মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় : মানুষের জীবনের সাথে বিশেষভাবে জড়িত। চিন্তা ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে মানসিক চাপ হৃদরোগের কারণ। নিউইয়র্কের রচেস্টার মেডিকেল সেন্টার এর গবেষণায় বলা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে। যে দুশ্চিন্তা স্বল্প পোস্টের খাবার বা ব্যায়াম করার অনীহার ফলে যে, সকল শারীরিক সমস্যা হয়। মানসিক চাপের ফলেও সৃষ্ট সমস্যা গুলো সাধারণত আরো ভয়াবহ হয়।
মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় নিয়ে, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
আপনি যদি আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন, মাথা থেকে চিন্তা দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে।
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক মাথা থেকে চিন্তা দূর করার সহজ উপায় গুলো।
প্রাণ খুলে হাসুন
২০০৫ সালে এক পরিচালিত গবেষণায় জানা যায়। সব সময় গম্ভীর থাকার বিপরীতে প্রাণ খুলে হাসলে, শতকরা বেশিরভাগ মানুষ ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামূলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর, গবেষকরা এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয় যে, নিয়মিত আমোদ-ফুর্তি, হৃদস্পন্দন এর হার বাড়িয়ে দেয়।
আবার ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকার জার্নাল অফ কার্ডিয়লজির তথ্য অনুযায়ী হাসিঠাট্টার ফলে, দেহের সংবহন তন্ত্র বা বিভিন্ন নালির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
আমাজন শপিং বাংলাদেশ (অনলাইন কেনেকাটা)
তাই সবসময় ঠোটের কোণে এক চিল হাসি রাখুন। বা পারলে মন খুলে হাসুন তাহলে দুশ্চিন্তা ভুলে থাকতে পারবেন।
মেডিটেশন
আপনার মানসিক চাপ দূর করার জন্য মনকে শান্ত করার সব থেকে জরুরি একটি বিষয় হচ্ছে মেডিটেশন করা।
কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায় ২৫ মিনিট একটানা তিন দিন মেডিটেশন করলে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
তাই আপনি যদি কোন দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। তাহলে মেডিটেশন করে দুশ্চিন্তা কমাতে পারেন।
নিজেকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন
মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন- বিভিন্ন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরির কাজ করুন।
একটি প্রচলিত কথাই বলা হয় অলস মস্তিষ্ক শয়তানের দোস্ত। এতে কিন্তু বাস্তব দিক থেকে সত্য। আপনি কোন কাজ না করে অলসভাবে বসে থাকলে, হতাশা এবং দুশ্চিন্তা ঘিরে থাকবে সব সময়।
তাই মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য অবশ্যই ভালো কোন কাজে নিজেকে যুক্ত করুন যাতে করে দুশ্চিন্তা দূর করতে পারবেন।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটান
আপনি যদি মাথায় দুশ্চিন্তা নিয়ে ভুগে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য। আপনার ভালো বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।
আপনি যদি সব সময় একাকীত্ব জীবন যাপন করেন তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
এছাড়া কখনো হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতের আশঙ্কা থেকে যায়।
তার জন্য নিজের ঘরে একাকীত্ব না থেকে আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান আড্ডা দিন। তাহলে দুশ্চিন্তা দূর করতে পারবেন।
ডায়েরি লিখুন
আপনারা হয়তো কখনো ডায়েরি লিখেন নি। যে বিষয়টি আপনাকে বেশি কষ্ট দেয়, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি একটি ডায়েরিতে লিখুন।
তার পাশাপাশি আপনি কি করতে চান? কি করলে আপনার ভালো লাগবে সে বিষয়টি লিখুন। ডাইরি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ দূর করতে অনেকটাই সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত ঘুম
বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। তো মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে চাইলে অবশ্যই ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম আবশ্যক।
এজন্য সবসময় এর চেয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তে ঘুমানো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ঘুম থেকে ভালো স্ট্রেস লুজার কিছুই পাবেন না।
তাই আপনার যখন আর কোন কিছুই ভালো লাগবে না। এছাড়া মনে হবে কোন কিছুতেই মন দিতে পারছে না। তখন একটু নিরিবিলি জায়গা দেখে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাহলে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে আশা করা যায়।
একটি কথায় আছে না টেনশন মানুষের জীবন স্বচ্ছন্দ গতি ও স্বাভাবিক চলার পথে বিঘ্ন ঘটায়। সেরকমভাবে এ কথায় কোনভাবে অস্বীকার করার কারণ নেই।
তবে, জীবনে কিছু পরিমাণের চিন্তা থাকা প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই চিন্তা জীবনের কাজ করার পেছনে উৎসাহ জাগায়। এবং ক্ষেত্র বিশেষ কাজ করার পেছনে, চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা মাথা থেকে চিন্তা দূর করার উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে, খুব সহজেই চিন্তা দূর করতে পারবেন।
তবে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। ভালো কোন কাজ করার জন্য। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কোন কাজে চিন্তত হওয়া যাবে না।
তাই আপনি যদি মাথায় অতিরিক্ত চিন্তার চাপ নিয়ে থাকেন সেটি দূর করতে চান?
উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে, জীবন যাপন করুন। দেখবেন মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবেভ
তো আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হন তবে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর বিশেষ করে, এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের জানাতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন ধন্যবাদ।