টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট : বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই উপায় গুলো’র মধ্যে এমন কিছু বিদেশি ওয়েবসাইট যেগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
কিন্তু কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট না করেই ইনকাম করার জন্য এই ওয়েবসাইট গুলো বেশিরভাগ তেমন ইনকাম করার সুযোগ প্রদান নাও করতে পারে।
তবে আপনি যদি এই কাজ গুলো ধৈর্য সহকারে করতে পারেন। তাহলে মাস শেষে ভালো পরিমানে টাকা রোজা করা সম্ভব হবে।
আর এই বিদেশী ওয়েবসাইট গুলোতে আপনারা পার্ট টাইম হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানাবো টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে।
কোন ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম করা কি সম্ভব
আপনারা যারা প্রশ্ন করে থাকেন কোন ইনভেড ছাড়া ইনকাম করা কি সম্ভব? এর উত্তরে আমি আপনাকে বলব, হ্যাঁ! অবশ্যই আপনারা চাইলে কোন প্রকার ইনভাইট ছাড়াই অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
অনলাইন সেক্টর গুলোতে অসংখ্য পরিমাণের রিয়েল ইনকাম ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোতে একদম বিনামূল্যে একাউন্ট তৈরি করে, ছোট ছোট কার সম্পন্ন করতে পারলে, ডলার রোজগার করতে পারবেন।
রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার জন্য। আপনাকে একটি টাকাও ইনভাইট করতে হবে না। কিন্তু আপনি কোন ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করবেন এবং কতক্ষণ কাজ করবেন। সেটা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা আয় করবেন।
তো অসংখ্য বিদেশি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোতে আপনারা নিয়মিত ছোট ছোট কাজ গুলো করে, ইনকাম করার সঠিক পথ হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
আবার আপনারা চাইলে ব্লগার, ইউটিউব ইত্যাদির মত বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে, প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তো এ বিষয়ে সহজভাবে বলতে চাইলে। আপনারা একটি ভালো ও জেনুইন অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চাইলে, বিদেশি ওয়েবসাইট গুলোতে বিনা ইনভেস্টে ইনকাম করা সম্ভব।
বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো থেকে সত্যিই কি টাকা দেয়?
আপনার যদি প্রশ্ন হয়ে থাকে বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো থেকে সত্যি কি টাকা দেয়? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব।
আপনারা যারা একটি ভালো রিয়েল ইনকাম ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন? তাহলে অবশ্যই বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো পেমেন্ট করবে।
অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ধরনের রিভিউ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রিসার্চ করে আমি আপনাদের সামনে, রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো থেকে আসলেই পেমেন্ট পাওয়া যায়।
অনলাইনে অসংখ্য পরিমাণের ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে বিশেষভাবে কাজ করার পর পেমেন্ট প্রদান করা হয় না। অযথাই আপনার সময় গুলো নষ্ট হয়।
তাই অনলাইন ইনকামের জন্য আপনাকে এই ধরনের ফেইক ওয়েবসাইট গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। তো চিন্তার কোন কারণ নেই।
আমি এখানে বাছাইকৃত বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে জানাবো। যেগুলো তে কাজ করে আপনারা আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট
অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলো বর্তমান সময়ে, টাকা ইনকাম করার সবথেকে সহজ এবং সুবিধাজনক উপায় হয়ে উঠেছে। আপনারা এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে অনেক দ্রুত টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
তো চলুন আর বেশি সময় নষ্ট না করে জেনে নেয়া যাক। রিয়েল ইনকাম বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে। যা থেকে আপনারা মাস শেষে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ySense
অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত টাকা ইনকাম করার জন্য, অনলাইন পেইড সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি বৈধ এবং প্রচলিত সার্ভে ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে- ySense.
