আধুনিক এই বিশ্বে আজ আপনি ব্যবসা না করেও আয় করতে পারবেন ঠিক ব্যবসার মতোই। আর আজ ব্যবসা শুধু তার মালিকের কাছেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা ছড়িয়ে পড়িয়েছে সাধারণ জনগণের কাছে। একজন একটি ব্যবসা শুরু করে অপর কাউকেও নিজের মূলধনে যুক্ত করতে পারেন।
সেই সাথে পারেন মূলধন এর পরিমাণ বাড়ীয়ে অধিক লাভ করতে। বলছিলাম শেয়ার বাজার এর কথা। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ কোম্পানিই আজ এর সাথে জড়িত। যার মাধ্যমে হাজারো মানুষ পাচ্ছে ব্যবসা না খুলেও টাকা ইনভেস্ট করার উপায়। এবং সেই টাকা কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম।
আজ তাই আলোচনা করব শেয়ার বাজার কি ? কিভাবে শেয়ার মার্কেট কাজ করে? । আলোচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজ আমরা এই বিষয়টি এর প্রতি আলোকপাত করতে যাচ্ছি। তাই সাথেই থাকুন।
শেয়ার বাজার কি?
শেয়ার বাজার কথাটি আপনি শেয়ার বলে একটি অংশ নিশ্চয় পাচ্ছেন তাই না? শেয়ার কথাটির অর্থ হলো কারও সাথে কোনো কিছু ভাগাভাগি করে নেয়া এবং সেখান থেকে যা আসবে তারও অংশ ভাগ করা। শেয়ার বাজার জিনিসটা ঠিকই একই রকম বলা যেতে পারে।
উদাহরণ স্বরূপ ধরা যেতে পারে, একটি কোম্পানির যদি ১০০০০০ টি শেয়ার থেকে থাকে। এবং সেখান থেকে আপনার জন্য দেয়া হয় ১০০০ শেয়ার। তবে ভাববেন আপনি সেই কোম্পানির ১% এর মালিক। অর্থাৎ ওই কোম্পানি যদি বিক্রি করা হয় বা সেখান থেকে কোনো লাভ আসে তবে আপনি তার ১% পাবেন নিশ্চিতভাবেই।
এবার দেখে নেয়া যাক শেয়ার বাজার কি? শেয়ার মার্কেট কথাটির সাথে অপরিচিত হলেও আপনি স্টক মার্কেট কথাটির সাথে নিশ্চয় পরিচিত আছেন। স্টক মার্কেটই হলো শেয়ার মার্কেট। সংজ্ঞার ভাষায় আমরা একে কিছুটা এভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি। শেয়ার বাজার হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে একজন ব্যক্তি বা একটি বিনিয়োগ কারী কোম্পানি শেয়ার কিনতে অথবা বিক্রি করতে আসে।
আপনার জন্য আরোও লেখাঃ
- গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি? এর কাজ কি, কিভাবে মোবাইলে সেটিং করবেন?
- ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয় ? ইউটিউব থেকে আয়
- অনলাইনে আয় করার আকর্ষণীয় ও সহজ 6 টি পদ্ধতি
শেয়ার বাজার থেকে কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার মাধ্যমে আপনি হয়ে যাবেন সেখানকার শেয়ারহোল্ডার। এরপর থেকে আপনি সেখানে ইচ্ছামতো টাকা ঢালতে পারবেন কোম্পানির পিছনে। এছাড়াও যে কোন সময় আপনি সেই শেয়ার বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। শেয়ার মার্কেট এর মূল ধারণা মূলত এটুকুই। আশা করি আপনার তা বোধগম্য হয়েছে।
কোম্পানি কেন শেয়ার বিক্রি করে?
এখন আপনি নিশ্চয় এই প্রশ্ন আনতে পারেন যে একটি কোম্পানি কেন শেয়ার বিক্রি করবে তাই না? এই প্রশ্নটির উত্তরে আপনি একটু ভেবে দেখুন একটি কোম্পানি চালানোর জন্য কি প্রয়োজন ? প্রয়োজন হলো মূলধন এবং বিস্তার এর জন্য প্রয়োজন অর্থ। আর সেই অর্থ বৃদ্ধির জন্য আপনাকে শেয়ার বিক্রি করা হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
কোম্পানি বা শেয়ার এর মধ্যে পার্থক্য কি?
একটি কোম্পানি আর কোম্পানির শেয়ার এর মধ্যে পার্থক্যটা কি? কোম্পানি বা শেয়ার কি এক? এই প্রশ্নগুলোর জন্য আমরা একটু নিচে লক্ষ করব। আশা করি তাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।
আপনার শেয়ার যুক্ত কোম্পানি যদি দেউলিয়া অর্থাৎ নিঃস্ব হয়ে যায় তবে আদালত তার সেই সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারবে এবং আপনি কিছুই পাবেন না।
তবে আপনি যদি চান তবে আপনার শেয়ার আপনি বিক্রি করতে নাও পারেন। এটা পুরোই আপনার উপর।
কোম্পানি যদি নিঃস্ব হয় তবে আপনাকে ক্ষতির মুখ অবশ্যই দেখতে হবে এবং মূল্য কমে যাবে।
আবার আপনিও যদি দেউলিয়া বা নিঃস্ব হয়ে পড়েন তবে কোনোভাবেই আপনাকে কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করতে দেয়া হবে না মোটেও।
আশা করি নিজস্ব একটি কোম্পানি এবং শেয়ার এর মধ্যের পার্থক্য আপনি বুঝতে পেরেছেন।
কোম্পানি শেয়ার কিনে আপনার লাভটা কোথায়?
শেয়ার কিনে আপনার লাভটা কোথায় সেই জিনিসটা বুঝার জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে যে আপনি কি কি করতে পারবেন শেয়ার কিনে। তাই এক নজড়ে একটু দেখে নেয়া যাক শেয়ার কিনে আপনি কি কি করতে পারবেনঃ
- শেয়ার কিনে আপনি কোম্পানির একজন শেয়ার হোল্ডারে পরিণত হবেন অর্থাৎ কোম্পানির গভর্নিং বডির একজন সদস্য। এর মাধ্যমে কোম্পানির সভাতে অংশ নিতে পারবেন।
২। কোম্পানি যদি একটি বছরে মুনাফা বা লাভ অর্জন করে তবে আপনি সেই লাভ থেকে আপনার অংশ বুঝে নিতে পারবেন। এতে করে আপনার ব্যবসা ছাড়াই টাকা আয় হবে।
৩। আপনার যদি একটি কোম্পানিতে একাধিক শেয়ার কেনা থাকে তবে আপনি যখন তখন তা বিক্রি করে দিতে পারবেন। হ্যাঁ, এক্ষেত্রে একাধিন শেয়ার কিনে তা একটি ভালো পর্যায়ে বিক্রি করলে লাভ হওয়ার ভালো চান্স থাকে।
৪।শেয়ার কেনার কয়েক বছর পর আপনি তার দামও আরও বেশি করে বিক্রি করে দিতে পারবেন অন্য কারোর কাছে।
আশা করি শেয়ার বাজার কিভাবে আপনাকে উপরকৃত করতে পারবে সে বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। আর এর মাধ্যমেই আপনার ধারণাও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বাংলাদেশে কয় প্রকার শেয়ার বাজার বিদ্যমান?
