ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায়

ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায় : আমরা জানি ছাত্রজীবন অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এই ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় কোন ইনকামের সুযোগ পান। তবে জীবনটা অনেক সুখের করে তুলতে পারবেন।

তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ছাত্রদের টাকা আয় করার সেরা উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনি যদি আমাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী অনলাইনে, কাজ করতে পারেন।

ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায়
ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায়

তাহলে, নিজের পড়া লেখার খরচ নিজে চালাতে পারবেন। এবং বাড়তি টাকা নিজের সংসারের খরচ এর জন্যও দিতে পারবেন।

তাই আপনি যদি ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায় সম্পূর্ণ জানতে চান? তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আপনি যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন ইনকামের পথ খুঁজে পান। তাহলে আপনার পরিবারের দ্বারস্থ হতে হবে না টাকার জন্য।

তো চলুন এমন কোন কাজ গুলো করলে, আপনারা ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে টাকা রোজগার করতে পারবেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ছাত্ররা কিভাবে অনলাইনে আয় করতে পারবে ?

কোন প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়া অনলাইন ইনকাম করার চিন্তা করা এক ধরনের বোকামি। তবে এমন কিছু কিছু কাজ রয়েছে, যা স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়।

উক্ত অভিজ্ঞতা মূলত একজন শিক্ষার্থীর আওতাভুক্ত করতে বেশি একটা কঠিন হবে না। বর্তমান সময়ে, উচ্চ লেভেলের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার পাশাপাশি। হাজার হাজার ডলার রোজগার করছেন নিজের ঘরে বসে।

তাই আমরা আজকে আপনাকে জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এর আওতাধীন। যা অনলাইন জগতে অনেক জনপ্রিয়, একজন শিক্ষার্থী ইনকাম করতে পারবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য, নিম্নোক্ত তো লেখাগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।

ব্লগার (Blogger) হিসেবে টাকা আয় করার উপায়

আমাদের বাংলাদেশে বা দেশের বাইরে হাজার হাজার ব্লগার রয়েছে যারা নিজের একটি বা একাধিক ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের ব্লগিং করে মাসে ৫০০ ডলার থেকে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত রোজগার করছেন।

আপনার একটি ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে নিয়মিত সেখানে, সময় মত ব্লক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি যখন ব্লগিং সেক্টরে, বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে, সর্বমোট ২০ থেকে ৩০ টি আর্টিকেল লিখবেন। তখন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ টি গুগল এডসেন্স নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে পারবেন।

এরকমভাবে একজন ব্লগার ব্লগিং করে শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স থেকে মাস শেষে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবে। তবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগলের রেংকিং করার জন্য, একটু সময়ের প্রয়োজন হবে, প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর।

বর্তমান সময়ে ব্লগে, শিক্ষা জীবনে স্টুডেন্টদের প্যাসিভ ইনকাম এর একটি সম্মানজনক স্ট্যান্ডার্ড কাজ হিসেবে প্রমাণিত। এই ব্লগিং বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত আমাদের এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল, ভিজিট করে পড়লে জানতে পারবেন।

কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ব্লগিং কি, কিভাবে শুরু করবেন, ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছি।

আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে আয়

বর্তমান সময়ে ব্লগিং এবং আর্টিকেল রাইটিং এ দুটি প্রায় একই ধরনের কাজ। ব্লগিং মূলত শুধুমাত্র নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কাজ করা হয়।

অন্যদিকে আর্টিকেল রাইটার হচ্ছে টাকার বিনিময়ে অন্যের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা। তার মানে, আপনারা আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নির্ধারিত আয় করতে পারবেন।

তো আর্টিকেল রাইটার হিসেবে অন্যের ওয়েবসাইটে কাজ করতে চাইলে, তুলনামূলক ভাবে সময়ের পরিমাণ একটু বেশি দিতে হবে। তো ইনস্ট্যান্ট ইনকাম করার জন্য, অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করার কোন বিকল্প নেই।

বর্তমান সময়ে অসংখ্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আয় করা যায়। যেমন- ব্লগ সাইট, নিউজ সাইট সহ আরো বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে, টাকা রোজগার করতে পারবেন।

আবার আপনার যদি ইংরেজিতে, ভালো দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের দেওয়া আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে, মাসে হাজার হাজার ডলার রোজগার করতে পারবেন।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডলার ইনকাম করতে চাইলে, আপনাকে ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ খুঁজে নিতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আপনারা কি জানেন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। সহজভাবে বলতে গেলে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে, অন্য একজনের প্রোডাক্ট যা আপনি বিক্রি করে দিবেন অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।

উক্ত প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে যে, পরিমাণে লভ্যাংশ আসবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা আপনাকে অটোমেটিক ভাবে দেওয়া হবে।

মনে করুন- আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেখানে গুগল এডসেন্স দ্বারা ইনকাম করছেন। এখন আপনি সেই ওয়েবসাইটে জনপ্রিয় কিছু কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।

তারপর আপনি গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি, এফিলিয়ান মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, আপনার ইনকামের পরিমাণ দ্বিগুণ করে, নিতে পারবেন।

পৃথিবীতে এমন কত গুলো এফিলিয়েট মার্কেটের রয়েছে যে, তার ওয়েবসাইট থেকে শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

তো এই কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যে এত পরিমাণের টাকা আয় করতে অনেক সময় এবং সাধনা বিশেষ করে, পরিশ্রমের দরকার হয়।

তাই আপনি যদি একজন ছাত্র হিসেবে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ইনকাম করতে চান তাহলে আপনারা ফেসবুক পেজ তৈরি করে, সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে, লভ্যাংশ কমিশন গ্রহণ করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমান সময়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী youtube চ্যানেল দেখতে আগ্রহী। তো আপনারা ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও গুলো দেখার পাশাপাশি চাইলে নিজেও ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে, ইনকাম করতে পারবেন।

তো ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে যা আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে তৈরি করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর আপনারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করে।

ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করে, বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে চাইলে, আপনার কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন-

  1. চলতি এক বছরের মধ্যে 1 হাজার সাবস্ক্রাইব সম্পন্ন করতে হবে।
  2. চলতি এক বছরের মধ্যে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পন্ন করতে হবে।

আপনি যদি ইউটিউবের এই দুইটি শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলে আপনারা খুব সহজেই গুগল এডসেন্স দ্বারা ডলার রোজগার করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ছাত্র হিসেবে অনলাইনে আয় করতে চান? তাদের সুবিধার জন্য আমরা এখানে ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

এখন আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান? সেটির উপর ভালোভাবে রিসার্চ করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এই কাজগুলো স্টুডেন্ট অবস্থায় করার পাশাপাশি, ভবিষ্যতে, ফুল টাইমে রূপান্তরিত করে কাজ করতে পারবেন।

আর ছাত্রদের টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment