ল্যাপটপ কি : ল্যাপটপ হল একটি সম্প্রতি তৈরি করা একটি প্রযুক্তিগত যন্ত্রাংশ যা ব্যক্তিগত ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এটি একটি স্থানবিশিষ্ট কম্পিউটার যা সমান্তরাল একটি কম্পিউটার স্ক্রিন, কিবোর্ড, টাচপ্যাড বা অন্যান্য ইনপুট ডিভাইস এবং স্পিকারের সংমিশ্রণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
ল্যাপটপ গুলো হাতের মধ্যে পরিবহণ যোগ্য এবং ব্যবহার করা সহজ হওয়ার জন্য সহজ হয়। এটি গ্রাফিক্স ডিজাইন, গেমিং, প্রোগ্রামিং, অফিস কাজ এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ল্যাপটপ গুলো ব্যাটারিতে চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে এবং সাধারণত তাদের ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সম্প্রতিক পূর্ববর্তী সংস্করণ গুলো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তাই আপনারা যারা বিভিন্ন কাজের জন্য, ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান? তারা পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চাইলে।
অবশ্যই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কি? সে বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তো চলুন বিস্তারিত আলোচনায় শুরু করা যাক।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি?
আপনি যদি একটি পুরাতন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই, ল্যাপটপটি কেনার আগে কিছু করনীয় রয়েছে।
একটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি করনীয়। সে বিষয় গুলো জানতে, নিম্নোক্ত আলোচনা গুলো অনুসরণ করুন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ক্যাশ মেমো দেখে কিনুন
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ক্যাশ মেমো দেখে কিনার পরামর্শ দিতে পারি। ক্যাশ মেমো দেখার মাধ্যমে আপনি ল্যাপটপের কেনার পরিমাণের ব্যাপারে ধারণা পাবেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।
একটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ক্যাশ মেমো দেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে:
ল্যাপটপের বর্তমান অবস্থা: ক্যাশ মেমোতে ল্যাপটপের বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এটি আপনাকে জানাবে যে ল্যাপটপটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, কোন সমস্যা আছে কিনা।
ব্যবহৃত সময়: ল্যাপটপ ব্যবহৃত কতদিন একটি পুরাতন ল্যাপটপ হয়েছে এটি ক্যাশ মেমোতে উল্লেখ করা থাকে। এটি আপনাকে সাধারণত পুরাতন ল্যাপটপের ব্যাটারি জীবনকাল, কাজের দিকে সমর্থন কিনা জানা যায়।
কোন অক্ষমতা বা সমস্যা: যদি ল্যাপটপে কোন অক্ষমতা বা সমস্যা থাকে, তা অবশ্যই ক্যাশ মেমোতে উল্লেখিত হবে। এটি আপনাকে অবস্থাটি সম্পর্কে জানাবে এবং আপনি সমস্যাটি সমাধান করার জন্য কি প্রয়োজন পরবেন সেটিও দেখতে সাহায্য করবে।
বিক্রেতার তথ্য: ক্যাশ মেমোতে ল্যাপটপটি কোথায় কিনা হয়েছে তা থাকতে পারে, এবং বিক্রেতার নাম এবং যোগাযোগের বিবরণ উল্লেখিত থাকে।
এটি আপনাকে সম্ভাবিত গ্যারান্টি প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য সহায়তা করবে।
পুরাতন ল্যাপটপের বডি চেক করুন
আপনি পুরাতন ল্যাপটপের বডি চেক করতে চান। নিম্নে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে:
ভেতরের কন্ডিশন পরীক্ষা করুন: ব্যাগ খোলার আগে ল্যাপটপের ভেতরে অবস্থানে কোন ক্ষতি আছে কিনা চেক করুন।
ক্ষতিগ্রস্ত কোন এলিমেন্ট বা পরিমাণ এলিমেন্ট থাকলে সেটিকে সমাধান করতে হবে বা অন্যকে দেখাতে হবে যথায়থ মূল্য নির্ধারণ করার জন্য।
ক্ষতি: ল্যাপটপের বডি সম্পর্কে সামগ্রিক পরীক্ষা করুন এবং কোন ক্ষতি আছে কিনা দেখুন। এটি ক্র্যাক, ভাঙ্গা আছে কিনা তা অনুমান করতে পারেন।
পুরানো ব্যবহারকারীর ব্র্যান্ডিং চেক করুন: ল্যাপটপের বডি উপরে কোন চিহ্নিত ব্র্যান্ডিং থাকতে পারে, যেটি বোঝায় এটি পুরানো ব্যবহারকারীর ব্যাবহার করা হয়েছে এবং ব্র্যান্ড পরিচিতি দেয়।
এটি আপনাকে একটি ধারণা দিতে পারে যে ল্যাপটপটি কতদিন ব্যবহার হয়েছে এবং কতদিন অনুমানিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এই পদক্ষেপ গুলি আপনাকে পুরানো ল্যাপটপের বডি চেক করতে সাহায্য করবে। যদি আপনি কোনও বিষয়ে সন্দেহ বা সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন পেশাদার কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট চেক করুন
আপনি পুরাতন ল্যাপটপের USB পোর্টগুলি চেক করতে চান। নিম্নে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হলো যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে:
পোর্টের শার্টগুলি চেক করুন: পোর্টগুলির ওপরে কোন শার্টগুলি আছে কিনা দেখুন। শার্টগুলি হলে তাদের ঠিক করা বা সমাধান করা প্রয়োজন হতে পারে।
পোর্ট চেক করুন: পোর্টে পিন ভেঙ্গে গেছে কিনা দেখুন। পিন গুলি ভেঙ্গে যাওয়া পরিষ্কারভাবে চেক করুন এবং যদি কোন সমস্যা থাকে তবে এটি সঠিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।
পোর্ট ফাংশনালিটি পরীক্ষা করুন: একটি কার্যকর ইউএসবি ডিভাইস ব্যাবহার করে পোর্টটির ফাংশনালিটি চেক করুন।
যদি ইউএসবি ডিভাইস ঠিকমতো কার্যকর না হয়, তবে সমস্যাটি পুনরায় চেক করার জন্য অন্য পোর্টে আপনার ডিভাইসটি চেক করুন।
ড্রাইভার চেক করুন: ল্যাপটপের সঠিকভাবে কনফিগার হওয়ার জন্য উচ্চারিত ইউএসবি ড্রাইভার গুলি ইনস্টল আছে কিনা দেখুন।
নতুন ড্রাইভার আপডেট করার প্রয়োজন থাকতে পারে যদি আপনি একটি পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন।
এই ধাপ গুলি আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপের USB পোর্টগুলি চেক করতে সাহায্য করবে। যদি আপনি কোনও সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন পেশাদার কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপের ওয়াইফাই চেক করুন
আপনি পুরাতন ল্যাপটপের ওয়াইফাই চেক করতে চান। ওয়াইফাই চেক করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
ওয়াইফাই সক্রিয় করুন: নিশ্চিত করুন যে আপনার ল্যাপটপের ওয়াইফাই সক্রিয় করা হয়েছে। এটি সাধারণত সিস্টেম ট্রে বা কিবোর্ডের ফাংশন কীর মাধ্যমে সক্রিয় করা হয়।
ওয়াইফাই সংযোগ চেক করুন: আপনার ল্যাপটপ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। এটি সাধারণত টাস্কবারে বা নেটওয়ার্ক সেটিংসে পাওয়া যায়।
নেটওয়ার্ক তালিকা দেখুন এবং আপনার মেধা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে কিনা তা দেখুন।
ড্রাইভার চেক করুন: নিশ্চিত করুন যে ওয়াইফাই ড্রাইভারগুলি আপনার ল্যাপটপে পরিষ্কারভাবে ইনস্টল করা হয়েছে। আপনি ওয়াইফাই ড্রাইভারগুলি ইনস্টলার সাইট বা ল্যাপটপের প্রয়োজনীয় ড্রাইভারগুলি খুঁজে বের করে তাদের আপডেট করতে পারেন।
ফিজিক্যাল সমস্যা চেক করুন: এক্সটার্নাল ওয়াইফাই সীমিতি নিয়ে চিন্তা করুন। যদি আপনি কোনও উচ্চ দক্ষতার রাউটার বা মডেম ব্যবহার করছেন এবং তার সাথে সমস্যা থাকে, তবে তা চেক করুন।
এই ধাপ গুলি আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপের ওয়াইফাই চেক করতে সাহায্য করবে। যদি কোনও সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন পেশাদার কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপের ডিভিডি রাইটার চেক করুন
পুরাতন ল্যাপটপের ডিভিডি রাইটার চেক করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
ফিজিক্যাল চেকঃ প্রথমে নিশ্চিত করুন যে ডিভিডি রাইটারটি সঠিকভাবে ল্যাপটপের কেসে সংযুক্ত আছে। যদি প্রয়োজন হয়, এটি নিয়ে স্থানান্তর করুন বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করুন।
ড্রাইভার চেকঃ নিশ্চিত করুন যে ডিভিডি রাইটারের সঠিক ড্রাইভারগুলি ইনস্টল করা হয়েছে। আপনি ডিভিডি রাইটারের প্রস্তাবিত উত্পাদকের ওয়েবসাইট থেকে সমর্থিত ড্রাইভার গুলি ডাউনলোড করতে পারেন এবং তাদের ইনস্টল করতে পারেন।
ডিভাইস ম্যানেজার চেকঃ আপনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইস ম্যানেজারে যাওয়ার মাধ্যমে ডিভিডি রাইটারটি চেক করতে পারেন। ডিভাইস ম্যানেজারে ডিভিডি রাইটার সঠিকভাবে শনাক্ত করে তা নিশ্চিত করুন।
যদি কোনও সমস্যা থাকে, তবে সেখানে ড্রাইভার আপডেট বা সমস্যার নিরসন পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে পারেন।
উপরের দেওয়া ধাপ আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপের ডিভিডি রাইটার চেক করতে সাহায্য করবে। যদি কোনও সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপের কিবোর্ড চেক করুন
পুরাতন ল্যাপটপের কিবোর্ড চেক করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
ফিজিক্যাল চেক: নিশ্চিত করুন যে কিবোর্ডটি সঠিকভাবে ল্যাপটপের কেসে সংযুক্ত আছে। যদি প্রয়োজন হয়, এটি নিয়ে স্থানান্তর করুন বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করুন।
ফাংশনালিটি চেক: প্রথমে নিশ্চিত করুন যে কিবোর্ডের সমস্যা নেই এবং সমস্যা হলেও অবস্থান যে সেটিংগুলি এক্সপেক্টেড মত কাজ করছে।
কিছু সাধারণ ফাংশন কী চেক করুন যেমনঃ মিউট, ভলিউম আপ/ডাউন, ব্রাইটনেস, স্ক্রিন লক, অ্যারো কিস্ট্রোল, এক্সপোজ, এস্কেপ, ট্রাকপ্যাড/টাচপ্যাড, ইত্যাদি।
কিবোর্ড সাফটওয়্যার চেক: নিশ্চিত করুন যে কিবোর্ডের সঠিক সাফটওয়্যারগুলি ইনস্টল করা হয়েছে। সাধারণত, ওয়িন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু কিবোর্ড সাফটওয়্যার ইনস্টল করে।
যেমনঃ ড্রাইভার, বোর্ড ইউটিলিটি, কিবোর্ড সেটিংস, ইত্যাদি। নিশ্চিত করুন যে এগুলি আপডেট এবং প্রয়োজনীয় সাফটওয়্যারগুলি ইনস্টল আছে।
উপরের পদক্ষেপ গুলি আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপের কিবোর্ড চেক করতে সাহায্য করবে। যদি কোনও সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন পেশাদার কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপের টার্চ প্যাড চেক করুন
পুরাতন ল্যাপটপের টাচপ্যাড চেক করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
ফিজিক্যাল চেক: নিশ্চিত করুন যে টাচপ্যাডটি সঠিকভাবে ল্যাপটপের কেসে সংযুক্ত আছে। যদি প্রয়োজন হয়, এটি নিয়ে স্থানান্তর করুন বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করুন।
টাচপ্যাড সমস্যা নেই এমন নিশ্চিত করুন: মনে রাখবেন, পুরাতন ল্যাপটপের টাচপ্যাডে কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে যেমন ম্যাউস কার্সরের অবিলম্বে চলা না, বা কিছু অপ্রত্যাশিত ক্লিক ইত্যাদি।
একটি টাচপ্যাড সমস্যার কারণ হতে পারে প্রতিক্রিয়া বা কন্ট্রোলারের কোন সমস্যা। সেক্ষেত্রে, সাধারণত একটি মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে যেমন টাচপ্যাড ড্রাইভার আপডেট বা টাচপ্যাড সেটিংস পরীক্ষা করা।
টাচপ্যাড সাফটওয়্যার চেক: নিশ্চিত করুন যে সঠিক টাচপ্যাড সাফটওয়্যারগুলি ইনস্টল করা হয়েছে। সাধারণত, ওয়িন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু টাচপ্যাড সাফটওয়্যার ইনস্টল করে।
যেমনঃ ড্রাইভার, সেন্সিটিভিটি সেটিংস, মাল্টিটাচ জেসচার ইত্যাদি। নিশ্চিত করুন যে এগুলি আপডেট এবং প্রয়োজনীয় সাফটওয়্যারগুলি ইনস্টল আছে।
উপরের পদক্ষেপ গুলি আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপের টাচপ্যাড চেক করতে সাহায্য করবে। যদি কোনও সমস্যা পেশ করতে চান, তবে একজন পেশাদার কম্পিউটার মেরামত কর্মীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
উক্ত বিষয় গুলো ছাড়া আপনাদের পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করার আগে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো ভাবে পরীক্ষা করতে হবে। যেমন- ল্যাপটপের এসএসডি কার্ড, চার্জার, ব্যাটারি ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
আলোচনার শেষে আপনাকে বলতে চাই, পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবসময় মনে রাখবেন। যেমন-
ধরুন আপনি কি উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান, যেমন ব্যবহার করা হবে, বিশেষ প্রোগ্রামিং, গেমিং, প্রফেশনাল কাজ, সাধারণ অফিস কাজ ইত্যাদি।
উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্পেসিফিকেশন, প্রকার, প্রসেসর, র্যাম, হার্ডডিস্ক, গ্রাফিকস কার্ড ইত্যাদি নির্ধারণ করুন। তারপরে একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনুন। ধন্যবাদ…