বাংলাদেশে শেয়ার বাজারের দুটো ধাপ বা শ্রেণি রয়েছে। আর এই দুটো শ্রেণির উপর ভিত্তি করেই কোম্পানিগুলো নিজেদের শেয়ার কেনা বেচা করা থাকে। প্রাথমিকভাবে এই শেয়ার দুটোকে মূলত বলা হয়ে থাকেঃ
- প্রাইমারি শেয়ার
- সেকেন্ডারি শেয়ার
পরবর্তী পয়েন্টে আমরা শেয়ার বাজার এর প্রকার ভেদ সমন্ধে বিস্তারিত জানব।
শেয়ার বাজার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
এ পর্যায়ে আমরা জানব শেয়ার বাজার এর প্রকারভেদ সমন্ধে বিস্তারিত তথ্য। যার ফলে শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার পুরো ধারণাটুকু পরিষ্কার হয়ে যাবে আশা করি। চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
প্রাইমারি শেয়ারঃ
সেকেন্ডারি শেয়ার এর তুলনায় মানুষ প্রাইমারি শেয়ার এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট বলা হয়ে থাকে। তার কারণ একটু পরেই আমাদের সামনে উঠে আসবে। তবে প্রাইমারি সমন্ধে আমাদের ধারণা পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
প্রাইমারি শেয়ার এর ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো নিজেদের শেয়ারকে বিভিন্ন শেয়ার বাজারে দিয়ে থাকে বিক্রি করার জন্য। তবে এই শেয়ার কেনার সময়ই একটি বিপুল অংকের টাকা চলে যায়।
যাই হোক প্রাইমারি শেয়ার এর ক্ষেত্রে যে জিনিসগুলো ধরা হয়ে থাকে তা হলো শেয়ার এর মূল্য এর পাশাপাশি প্রিমিয়াম এর মূল্যও ধরা হয়ে থাকে। বিষয়টি মনে হয় আপনার কাছে পরিষ্কার নয় তাই না?
চলুন সে জন্য আমরা একটি উদাহরণ দ্বারা তা পরিষ্কার করে নিই। ধরা যাক আপনার একটি কোম্পানি রয়েছে। আর আপনার কোম্পানিকে আপনি ১০০০ শেয়ারে বিভক্ত করলেন। এখন আপনি ১০০০ এর প্রত্যেকটি ভাগের জন্য মূল্য বরাদ্দ করে দিলেন ১০০ টাকা করে। পাশাপাশি প্রাইমারি এর ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম এর জন্য দিলেন ৫০ টাকা। এখন যে কেউ আপনার সেই শেয়ার কিনতে আসুক না কেন তাকে মোট দিতে হবে ১০০ যোগ ৫০ মোট ১৫০ টাকা। অর্থাৎ শেয়ার পিছু তাকে ১৫০ টাকা করে খরচ করতে হবে। এভাবেই মূলত প্রাইমারি শেয়ার কাজ করে থাকে। কিন্তু সেকেন্ডারি শেয়ার এর ক্ষেত্রে একটু খানি ঝামেলা রয়েছে। যা আমরা নিচের পয়েন্ট এ জানব।
আরও পড়ুন:
- Crypto-currency কি? বিস্তারিত জেনে নিন!!
- এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট – জানুন বিস্তারিত!!
- জিমেইল পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি কি করব ? সমাধান
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার কমপ্লিট গাইডলাইন
সেকেন্ডারি শেয়ারঃ
প্রাইমারি শেয়ার পরে আমাদের কাছে যে শেয়ার এর কথা আসে তা হলো সেকেন্ডারি শেয়ার। প্রাইমারি শেয়ার সমন্ধে আপনার একটি ভালো ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি ভালো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। সেকেন্ডারি শেয়ার বলতে কি বুঝায় তা একটু দেখে নেয়া যাক,
সেকেন্ডারি শেয়ার বলতে মূলত ওই প্রাইমারি শেয়ারকেও বুঝানো যায়। তবে সেকেন্ডারি শেয়ার হলো সেই শেয়ার যে শেয়ারটিকে সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে নিচ্ছেন তা কোম্পানির কাছ থেকে না নিয়ে কোনো একজন শেয়ারহোল্ডার এর কাছ থেকে নেয়া। শেয়ারহোল্ডার এর কাছ থেকে যে শেয়ার কেনা হয় তাই মূলত এই সেকেন্ডারি শেয়ার।
বলতে পারেন যে সেকেন্ডারি শেয়ার কেন ক্রয় করা হয়ে থাকে?
এক্ষেত্রে একটু বুঝিয়ে দেয়া যাক। আপনি প্রথম ক্ষেত্রে প্রাইমারি শেয়ার সাথে তো পরিচিত আছেনই। সেখানে একটু খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে একটি শেয়ার ক্রয় করতে গেলে আমাদের দুটো জিনিস প্রয়োজন এক হলো শেয়ার মূল মূল্য বা দাম। আর তার সাথে আপনাকে দিতে হবে প্রিমিয়াম। এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানিই তাদের প্রিমিয়াম এর দাম অনেক বেশি দিয়ে থাকে।
যার ফলে আপনি সেখান থেকে কেনার সামর্থ্য নাও রাখতে পারেন,। সেক্ষেত্রে আপনি বিকল্প হিসাবে যা করতে পারেন তা হলো সেকেন্ডারি শেয়ার এর মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় করা।
তবে সেকেন্ডারি শেয়ার একটু বাকা পথে যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ফান্ডামেন্টাল প্লাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা রাখতে হবে। তবে সেকেন্ডারি শেয়ার এর ক্ষেত্রে যে বিষয়টি তা হলো আপনি যদি ভেবে থাকেন এর মাধ্যমে রাতারাতি আপনি বড়লোক হয়ে যাবে তবে সে ধারণা বাদ দিয়ে দিন।
প্রাইমারি শেয়ার এবং সেকেন্ডারি শেয়ার সমন্ধে এই ছিল আমাদের আলোচনা। শেয়ার প্রকারভেদ সমন্ধে আশা করি আপনার মূল ধারণাটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
অনলাইন ট্রেডিংঃ
শেয়ার বাজার এর ব্যবসাকে আরও কিছুটা সহজ করেছে এই অনলাইন জগত। হ্যাঁ, আপনি যেমন শারীরিকভাবে কোনো কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন তেমনি অনলাইন ট্রেডিং এর মাধ্যমেও উক্ত কাজটি করতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রেই মূল বিষয়টা হলো বিনিয়োগ। আর একে বুঝতে পারলেই আপনি লাভবান হতে পারবেন। একজন গ্রাহক চাইলেই অনলাইনে এই শেয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত হতে পারেন খুব সহজেই। সেক্ষেত্রে তাকে কোনো ধরনের কোনো রকম শেয়ারও কিনতে হবে না। শুধুমাত্র বিনিয়োগ এর মাধ্যমেই এটি সম্ভব। আপনিও চাইলে ফরেক্স ট্রেডিং কিংবা আরও কিছু ট্রেডিং এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করে টাকা আয় করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি কাউকে পাশে রেখেও এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। শেয়ার ব্যবসার সাথে এর মূল একারণেই যে উভয় ক্ষেত্রেই আমরা বিনিয়োগ এর একটা ভালো সুযোগ পেয়ে যাই।
আর কেউ চাইলে এর মাধ্যমে একটি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবে। সেই সাথে এর মাধ্যমে আপনি টাকাকে কয়েকগুণও করতে পারবেন।
শেয়ার বাজার সমন্ধে কিছু কথাঃ
শেয়ার বাজার এর ফলে আমাদের টাকা কয়েকগুণ হয় কথাটি ঠিক। কিন্তু সেই টাকাটি কোথা থেকে আসে তা যদি একটু তাকিয়ে দেখি তাহলেই আমাদের চোখ খুলে যাবে। ইসলাম এর দৃষ্টিতে এমন শেয়ার বাজার কিছুটা সুদের আওতায় পড়ে যায়।
যার ফলে এ থেকে ইনকামকৃত আপনার সব টাকাই হারাম হয়ে যায়। তাই আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই এটি থেকে বিরত থাকা আপনার জন্য ভালো হবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে অনলাইন ট্রেডিংও এমনি।
আজকের আর্টিকেলটি আমরা আলোচনা করেছি শেয়ার বাজার কি, কিভাবে শেয়ার মার্কেট কাজ করে সেই সমন্ধে। উক্ত আর্টিকেলটিতে একজন যদি শেয়ার বাজার করতে চায় তবে তার প্রাথমিক ধারণা এখানেই পেয়ে যাবেন। আশা করি এর মাধ্যমে আপনিও একটা ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন। তবে সেই সাথে আপনাকে মনে রাখতে হবে এখানকার নিচের কথাটুকু।
আপনার ইনকাম হালাল হওয়াটাই জরুরি। আর তা যদি না হয় তবে সব শেষ। তাই তো আপনাকে সব সময় এটি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আর শেয়ার বাজার অনলাইন ট্রেডিং উভয়ই এ ক্ষেত্রে একই। এরকমই টেকনোলজি ও অনলাইন ইনকাম সমন্ধে পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ব্লগটিকেও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।