এই ওয়েবসাইটে গ্লোবাল অনলাইন কমিউনিটি যেখানে একাধিক ইনকামের সুযোগ পাওয়া যায়। আপনারা এখানে সরাসরি নিজের নামে প্রোফাইল তৈরি করে, পেইড সার্ভে, ক্যাশ অফার গুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
আবার আপনারা চাইলে, একই ওয়েবসাইটে ভিডিও দেখে, ডাউনলোড করে, বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে, লিংক রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
FreeCash
Freecash রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইন আয় করতে পারবেন। এখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজের ক্যাটাগরি দেখতে পারবেন। যেমন- সার্ভে/ জরিপ, গেম খেলা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট সাইন আপ করার মাধ্যমে ইনকাম করা।
এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের অফার ট্যাব অপশনে ক্লিক করে আপনারা প্রতিটি অফার জেনে নিতে পারবেন। এছাড়া অফার সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে কত টাকা প্রদান করা হবে, সেখানেই দেখতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটে মূলত বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেম এবং অ্যাপগুলোকে ডাউনলোড করে, প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা যায়। বেশিরভাগ অফার গুলো সম্পন্ন করে আপনারা প্রায় এক ডলার পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন।
YouTube
অনলাইন ইনকামের বিষয়ে যদি কথা আসে রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট। তাহলে সবার আগে বলা যায় ইউটিউব এর কথা। youtube এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে যে কোন ভিডিও সহজেই দেখা যায়।
অনলাইনের টাকা আয় করার জন্য। ইউটিউব সবথেকে বিশ্বস্ত এবং লাভজনক একটি ওয়েবসাইট। মানুষ তাদের যে, কোন একটি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে ফ্রি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে। মাস শেষে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারে।
- ইউটিউবের বিকল্প ৫ টি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট
- ইউটিউবে কোন ধরনের ভিডিও মানুষ বেশি দেখে ?
- ইউটিউব থেকে আয় করার [AtoZ] গাইডলাইন
আপনি যদি দ্রুত টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে দেখেন অবশ্যই ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য একটু বেশি সময় লাগতে পারে। বিশেষ করে, ছয় মাস হতে এক বছর পর্যন্ত।
আপনি যখন youtube এর শর্ত অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে পারবেন।
তখন গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দ্বারা বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। ১০০% নিশ্চিন্তে।
Fiverr
Fiverr মার্কেটপ্লেস কি এ বিষয়ে আমরা আগের একটি আর্টিকেলে জানিয়ে দিয়েছি। তো ফাইবার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এটি একটি রিয়েল বিদেশি টাকা আয় করার ওয়েবসাইট।
এখানে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে ডলার ইনকাম করা যায়। বিশেষ করে আপনারা এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে- ক্লায়েন্টের দেওয়া লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি কাজগুলো করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
আর আপনি যখন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, কিছু কাজের দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে উঠবেন। তখন এই ফাইবার মার্কেটপ্লেসে আপনারা প্রতি ঘন্টা হিসেবে ডলার রোজার করা শুরু করতে পারবেন।
2Captcha
2Captcha একটি অনলাইন ক্যাপচা এন্ট্রি ওয়েবসাইট এখানে আপনারা পার্ট টাইম, বিভিন্ন ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন। তো ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই টাইপিং এ দক্ষ হতে হবে।
আপনারা দক্ষতার সাথে, ক্যাপচা পূরণ করতে পারলে প্রতি এক হাজার ক্যাপ্টা পূরণ করে। আপনারা 200 থেকে 300 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
2Captcha, মূলত একটি অনলাইনে ক্যাপচা পূরণ করে পার্ট-টাইম ইনকাম করার একটি দারুন ওয়েবসাইট। এটা সবথেকে সহজ ও সুবিধাজনক অনলাইন ওয়ার্ক যেটা জেকেও করতে পারবেন।
2Captcha একটি দারুন প্লাটফর্ম যেখানে ক্যাপচা গুলো টাইপ করার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। তবে মনে রাখবেন, এখান থেকে আপনারা কেবল সাধারণ হাত খরচ বের করতে পারবেন।
কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করে ভেরিফাই করার পর দিয়ে দেওয়া ক্যাপচা কোড গুলোকে সঠিক ভাবে টাইপ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ক্যাপচা পূরণ করার কাজ করে আপনারা যে, পরিমাণ টাকা রোজগার করবেন। সেটি আপনারা বিভিন্ন ব্যাংকিং একাউন্ট এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বিভিন্ন সার্চে জেনে সন্ধান করেন। টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট কোন গুলো। তাদের সুবিধার জন্য মূলত আমরা এখানে রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট গুলো তালিকাভুক্ত করেছি।
এখন আপনার পছন্দমত যে কোন একটা রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
আর রিয়েল বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার বিষয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
ধন্যবাদ।