ
01. কাপড়ের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
02. জুতার পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
03. কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
04. মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
05. টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
06. শার্ট ও প্যান্টের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
07. স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
08. কসমেটিকস সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
09. উপহার সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
10. ইলেকট্রিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
উপরের অংশে আপনারা যে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াগুলো দেখতে পারছেন। এ ব্যবসা গুলো মূলত অনেক লাভজনক ব্যবসা। তাই আপনাদের এই ব্যবসা তালিকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
আপনি যখন ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তখন আপনার ধারণা হয়ে যাবে কোন ধরনের পাইকারি ব্যবসা আপনার করা প্রয়োজন।
তো চলুন এখন এই পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
01. কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
নিজেই ডিজাইন করা কাপড়ের ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। আপনি অনলাইন শপিং মল গুলোর সাথে যোগাযোগ করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহ, বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন ইত্যাদির জন্য নিজেই কাপড় ডিজাইন করে, তৈরি করতে পারেন। এবং সে গুলো পাইকারি তে বিক্রি করতে পারেন।
02. জুতার পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
স্থানীয় কারিগরদের সহযোগিতা নিয়ে, নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জুতা তৈরি শুরু করতে পারেন। আপনি মানুষের, যেমন- ছেলে, মেয়ে এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় জুতা ডিজাইন করতে পারেন। এবং সেগুলো পাইকারিতে বিক্রি করতে পারেন।
03. কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
কাঁচামালের একটি কারখানা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাঁচামাল পণ্যের চাহিদা বর্তমানে বাংলাদেশের সকল গ্রাম ও শহর অঞ্চল রয়েছে। আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন।
এক্ষেত্রে, নিজের এলাকায় কাঁচামাল গুলো উৎপাদন করে, বা গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে নিয়ে শহর অঞ্চল গুলোতে পাইকারি ভাবে বিক্রি করতে পারবেন।
চাহিদা সম্পন্ন কিছু কাঁচামালের তালিকা নিম্নরুপঃ
বর্তমানে পাইকারি ব্যবসা হিসেবে কাঁচামাল অনেক লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত।
04. মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
মুদি দোকানের জন্য বিভিন্ন পণ্য পাইকারি হিসেবে বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে, মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা গুলো আপনারা অনলাইন ভিত্তিক এবং অফলাইন ভিত্তিক মার্কেটিং করে শুরু করতে পারবেন।
আপনি যদি মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুদি পণ্যের তালিকায় রাখতে পারেন। নিচে দেওয়া পণ্য গুলোঃ
- চাল
- ডাল
- তেল
- লবণ
- আটা
- ময়দা
- সুজি
- সেমাই
- চিড়া
- পেঁয়াজ
- আদা
- রসুন
- হলুদ
- মরিচ
- বিভিন্ন রকমের মসলা
- জিরা, তেজপাতা, দারচিনি, এলাচি
- গুড়
- মুড়ি
- ডিম
- চিনি ইত্যাদি।
উক্ত পণ্য গুলো আপনারা সহজেই মুদি পণ্য হিসেবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
05. টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
নিজস্ব আইডিয়াতে টি-শার্ট তৈরি করতে পারেন এবং তা পাইকারি বিক্রি করতে পারেন। আবার আপনারা টি-শার্ট বিভিন্ন টেক্সটাইল কারখানা থেকে ক্রয় করে, শপিং মল গুলোতে পাইকারিতে বিক্রি করতে পারবেন।
06. শার্ট এবং প্যান্টের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
নিজস্ব শার্ট এবং প্যান্টের ডিজাইন তৈরি করতে পারেন এবং তা পাইকারি বিক্রি করা শুরু করতে পারবেন। আপনার ডিজাইন করা পণ্য বিক্রয় করতে পারেন বিভিন্ন শপিং মল গুলোতে।
আর শার্ট এবং প্যান্ট গুলো তৈরি করার জন্য কারিগর দের সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করতে পারেন। এই ব্যবসাতে, মোটামুটি পুঁজি খাটালেই শুরু করতে পারবেন।
07. স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
একটি অল ইন ওয়ান স্টেশনারি শপ খুলে স্টেশনারি পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। আপনি অন্যান্য স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। এবং সে গুলো ব্র্যান্ডিং করতে পারেন।
নিজস্ব স্টেশনারি পণ্য তৈরি করে তা পাইকারি বিক্রি করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি ডিজাইন করা নোটবুক বিক্রয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা নিয়ে নোটবুক তৈরি করে পাইকারি ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।
08. কসমেটিকস সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
কসমেটিকস কারখানা থেকে কসমেটিকস পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। এবং তা পাইকারি বিক্রি করতে পারেন। আপনি স্থানীয় বাজারে কসমেটিকস দোকান দিয়ে কসমেটিক্স সামগ্রী পাইকারিতে বিক্রি করতে পারেন।
09. উপহার সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
একটি উপহার সামগ্রী শপ খুলে উপহার পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। আপনি স্থানীয় মার্কেটে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। এবং পণ্য গুলোর ব্র্যান্ডিং করতে পারেন।
উপহার পণ্য তৈরি করে, তা পাইকারি বিক্রি করতে পারেন। আপনার নিজের ডিজাইন করা আকর্ষণীয় উপহার পণ্য আপনার নিকটস্থ বাজার গুলোতে পাইকারিতে বিক্রয় করতে পারেন।
10. ইলেকট্রিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া
ইলেকট্রিক পণ্যের একটি দোকান নির্মান করে ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। যেমন-
- এনার্জি লাইট
- চার্জার লাইট সিলিং ফ্যান
- টেলিভিশন
- ফ্রিজ
- স্ট্যাবিলাইজার
- ব্লেন্ডার মেশিন
- স্পিকার
- আয়রন
- পানির ফিল্টার
- সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার
- মাল্টিপ্লাগ
- আইপিএস
- ইউপিএস
- মাইক্রোওয়েভ
- ওয়াশিং মেশিন
- ক্যামেরা
- এয়ার কন্ডিশন
- এয়ার কুলার ইত্যাদি।
উপরে দেওয়া পণ্য গুলো বড় বড় কোম্পানি থেকে ক্রয় করে, নিজের এলাকাতে একটি দোকান ঘর নিয়ে, সে গুলো পাইকারিতে বিক্রি করতে পারেন।
তবে, ইলেকট্রিক ব্যবসা শুরু করার জন্য। অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় একটু বেশি টাকা পুঁজি খাটাতে হবে। এই ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার মুলধন প্রয়োজন হতে পারে প্রায় ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। এটি শুধু মাত্র ব্যবসার প্রাথমিক অবস্থায়।ৎ
শেষ কথাঃ
আমরা আজ এই পোস্টে জানিয়ে দিলাম, পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গুলো সম্পর্কে। এখন আপনারা উক্ত ১০ টি লাভজনক ব্যবসা থেকে যে কোন একটি ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।
আর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ…