অনলাইন ইনকাম কথাটি শুনলেই শরীর যেন কেমন করে তাই না? ঠিক তাই , ঘরে বসে অনলাইন থেকে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি ইনকাম করা যায় তাও আবার ঘরে বসে। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হবার কিছু নেই। বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে প্রতি মাসে অনলাইনে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে ইনকাম করা সম্ভব।
কিন্তু আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অনলাইন ইনকাম এর সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। ভালোভাবে বুঝতে হবে অন্যথায় অনলাইনে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
তো যাই হোক বন্ধুরা আজ এই টিউটোরিয়ালে আমি আলোচনা করছি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এর জনপ্রিয় এবং সহজ কিছু মাধ্যম নিয়ে। যে কাজগুলো করে একজন নতুন ব্যক্তি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবে।
এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান বা অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে নিচের বিষয়গুলো ভালভাবে লক্ষ করতে হবে। অনলাইন ইনকাম মোটেও কঠিন কোন কাজ নয় কিন্তু যদি আপনি নিয়ম না মেনে আপনার ইচ্ছা মত করে জানেন তাহলে কখনোই সফল হতে পারবেন না। তাই অনুরোধ রইল আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোন কাজটি করবেন।

অনলাইন ইনকাম কি
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে ঘরে বসে কাজ করে আয় করার নামই অনলাইন ইনকাম। অর্থাৎ আপনার যদি একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে, আপনার কম্পিউটার এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে বিভিন্ন কাজ করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন আর এটি হচ্ছে অনলাইন ইনকাম যেহেতু কাজটি অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে।
মজার বিষয় হচ্ছে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে অফিস নিতে হবে না, এক্সট্রা কোন ডেকোরেশন দরকার নেই। এখানে শুধুমাত্র দক্ষতা প্রয়োজন। অনলাইন থেকে আয় করতে হলে যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সবকিছু মেনে নিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ইনকামের সুবিধা ও অসুবিধা।
অনলাইনে ইনকাম শুরু করার পূর্বে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। আমি এখানে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত কিছু বেসিক তথ্য উপস্থাপন করলাম যে গুলো প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই প্রয়োজন হবে। এছাড়াও এখানে পেয়ে যাবেন অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর। যাইহোক দেখে নিন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বেসিক ধারণা গুলো।
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম শুরু করবেন
সবাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাই কিন্তু কিভাবে শুরু করবে সেটা বুঝতেই অনেকের 3 মাস 6 মাস এবং বছর খানেক সময় লেগে যায়। তারপর দেখা যায় সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে সঠিক ভাবে এগোতে পারেননি। তাই কিভাবে অনলাইনে ইনকাম শুরু করবেন এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
অনলাইনে ইনকাম শুরু করার জন্য আপনাকে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে:
- আপনার ধৈর্য থাকতে হবে।
- আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে পড়তে হবে, শিখতে হবে।
- যে কাজটি আপনি একেবারেই বুঝেন না বা আপনি পারবেন না সে কাজটি নিয়ে কখনোই অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করবেন না।
- অনলাইনে কাজ করার জন্য যে বিষয়টি আপনার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে আপনি সেই বিষয়টি নিয়েই শুরু করে দিন। মনে করুন আপনার ক্রিয়েটিভ কোন ডিজাইন করতে ভালো লাগে, সৃজনশীল কোন কিছু করতে ভালো লাগে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি লোগো ডিজাইন বা গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
- আর যদি আপনার লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে আপনি আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন
আপনি যদি ধৈর্য সহকারে আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন কে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে গড়তে চান তাহলে এখানে দেয়া বিষয়গুলোর ওপর রিচার্জ করে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে খুব সহজে ক্যারিয়ার গড়া যায় এরকম কিছু কাজ নিয়ে আজকের এই টিউটোরিয়ালটি সাজিয়েছি।
অনলাইনে ইনকাম করা শিখতে কতদিন সময় লাগে
অনলাইন ইনকাম করা শিখতে কতদিন সময় লাগবে এটা নির্ধারিত ভাবে কেউ বলতে পারবেনা। তবে অনলাইন থেকে ইনকাম করার বেশ কিছু কাজের ধরন রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে ২মাস থেকে শুরু করে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে অনলাইন ইনকাম করা শিখতে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই বেশিরভাগ কাজই এরকম যেগুলো অল্পসময়ের মধ্যেই ইনকাম শুরু করা সম্ভব।
এখানে আমি কিছু কাজের ধরন এবং পাশাপাশি সময়ের একটি তালিকা দিচ্ছি:
ক্রমিক | কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী টপিক ও পাশাপাশি টপিক |
আয় হতে আনুমানিক সময় লাগতে পারে |
01 | আর্টিকেল লিখে বা লেখালেখি করে অনলাইনে আয় । | ২ থেকে ৩ মাস। |
02 | ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট, গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, এড নেটওয়াক | ৩ থেকে ১০ মাস। |
03 | গ্রাফিক্স ডিজাইন, লগো ডিজাইন, ডিজাইনিং | ৬ মাস থেকে ২ বছর। |
04 | ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট | ৬ মাস থেকে ২ বছর। |
05 | ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সিপিও মার্কেটিং, ইউটিউবিং | ৩ থেকে ১০ মাস। |
06 | অনলাইন কোর্স, ভিডিও এডিটিং, এনিমেশন, অনলাইন ক্লাশ ইত্যাদি | ৬ মাস থেকে ২ বছর। |
উপরের চারটি শুধুমাত্র একটি নমুনা চার্ট হিসাবে দেয়া হলো। এখানে যে কাজগুলো সবচেয়ে বেশি করা হয়ে থাকে সেগুলোর একটি ধারণা দেওয়া হল এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি উপরে চার্টটির মত আনুমানিক একটা সময়ের মধ্যেই ইনকাম শুরু করতে পারবেন। আরও পড়ুন: অনলাইনে আয় শুরু করতে কত সময় লাগবে?
এটা আগেই বলেছি যে, অনলাইন থেকে ইনকাম করা শিখতে কতদিন সময় লাগবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে কাজের ধরন ক্যাটেগরির উপর।
এছাড়া আরও একটি বড় বিষয় হচ্ছে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয় সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারণা রয়েছে। আপনার যদি একেবারেই ধারণা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বেশি সময় লাগবে আর যদি আপনার কিছু ধারনা থাকে তাহলে সময় তুলনামূলক কম লাগবে।
আরো একটি জরুরি বিষয় হচ্ছে আপনি প্রতিদিন কতটুকু সময় করছেন এই কাজটি শেখার পিছনে। আপনি যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় কাজ শেখার পিছনে ব্যয় করেন তাহলে যে সময় লাগবে, তার অর্ধেক সময় লাগবে যদি আপনি প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন।
আবার আপনাকে এটাও খেয়াল রাখতে হবে অনলাইনে কাজ শেখার পূর্বে কোন কাস্টের ডিমান্ড অনলাইনে সবচেয়ে বেশি। আপনি এমন একটি কাজ শিখলাম যে কাজটি অনলাইনে কারো প্রয়োজন হয় না তাহলে সে কাজ শেখা শেখা সমান কথা।
চলুন দেখে নেই:
অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে কোন কাজের ডিমান্ড বেশি
অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে সেটি হলো অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে কোন কাজের ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি। মনে রাখবেন অনলাইনে যে কাজের ডিমান্ড বেশি আপনি যদি সেই কাজটি শিখে অনলাইনে ইনকাম করতে নামেন তাহলে অবশ্যই অনেক বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি শুধুমাত্র ডিমান্ড বেশি দেখে কাজ টি নির্বাচন করলেও হবে না কেননা যে কাজের ডিমান্ড বেশি সেই কাজের কম্পিটিশন বেশি অর্থাৎ এই কাজের জন্য যারা ফ্রিল্যান্স রয়েছে তাদের সংখ্যাও বেশি।
আপনাকে অবশ্যই খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কম্পিটিশন কম অর্থাৎ কাজের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে সেই কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার তুলনামূলক কম। সেখানে আপনার কাজের কম্পিটিশন কম হবে এবং আপনার ইনকাম করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় শুধুমাত্র কাজের ডিমান্ড বেশি এবং ইউজার কম হলেও কিন্তু আপনি কাজ পাবেন না যদি না আপনি কাজে দক্ষ হন। আপনি অনলাইনে যে কাজই করুন আপনাকে সে কাজের উপর পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা অর্জন করতে হবে অন্যথায় মার্কেটপ্লেসগুলোতে টিকে থাকতে পারবেন না।
এখানে আমি কয়েকটি টপিক আলোচনা করছি যেগুলো অনলাইনে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
অনলাইনে কোন কাজের ডিমান্ড বেশিঃ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
- ওয়েব ডিজাইন।
- ভিডিও এডিটিং।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- লোগো ডিজাইন।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
- আর্টিকেল রাইটিং।
- ডিজিটাল মার্কেটিং, ইত্যাদি।
আপনারা চাইলে এখান থেকে যে কোন একটি টপিক নির্বাচন করে সেটা কিভাবে রিসার্স করে তার উপর কাজ শেখা শুরু করে দিন। এছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে আপনারা চাইলে সেগুলো একটু ঘেঁটে ঘুঁটে খুঁজে নিতে পারেন।
আরো বিস্তারিত: অনলাইনে কোন কাজের ডিমান্ড বেশি ? আপনি কোন কাজ শিখবেন ?
অনলাইনে কত টাকা আয় করা যায়
এক কথায় উত্তর দিতে গেলে অনলাইনে কত টাকা আয় করা যায় এর উত্তর হবে আনলিমিটেড। অর্থাৎ অনলাইনে ইনকাম করার কোন লিমিটেশন নেই। আপনি যত দক্ষ হবেন, যত কাজ করবেন, তত ইনকাম করতে পারবেন। ক্যাটাগরি ভেদে ইনকামের পরিমাণটা কম বেশি হয়ে থাকে।
স্বাভাবিকভাবে যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে তাদের কাজের ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।
আমি নিম্নে পেশা অনুযায়ী কিছু ইনকামের নমুনা দিয়ে দিলামঃ
- একজন ব্লগার প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
- একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
- একজন ওয়েব ডেভেলপার প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
- একজন ওয়েব ডিজাইনার প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
- একজন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার প্রতিমাসে 30 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
এছাড়াও অন্যান্য সেপেশা গুলো রয়েছে সেগুলো তেও তাদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারে যা বর্তমানে চলমান কোন চাকরি থেকে সম্ভব নয়।
অনলাইন ইনকাম এর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, অনলাইন থেকে ইনকাম এর জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন? এই সেক্টরে আপনার একাডেমিক/শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন দাম নেই। অনলাইন সেক্টরে সবাই দেখবে আপনার কর্মদক্ষতা আপনি যে কাজটি করেন সেই কাজটির ওপর আপনি কতটুকু দক্ষ।
আপনি যদি একজন মাস্টার্স পাশ করা ব্যক্তি হন কিন্তু অনলাইনে আপনার সেই সার্টিফিকেট কোন কাজে লাগবে না যদি আপনি কাজে দক্ষ না হন। আমার পরিচিত অনেকেই এমন রয়েছে যারা এসএসসি পাশ করেনি কিন্তু অনলাইনে কাজ করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছেন।
অর্থাৎ- অনলাইনে কাজ করার জন্য একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন বেশি। তবে হ্যাঁ একজন শিক্ষিত ব্যক্তি খুব সহজেই অনলাইনের কাজগুলোকে আয়ত্ত করতে পারবে যেটি একজন অশিক্ষিত লোকের প্রচুর সময়ের প্রয়োজন।
অনলাইনে বিশেষ করে কিছু কাজ রয়েছে যে কাজগুলো শিক্ষিত লোক ছাড়া করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার, যেমন আর্টিকেল রাইটিং, ট্রান্সলেটর, টিচিং, ইত্যাদি।
আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র ইংরেজি বর্ণমালা বাংলা বর্ণমালা গুলো জানলেই কাজগুলো সহজে করে নিতে পারবে। যেমন, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এখানে আরো একটি বিষয় আলোচনা করা প্রয়োজন সেটা হল, আপনি যে কাজ শিখুন না কেন আপনার একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি একেবারেই কম থাকে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনাকে ভালোভাবে ইংরেজি শিখে নিতে হবে কেননা আপনি যখন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করবেন তখন বায়ারদের সাথে অবশ্যই আপনাকে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
সেজন্য আপনাকে অবশ্যই যোগাযোগের জন্য ভাষাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আর যদি আপনি কোন বায়ার এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারেন আপনি যত কাজে যান না কেন সেই কাজ কোথাও উপস্থাপন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কাজ করার জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন?
অনলাইন ইনকাম এর জন্য ইংরেজী এর প্রয়োজনীয়তা
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে ইংরেজি এর প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। কেননা অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলো ইংরেজি ভাষায় নির্মিত। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোর যেখানে আপনি কাজ করবেন সেগুলো ইংরেজি ভাষার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। আপনি একজন বাইরের সাথে যখন যোগাযোগ করবেন তখন আপনাকে ইংরেজি ভাষায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
তাই অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনি যে কাজটি করেন সে কাজটিতে ইংরেজি প্রয়োজন নাও হতে পারে কিন্তু আপনি যখন কোন বায়ারের সাথে কাজ করবেন তখন তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য হলেও ইংরেজি শিখতে হবে। আপনি যদি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন না করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: অনলাইন থেকে আয় করার জন্য ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা
অনলাইনে ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম অনলাইন থেকে আয় করার জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করব এই লেখার মেইন টপিক অর্থাৎ- কি কি কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তো বন্ধুরা এখানে আমরা আলোচনা করেছি ব্লগিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম নিয়ে।
১# ব্লগিং করে আয়
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয়। একেবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ব্লগিং হলো একটি ওয়েবসাইট থাকবে এবং সে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট/আর্টিকেল থাকবে। যখন আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ভিজিটররা তথ্য খুঁজতে আসবে তখন সে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম হলোঃ
- গুগল এডসেন্স
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- অন্যান্য বিজ্ঞাপন মনিটাইজেশন
- প্রমোশন এবং প্রডাক্ট রিভিউ
- লোকাল বিজ্ঞাপন ইত্যাদি
আরও পড়ুন: ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন? এটুজেড গাইড।
২# আর্টিকেল লিখে আয়
আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল আর্টিকেল লিখে আয়। অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তাদের মধ্যে আর্টিকেল লিখে আয় করা সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করতে যেমন সময় কম লাগে তেমনি খুব সহজে এই কাজটি করা যায়।
যদিও কাজটি খুব অল্প সময়ে শেখা যায় এবং সহজে কাজটি করা যায় কিন্তু এই কাজটির কম্পিটিশন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক বেশি। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটার প্রচুর রয়েছে তাদের মধ্যে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ রাইটার হিসেবে পরিচয় দিতে হবে।
আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব পড়বেনা।
একজন আর্টিকেল রাইটার আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে খুব সহজেই। আমি আগেই বলেছি আর্টিকেল রাইটিং খুব সহজ একটি কাজ। তারপরও আপনি যদি আর্টিকেল লিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আর্টিকের লেখার বিষয়ে কিছু জিনিস আপনাকে জানতে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে তথ্য না জানেন তাহলে বায়াররা যখন আপনার ইন্টারভিউ নিবে তখন আপনি তাদের সামনে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবেন না।
আপনি যদি একজন ভাল মানের দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের নিচের কিছু রিসোর্স ও গাইড রয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
আরোও পড়ুন:
- আর্টিকেল কাকে বলে ? আর্টিকেল লেখার জন্য কি জানতে হবে ।
- আর্টিকেল লিখে আয় করুন মাসে $1000 ডলার । আর্টিকেল লেখার নিয়ম
৩# কপি রাইটিং করে আয়
কপিরাইটিং আর্টিকেল রাইটিং এর একটি অংশ। কপিরাইটিং হল, কোন একটি আর্টিকেল অ্যাভেলেবল আছে সেই আর্টিকেলটি কে নিজের ভাষায় নতুন নতুন ফিচার দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে লিখতে হবে। অর্থাৎ একটি আর্টিকেল কে পুনরায় নতুন ভাবে নতুন ফিচার দিয়ে নতুন তথ্য সংযোজন বিয়োজন করে নতুন স্টাইলে লেখাই হলো কপিরাইটিং।
যেহেতু একটি আর্টিকেল কে অনুসরণ করে অন্য একটি আর্টিকেল লেখা হচ্ছে তাই এটাকে কপিরাইটিং বলা হয়। আবার এটাকে অনেকেই রি-রাইটিং ও বলে থাকেন।
বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কপিরাইটিং এবং রি-রাইটিং এর কাজ রয়েছে। আপনি যদি একজন কপিরাইটার হন তবুও আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং এর যাবতীয় যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো জানতে হবে।
এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো- সরাসরি আর্টিকেল রাইটিং এর থেকে কপিরাইটিং এর আইয়ের পরিমাণটা একটু কম তবে কাজ অনেকটাই সহজ।
এছাড়াও আর্টিকেল রাইটিং এর ভেতরে আরো কিছু কাজ রয়েছে যেমন- টেকনিকাল রাইটিং, অ্যাক্যাডেমিক রাইটিং, এসইও রাইটিং, কপিরাইটিং, কনটেন্ট স্ক্রাপিং, লিস্টিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: কপি রাইটিং কি? কিভাবে কপিরাইটিং করবেন? বিস্তারিত গাইড।
৪# গেস্ট ব্লগিং করে আয়
অনলাইনে ইনকাম এর জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে গেস্ট ব্লগিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু কাজ করে আয় করা যায়। তার আগে সংক্ষিপ্তভাবে বলে নিচ্ছি গেস্ট ব্লগিং আসলে কি।
গেস্ট ব্লগিং হলো- কোন একটি ওয়েবসাইটে আপনি একজন গেস্ট হিসেবে সেখানে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি নিজের জন্যও হতে পারে আবার কোন ক্লায়েন্টের জন্য হতে পারে।
গেস্ট ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়:
ব্লগিং করে আয় করার কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে যেমন:
সরাসরি আয়: কিছু কিছু ওয়েবসাইট অফার করে থাকে যে তাদের ওয়েবসাইটে কোন আর্টিকেল পাবলিশ করলে প্রতিটি আর্টিকেল বিনিময়ে তারা প্লে করে থাকবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য 5 ডলার থেকে শুরু করে 500 ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করবেন সে ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ নীতিমালা মেনে আপনাকে কাজ করতে হবে অন্যথায় আপনার লেখাটি তারা প্রকাশ করবে না।
পে পার ভিউ হিসাবে আয়: কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে টেস্ট পোস্ট এপ্রুভ করে। এবং তাদের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার লেখা আর্টিকেলটি যত ভিউ হবে তার ওপরে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা ব্যয় করা হবে। এই সিস্টেমটাকে pay-per-view (PPV) বলা হয়ে থাকে। এরকম ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার একটি আর্টিকেল এর জন্য তারা একটি লিমিটেড পরিমাণ পর্যন্ত পে করবে তারপর pay-per-view অপশনটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন, আপনি একটি আর্টিকেল থেকে সর্বোচ্চ 200 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আবার কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আজীবন pay-per-view এর ওপরে করে থাকে। এমন একটি ওয়েবসাইট হলো- medium.com।
ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আয়: ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে দুইভাবে আয় করতে পারবেন একটি হলো নিজের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক করবেন। অর্থাৎ আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন সেখানে আর্টিকেল এর মাঝখানে একটি কিবোর্ডে এর মধ্যে এঙ্করটেক্স করে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের একটি লিংক দিয়ে আসবেন। যখন একজন ইউজার সে আর্টিকেলটি পড়বে তখন সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ওয়েবসাইটে সরাসরি চলে আসবে। আর যখন আপনার ওয়েবসাইটে একজন ভিজিটর আসবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের ইনকাম এর একটি সোর্স তৈরি হয়ে গেল।
আবার এই ব্যাকলিংক টি কোন একটি ক্লায়েন্টের জন্যও করতে পারেন। ভালো একটি ব্যাকলিংক এর জন্য ক্লায়েন্ট 5 ডলার থেকে শুরু করে 500 ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।
আরও পড়ুন:
- গেস্ট ব্লগিং কি? গেস্ট ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়।
- ব্যাকলিংক কি? কেন ব্যাকলিংক দরকার? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন।
৫# নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়
অনলাইনে ইনকামের আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম। বেশিরভাগ ব্লগার এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে থাকে। কেননা এখানে আপনার নিজের কাজ নিজেই করবেন আপনার যখন ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে করতে পারবেন। যখন আপনি নিজের ওয়েবসাইটে নিজে কাজ করে ইনকাম করবেন তখন আপনি সেই ওয়েবসাইটের মালিক। এখানে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আপনাকে কারও অধীনে কাজ করতে হবে না।
আরও পড়ুন:
- কিভাবে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?
- কিভাবে ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেনএবং আয় করবেন?
- নিজের ওয়েবসাইট দিয়ে ব্লগিং করে কিভাবে আয় করবেন।
৬# গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। বর্তমান অনলাইন জগতে যত বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সিকিউর এবং সবচেয়ে বেশি পেমেন্ট করে থাকে গুগল এডসেন্স। ওকে গুগল এডসেন্স কে সোনার হরিণ থাকে। এর কিছু কারণ রয়েছে, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর সকল নীতিমালা মেনে তারপর গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে হবে।
আপনি যদি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে গুগল এডসেন্স এর টার্ম এবং কন্ডিশন গুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
গুগল এডসেন্স এর জন্য কি কি প্রয়োজন: একটি ওয়েবসাইট/একটি ইউটিউব চ্যানেল/অথবা একটি মোবাইল অ্যাপস। এ তিনটির যেকোনো একটি থাকলে আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স এ কত টাকা আয় হয়: একটি ওয়েবসাইটে যদি প্রতিদিন অ্যাভারেজ 2020 পেজ ভিউ হয় তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে প্রতিদিন 20 ডলারের মতো আয় করা যায়। তবে ওয়েবসাইটের টপিক বা বিভিন্ন কান্ট্রি ভেদে এই আইটা কমবেশি হতে পারে। আমি এখানে সম্ভাব্য একটি ইনকাম এর কথা বললাম।
আরও পড়ুন:
- কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবো? বিস্তারিত এখানে
- গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় দেখলে চমকে যাবেন।
৭# গুগল এডমোব এর মাধ্যমে আয়
গুগল এডমোব গুগল এডসেন্স এর একটি অংশ। গুগল এডসেন্স শুধুমাত্র ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব এ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে পক্ষান্তরে গুগল এডমোব এন্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ মোবাইলে যে সমস্ত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয় সেগুলো গুগলের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
গুগল এবং গুগল এডসেন্স এর ব্যালেন্স একই সাথে জমা হয় এবং একই তারিখে একই নিয়মে পরিশোধ করে থাকে। এটি শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন আর সকল নিয়ম কানুন। এর জন্য আলাদা কিছু এবং কোন টেশন আছে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে তারপর অ্যাপ তৈরি করে সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় আপনার গুগল এডমোব একাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে।
গুগল এডমোব থেকে কত টাকা আয় করা যায়: গুগল এডমোব থেকে গুগল এডসেন্স এর মতই ইনকাম করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: গুগল এডমোব কি? কিভাবে গুগল এডমোব থেকে আয় করবেন। বিবস্তারিত এখানে
৮# এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
অনলাইনে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায়?
আমি সংক্ষেপে বলে দিচ্ছি- এফিলিয়েট মার্কেটিং হল বিভিন্ন কোম্পানি এর বিভিন্ন পণ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। অর্থাৎ কোন কোম্পানির পণ্য আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট ফেসবুক বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিক্রি করে দেবেন তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।
আপনি যখন কোন কোম্পানিতে এফিলিয়েটার হিসেবে যোগদান করবেন, তখন সে কোম্পানি বা ওয়েবসাইট আপনাকে একটি পন্যের/সার্ভিসের লিংক দিয়ে দেবে। আপনি সেই লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা অন্যান্য মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে যদি কোনো ক্রেতা ক্লিক করে সেই পণ্যটি অর্ডার করে তখন আপনি সেই পণ্যের নির্ধারিত কমিশন পেয়ে যাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণত যে কোম্পানির প্রোডাক্ট কোম্পানি ডেলিভারি এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে থাকে। আপনার কাজ হল শুধুমাত্র প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর অর্ডার সম্পন্ন করে দেয়া।
বর্তমান বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে/ ই-কমার্স ওয়েবসাইট/ বিভিন্ন সার্ভিস ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশনের অফার করে থাকে। এভিয়েশন করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট অনলাইনে পাওয়া যায়।
যেমন-
ফিজিক্যাল প্রডাক্ট– টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, জামা কাপড়, ইত্যাদি। কমিশন: 2%-10%
ডিজিটাল প্রোডাক্ট– ডোমেইন, হোস্টিং, সফটওয়্যার, থিম, টেমপ্লেট, মোবাইল অ্যাপস ইত্যাদি। কমিশন- 5%-60% পর্যন্ত।
সার্ভিস– বিউটি পার্লার, কার সার্ভিস, কার ওয়াশ সার্ভিস, সেলুন, টেইলর ইত্যাদি- কমিশন- 5%-60% পর্যন্ত।
কোর্স ইত্যাদি– ওয়েব ডিজাইন কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স, আর্টিকেল রাইটিং কোর্স, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স ইত্যাদি- কমিশন- 5%-60% পর্যন্ত।
সাধারণ প্রোডাক্ট এর চেয়ে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও কোর্স সমূহ এফিলিয়েট কমিশন হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন। এটুজেড গাইড
- এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন ধরনের প্রোডাক্ট নির্বাচন করা উচিৎ?
৯# বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আয়
গুগোল অ্যাডসেন্সে ছাড়াও বর্তমানে প্রচার বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক রয়েছে আপনারা চাইলে আপনার ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল বা মোবাইল অ্যাপসে এই বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েব সাইট এর জন্য সবচেয়ে ভাল প্রফিট দিয়ে থাকবে। কিন্তু যদি কোনো কারণে গুগল এ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড না করে সে ক্ষেত্রে কি করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলেই যে কোনো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট ভিডিও অথবা মোবাইল অ্যাপস থেকে আয় করতে পারেন।
এজন্য আপনাকে গুগল এডসেন্স এর বিকল্প এড নেটওয়ার্ক গুলো খুঁজে নিতে হবে। বর্তমানে গুগল এডসেন্সের প্রতিদ্বন্দি বা বিকল্প নেটওয়ার্ক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
- Media.net.
- PropellerAds.
- Monumetric.
- Revcontent.
- AdThrive.
- Mediavine.
- InfoLinks.
- Bidvertiser.
আরওপড়ুন: বেস্ট গুগল এডসেন্স অলটারনেটিভ এড নেটওয়ার্ক কোনটি? বিস্তারিত এখানে।
১০# ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে আয়
ই কমার্স ব্যবসা হল একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা। এখানে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কে সাজিয়ে রাখা হয়। ক্রেতারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন একটি পণ্য অর্ডার করতে পারে। এবং যখন কোনো ক্রেতা কোন পণ্য অর্ডার করবে সেটি ওয়েব সাইটের এডমিন প্যানেলে চলে যাবে। এবং ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ সেই পণ্যটিকে সঠিকভাবে গ্রাহকের কাছে ডেলিভারি করবে। এটাই হলো ই-কমার্স ব্যবসার মডেল।
বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা multi-vendor হয়ে থাকে– এখানে একটি ওয়েবসাইটে যেকোনো বিক্রেতা তাদের প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারে। এবং ক্রেতারা সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারে। ওয়েবসাইটস/ ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ ক্রেতা এবং বিক্রেতা মধ্যস্থতা করে। এরকম ওয়েবসাইটে যখন কোনো ক্রেতা পণ্য অর্ডার করবে বিক্রেতা পন্যটিকে গ্রাহকের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে।
বিশ্বে বর্তমানে বড় বড় কয়েকটি ই-কমার্স হল: amazon.com, aliexpress.com, alibaba.com ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স ব্যবসা কি? কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন। এটুজেড গাইড।
১১# ইউটিউব থেকে আয়
অনলাইন থেকে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হলো ইউটিউব। বর্তমানে ইউটিউব থেকে আয় করাটা যেন ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। যারাই অনলাইনে আয় করবে বলে এই লাইনে এসেছে তারা হয়তো ব্লগিং নয়তো ইউটিউব শুরু করেছে।
ইউটিউব গুগলের পার্টনার এবং এটি একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখানে সবকিছুই ফ্রিতে করা যায়। এখানে আপনি ফ্রিতে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন, এবং ভিডিও আপলোড করে গুগল এডসেন্স মনিটাইজ করে টাকাও আয় করতে পারবেন। এখানে আপনাকে কোন পে করতে হবে না। শুধুমাত্র ইউটিউবের কিছু রোলস মেনে কাজ করতে হবে।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে ইউটিউব এর রুলস গুলো মেনে চলতে হবে। আমি এখানে ইউটিউব এর রুলস গুলো আলোচনা করছি।
ইউটিউব ভিডিওতে গুগোল অ্যাডসেন্স মনিটাইজ এর শর্তসমূহ:
- আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
- শেষ বারো মাসে কমপক্ষে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
- প্রত্যেকটি ভিডিও কপিরাইট ফ্রি এবং স্ট্রাইক ফ্রি থাকতে হবে।
- ভিডিওতে অবশ্যই ভয়েস থাকতে হবে।
এই শর্তগুলো ঠিক থাকলে আপনি আপনার ভিডিওতে গুগোল অ্যাডসেন্স মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:
- ইউটিউউব থেকে আয় করার টুটাল গাইড লাইন।
- মনিটাইজ ছাড়া ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়।
১২# অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয়
আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে সেই বিষয়ে ভিডিও আকারে কোর্স তৈরি করে, সেই কোর্স ওয়েবসাইট বা এফিলিয়েশনের মাধ্যমে মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি চাইলে আপনার খোঁজ করে সেখানে লিস্টিং করতে পারেন।
কোর্স বিক্রি করে আয় করার মার্কেটপ্লেস:
- Udemy for launching your first course
- Skillshare for teaching creative skills
- Teachable for creating an online school with advanced marketing
- Podia for selling digital products and memberships
- Thinkific for building a course from scratch
- Kajabi for marketing a course on autopilot
- LearnWorlds for creating an online school
এখানে কি ধরনের কোর্স বিক্রয় করা যায়: ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এছাড়াও অন্যান্য যে কোন কোর্স করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: কিভাবে অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করবেন?
১৩# অনলাইন ক্লাস করে আয়
আপনি যদি ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বা এই রিলেটেড কোন কাজে পারদর্শী হন তাহলে সেই কাজটির জন্য লাইভ ক্লাস করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
কিভাবে করবেন: প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, সেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভর্তি করতে হবে। যখন আপনার কাংখিত স্টুডেন্ট ভর্তি হয়ে যাবে তখন আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং, ভিডিও চ্যাটিং, অথবা মিটিং সফটওয়ারের মাধ্যমে লাইভ ক্লাস করাতে পারবেন।
এরকম ক্লাসগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবে।
কোর্সের মূল কত নির্ধারণ করবেন: আপনার কোর্সের ডিউরেশন এবং মান অনুযায়ী 5 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
- কিভাবে অনলাইন লাইভ কোর্স করবেন।
- অনলাইন ক্লাশ ও মিটিং এর সেরা কয়েকটি সফটওয়্যার।
১৪# অনলাইনে টুলস এর ব্যবসা করে আয়
বর্তমানে অনলাইনে কাজ করতে হলে প্রত্যেক সেক্টরেই কোনো-না-কোনো টুলস বা সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এর মধ্যে বর্তমানে অনলাইন পোস্টগুলো অনেক জনপ্রিয় রূপ ধারণ করেছে। যখনই কোনো টুলস এর প্রয়োজন হয় তখন সবাই অনলাইনে সার্চ করে থাকে।
যেমন- এসইও টুলস, পিডিএফ টুলস, এইজ ক্যালকুলেটর, কারেন্সি কনভার্টার, pdf 2 doc, কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল, ডোমেইন চেকার টুলস, অনলাইন আর্নিং চেকার টুলস, অনলাইন ট্রাফিক চেকার টুলস ইত্যাদি।
যারা অনলাইনে ব্লগিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় জড়িত রয়েছে বিশেষ করে তাদের বেশি টুলস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে এরকম যেকোন একটি টুলস ফ্রীতে প্রোভাইড করতে পারেন। এবং সেখানে গুগল অ্যাডসেন্স মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কিভাবে অনলাইন টুলসের ব্যবসা শুরু করবেন। এটুজেড গাইড।
১৫# ট্রান্সলেট করে আয়
বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় কয়েকশো ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে। পৃথিবীতে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী। আবার কেউ কেউ রয়েছে তারা একটি বা দুটি ভাষা জানে এ ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানে না। যখন কেউ কোনো একটি ভাষা না জানে তখন সে সহজেই এসে ভাষার একটি লোককে হায়ার করে তাদের নিজের ভাষায় ট্রান্সলেট করে দেয়ার জন্য।
আপনি যদি একজন ট্রান্সলেটর হন অর্থাৎ একটি ভাষা থেকে অন্য একটি ভাষায় রূপান্তর করতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে ট্রান্সলেট করার কাজটি করতে পারেন।
বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সলেট এর কাজ রয়েছে। আপনি চাইলেই সেখান থেকে বিট করে যে ভাষা জানেন সেই ভাষায় ট্রান্সলেট এর কাজগুলো নিয়ে অনায়াসে ঘরে বসে করে দিতে পারেন।
ট্রান্সলেট করে কত টাকা আ করা যায়: আপনি যদি ভাল ট্রান্সলেটর হন তাহলে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কিভাবে ট্রান্সলেট করে আয় করবেন। বিস্তারিত এখানে।
১৬# গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন অন্যতম একটি মাধ্যম। গ্রাফিক ডিজাইন কাজটি যেহেতু সৃজনশীল সেহেতু এই কাজটি মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি মাসে 20 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে চাইলে যেকোনো ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারে। বর্তমানে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করবেন? বিস্তারিত এখানে।
১৭# লগো ডিজাইন করে আয়
লোগো ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি অংশ। বর্তমানে লোগো ডিজাইন অনেক জনপ্রিয় হওয়ায় গ্রাফিক ডিজাইন এর মধ্যে একটি আলাদা সেকশন করা হয়েছে। লোগো ডিজাইন এর কাজ গুলো ছোট ছোট হওয়ায় এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। একজন লোগো ডিজাইনার তাদের ক্রিটিভ আইডিয়া দ্বারা একটি কম্পানির লোগো ডিজাইন করে থাকে। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে লোগো ডিজাইনে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
যেহেতু এই কাজটি অনেক ছোট একটি কাজ তাই সাধারণত লোগো ডিজাইনের জন্য কন্ট্রাকচুয়াল কাজের বেশি পাওয়া যায়। অর্থাৎ শুধুমাত্র একটি রোগের জন্য একটি নির্ধারিত পেমেন্ট করে থাকে।
গ্রাফিক ডিজাইন এর মতই লোগো ডিজাইনে বর্তমানে প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন লোগো ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে যে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল:
- একটি লোগোর মধ্যে নতুনত্ব আনতে হবে।
- কম্পানি বিজনেস এর সাথে মিলিয়ে সেপ তৈরি করতে হবে। যেন লোগো দেখে বুঝা যায় কোম্পানির বিজনেস সম্পর্কে।
- খুবই সিম্পল এবং সাধারণভাবে ডিজাইন করতে হবে। কেননা গর্জিয়াস ডিজাইন গুলো লোগোতে ভালো দেখায় না।
- বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
- বায়ারের কোন ডিজাইন পছন্দ আছে কিনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
- বায়ারের যদি কোন ডিজাইন বা সেপ পছন্দ থাকে তাহলে তার ওপর আপনার আইডিয়া প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: লগো ডিজাইন কি? কিভাবে লগো ডিজাইন শিখবেন? কোথায় কাজ পাবেন বিস্তারিত।
১৮# ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম
১৯# ওয়েব ডেভেলপ করে ইনকাম
২০# ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট করে আয়
২১# থিম ডেভেলপ করে আয়
২২# প্লাগইন ডেভেলপ করে আয়
২৩# সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
২৪# ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম
২৫# এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আয়
২৬# ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ
২৭# ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয়ে
২৮# অনলাইন টুলস বিজনেস করে আয়
২৯# অনলাইনে সাস ব্যবসা করে আয়
৩০# এন্ড্রয়েড এপ ডেভেলপমেন্ট করে আয়
৩১# ফেসবুক অডিযেন্স নেটওয়াক এর মাধ্যমে ইনকাম
৩২# ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও এর মাধ্যমে ইনকাম
৩৩# ফেসবুক ইন্সটেন্ট আর্টিকেল এর মাধ্যমে আয়
৩৪# ফেসবুক স্টোর এর মাধ্যমে আয়
৩৫# ডাটা এন্ট্রি করে আয়
৩৬# মাইক্রোজব এর মাধ্যমে আয়
৩৭# ভিডিও দেখে আয়
৩৮# বিজ্ঞাপন দেখে আয়
৩৯# লাইক কমেন্ট শেয়ার করে আয়
৪০# মোবাইল এপ থেকে আয়
৪১# ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয়
৪২# কুইজ খেলে আয়
৩৪# বাইনারী ট্রেডিং করে আয়
৪৪# ফরেক্স ট্রেডিং করে আয়
৪৫# ডিজিটাল প্রোডাক্ট মেইনটেইন এর মাধ্যমে আয়
সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ
বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেলের কোন লেখাটিতে অনলাইনে আয় করার জন্য কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি বিষয় ভালোভাবে পড়বেন এবং জানার চেষ্টা করবেন যে এই বিষয়টি নিয়ে আপনি কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন কিনা। তারপর ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এবং আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি রোডম্যাপ তৈরি করুন। এবং নিয়ম অনুযায়ী সঠিক পন্থায় লিগ্যাল ভাবে কাজ করে যান অবশ্যই সাকসেস হতে পারবেন।
বন্ধুরা লেখাটির যদি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন। আর আপনার যদি কোন পরামর্শ বা মতামত থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। আমরা অবশ্যই আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দেবো। ইনশাল্লাহ…..
আপনার সাইটের পোস্টগুলো খুব যুগউপযোগী। আশা করি আরও ভাল কিছু পাব আপনার থেকে।
বিকাশ 01770875332