পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি | ভেরিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে।

বর্তমান সময়ে পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি আমাদের কাছে একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

যারা এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত, তাদের সুবিধার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে, পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে যা যা লাগবে, সে বিষয়ে জানিয়ে দেব।

এখন পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাই আপনি যদি সহজ ভাবে পেওনিয়ার একাউন্টে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে চান?

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি | ভেরিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি | ভেরিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে।

তাহলে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার সহজ পদ্ধতি আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আমার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি কাজ করতে পারেন। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে পেয়েও নেয়ার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

তো চলুন, পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য যা যা লাগবে?

আপনারা যারা পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার চিন্তা করছেন। তাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক পেয়ে নেয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য কি কি লাগবে।

  • পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার কাছে- পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড ছাড়াও পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড ব্যবহার করে, পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি

পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য, আমরা নেচের আলোচনায় কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। যে পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করার ফলে, সহজেই ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

পদ্ধতি- 1 :

আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড থাকে। তাহলে সেটি স্ক্যান কপি পেওনিয়ার সাপোর্ট মেলে পাঠাতে হবে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ডকুমেন্ট এর সাইজ যাতে তিন মেগাবাইট এর বেশি না হয়ে যায়। আর অবশ্যই স্ক্যান করার ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে।

অনেকে চিন্তা করে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে পাঠালেই তো চলবে। কিন্তু না! আপনারা মোবাইল দিয়ে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকবেন। তাই একটু কষ্ট হলেও স্ক্যান করে ডকুমেন্টগুলো পাঠাবেন। স্ক্যান করার সময় কার্ডের সামনের অংশ এবং পেছনের অংশ ভালো ভাবে স্ক্যান করতে হবে।

পদ্ধতি- 2 :

পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং এনআইডি স্মার্ট কার্ড না থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা, পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।

এজন্য আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ ভালোভাবে স্ক্যান করে, নিতে হবে।

তারপর একটি কাগজে ভেরিফিকেশন এর তারিখ লিখবেন এবং কাগজের সবার উপরে, Payoneer লিখবেন। তারপর এক হাতে কাগজটি এবং আরেকটি হাতে পুরাতন আইডি কার্ড নিয়ে নিজের একটি ছবি তুলতে হবে।

তারপর শেষ ছবিটি এবং আইডি কার্ড স্ক্যান করে, কপিটি পেওনিয়ার সাপোর্ট মেলে পাঠিয়ে দিতে হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে, আপনারা খুব সহজে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

পদ্ধতি- 3 :

আপনারা পেওনিয়ার এর অ্যাকাউন্ট লগইন করে, কন্টাক্ট অপশনে প্রবেশ করবেন। সেখানে গিয়ে Call-US অপশনে ক্লিক করলে, কল করার জন্য কয়েকটি নাম্বার দেখানো হবে।

সেখান থেকে একটি নম্বর দেয়া রয়েছে। যা আপনারা ইউএসএর বাইরে থেকে কল করতে পারবেন।

তারপর গুগল এবং হ্যাংআউট দিয়ে সেই নাম্বারে কল করতে হবে। কল দেওয়ার পরে প্রথমে ইংরেজি ভাষা সিলেট করার জন্য 1 প্রেস করতে হবে।

তারপর আপনার পেওনিয়ার কাস্টমার আইডি দিতে হবে। আপনার একটি বাটন প্রেস করে, কাস্টমার আইডি দিয়ে দিবেন।

কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করার পর একজন কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কলটি গ্রহণ করবেন। তখন তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে আপনি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে আগ্রহী।

তারপর তিনি আপনার জন্মতারিখ জানতে চাবেন। জন্মতারিখ বলে দেয়ার পর, পেওনিয়ারে দেওয়া তিনটি সিকিউরিটি প্রশ্ন থেকে যেকোনো একটি উত্তর জানতে চাওয়া হবে।

তার জন্য কল করার আগে অবশ্যই সিকিউরিটি প্রশ্ন উত্তর নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর, কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সাপোর্ট মেলে পাঠিয়েছেন কিনা।

আপনি তার প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি হ্যাঁ বলে দিবেন, যে ডকুমেন্ট পাঠিয়েছি। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে, আপনার ডকুমেন্ট গুলো চেক করা হবে।

চেক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে, ডকুমেন্ট যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই সম্পন্ন করে দিবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা পিওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে চান? তারা উপরে দেয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে, ভেরিফাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিতে পারেন।

আর পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে, আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে। অবশ্যই কমেন্ট করে, জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment