Tecno কোন দেশের কোম্পানি : বর্তমান সময়ের টেকনো একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ডের নাম। এই টেকনো স্মার্ট ফোন উৎপাদনকারী সংস্থা প্রায় সারা পৃথিবীতে, বিভিন্ন মডেলের মোবাইলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৫ বছর যাবত চেষ্টা চালিয়ে, তারা এখন এই টেকনো স্মার্টফোন কোম্পানি উচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছেন। বিভিন্ন স্মার্ট ফোন সংস্থাগুলোর সাথে এক লেভেলে দাঁড়িয়ে আছেন।

আরো অন্যান্য স্মার্টফোন গুলোর সাথে সমান তালে প্রতিযোগিতা চালাচ্ছেন। টেকনো কোম্পানি স্মার্টফোন গুলো খুব ভালো ফিচার সমূহ রয়েছে বিশেষ করে এই টেকনো ফোন গুলোর দাম অনেক কম।
- হেডফোন কি? হেডফোন ব্যবহারের নিয়ম
- এন্ড্রয়েড মোবাইল স্লো হয়ে গেছে? মোবাইল স্লো সমস্যার সমাধান
- মোবাইল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কেন ?
তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে, Tecno কোন দেশের কোম্পানি এবং টেকনো কোম্পানির মালিক কে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেব।
টেকনো কোম্পানির সম্পর্কে যাবতীয় ধারনা পেতে, আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
টেকনো কোম্পানির মালিক কে ?
টেকনা হচ্ছে, চীন দেশের একটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি। যা শেসজেন শহরের সদর দপ্তরে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে সারা পৃথিবীতে পরিচিত।
টেকনো কোম্পানিতে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও মোবাইল এক্সেসরিজ হচ্ছে এই কোম্পানির প্রধান প্রোডাক্ট।
উক্ত কোম্পানির তৈরি করা পণ্যের চাহিদা সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে টেকনো কোম্পানির স্মার্টফোন সারা পৃথিবীতে, মানুষ খুব আনন্দের সাথে ব্যবহার করে।
টেকনো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হলেন- “George Zhu” – (জর্জ ঝু)। তিনি টেকনো কমিউনিকেশন লিমিটেড কোম্পানির চালু করেছিলেন 2006 সালের দিকে।
“George Zhu” গুগল, জেডটিই, টেনসেন্ট সিসকোর মতো- বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানিগু লোতে বিভিন্ন পদে বহু বছর কাজ করে গেছেন।
এ জন্য তিনি অর্জন করেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা গুলো। তাই আজ তিনি টেকনো কোম্পানির এত বড় মালিক হয়েছেন।
Tecno কোন দেশের কোম্পানি ?
আমরা আগেই বলেছি টেকনো স্মার্টফোন কোম্পানি ২০০৬ সালে শোভাযাত্রা শুরু করেন। কিন্তু তখন তার নাম ছিল টেকনো টেলিকম লিমিটেড।
কিন্তু, কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর টেকনো টেলিকম কোম্পানি থেকে এর নাম রাখা হয়, শুধু টেকনো।
এই টেকনো কোম্পানিটি প্রথম থেকে মূলত আফ্রিকার দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যবসা শুরু করেন।
আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকার দেশ গুলোতে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে। এই টেকনো কোম্পানিটি দেখে যে, টেকনো স্মার্টফোনের বিক্রি আফ্রিকার দেশগুলোতে সব থেকে বেশি এবং ভালো।
তারপর টেকনো কোম্পানি ভারতবর্ষে ২০১৭ সালে, তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে শুরু করেন। সে বছরেই টেকনো কোম্পানির লঞ্চ করেন ম্যাট ফর ইন্ডিয়া স্মার্টফোন যা অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ভারত বর্ষদের কাছে।
তারপর টেকনো কোম্পানি আরো বিভিন্ন ধরনের মডেলের টেকনো স্মার্টফোন তৈরি করে, যা বাজার জাত করে, বিক্রি শূরু করেন।
Tecno কোম্পানির ইতিহাস
কোম্পানি প্রথম টেকনো টেলিকম লিমিটেড নামের শোভাযাত্রা শুরু করেছিল। তারপর এটিকে শুধু টেকনো নামে পরিচয় দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে, টেকনো আইটেল নামে একটি নতুন সাব-ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা পরিচালনা করেন। যা 2017 সালের সব থেকে স্টুডেন্ট ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
টেকনো কোম্পানি ২০১৬ সালে ভারতে তাদের প্রথম স্মার্ট ফোন লঞ্চ/ বাজারজাত করেন। তখন তাদের স্মার্টফোনের দাম অনেক কম ছিল কিন্তু স্মার্টফোনগুলোর স্পেসিফিকেশন গুলোর মান অনেক উন্নত ছিল।
যার ফলে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে, টেকনো কোম্পানির স্মার্টফোন গুলো মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তারপর ২০১৮ সালের প্রথমদিকে ভারতে আরও একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন লঞ্চ করে টেকনো কোম্পানি। এরকম ভাবে সারা পৃথিবীতে, টেকনো কোম্পানির স্মার্টফোন গুলো লঞ্চ করে বিক্রি করা শুরু করেন।
তাই আপনি যদি টেকনো কোম্পানির স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করতে চান? তাহলে বিশ্বের যে, কোন দেশে অবস্থান করে, বিভিন্ন মডেলের টেকনো স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন, অল্প দামে কিনে নিয়ে।
টেকনো কোম্পানি মানুষের সুবিধার জন্য বাটন ফোন থেকে শুরু করে, বিভিন্ন মডেলের স্মার্ট ফোন তৈরি করেন। আপনারা খুব সহজেই স্মার্টফোন গুলো কেনার পর ব্যবহার করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
আমরা জানি, বাংলাদেশ, ভারত আরো অন্যান্য দেশ গুলোতে এখন বাটন ফোনে তুলনায় স্মার্টফোন গুলো বেশি জনপ্রিয় ভাবে ব্যবহার করেন।
তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য, বিষের জনপ্রিয় একটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে, টেকনো কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।
আপনারা উপরের আলোচনায়, টেকনো কোম্পানির মালিক কে? এবং টেকনো কোন দেশের কোম্পানি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি টেকনো কোম্পানির সম্পর্কে আরো কোন কিছু তথ্য জানতে চান, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানির সম্পর্কে জানতে, নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
ধন্যবাদ।