অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | ঘরে বসে আয় করার সুযোগ। বিস্তারিত এখানে!!!

অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট : আপনি কি অনলাইন ইনকাম করে, বিকাশ পেমেন্ট পেতে চাচ্ছেন। আপনার উত্তরে যদি হ্যাঁ হয়। তবে সঠিক একটি আর্টিকেলে চলে এসেছেন।

আমরা আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন ইনকামের উপায় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আর যে অনলাইন ইনকাম সেক্টরগুলো নিয়ে আলোচনা করব তার প্রতিটি সেক্টরে কাজ করে, আপনারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | ঘরে বসে আয় করার সুযোগ। বিস্তারিত এখানে!!!
অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট | ঘরে বসে আয় করার সুযোগ। বিস্তারিত এখানে!!!

আর অনলাইন ইনকামের যে কাজগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সে কাজ গুলো অনেক কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।

তাই আপনারা যারা অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে চান? তারা আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আমরা জানি বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যার পরিমাণ অনেক বেশি। তার কারণ শিক্ষিত মানুষ যেকোন পেশা গ্রহণ করতে, চান না।

অন্যদিকে অশিক্ষিত বা খেটে খাওয়া লোকদের যে, কোন কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

শিক্ষিত বেকার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ অনেকেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করেন না। নিজে থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করেন না কখনোই। সরকারি ও বেসরকারি চাকরির জন্য নির্ভরশীল হয়ে থাকেন।

এক্ষেত্রে, বেকার যুবক যুবতীরা চাইলে তাদের মেধা এবং শ্রম কাজে লাগিয়ে অনলাইন সেক্টরে কাজ করে, ইনকাম করতে পারবে।

অনলাইনে এমন অসংখ্য কাজ রয়েছে যেগুলো পার্ট টাইম হিসেবে শুরু করা যায়। আপনি যদি ছাত্র জীবনে নিজের লেখাপড়া খরচ চালানোর জন্য ইনকাম করতে চান?

তাহলে অনলাইন ইনকামের জন্য বাংলাদেশি এমন কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি লাগবে?

বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে অনলাইন ইনকাম করতে গেলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবেই লাগবে। কিন্তু এই বিষয়টি ভুল ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তো আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি লাগবে? যেমন-

  • একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন থাকতে হবে।
  • বাংলা ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
  • অনলাইন সেক্টরে কাজ করার ধর্য্য, শ্রম ও সময় থাকতে হবে।

আপনার কাছে যদি উপরে দেওয়ার জিনিস গুলো থাকে, তাহলে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে নিজের ঘরে বসে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের সেক্টর হচ্ছে লেখালেখি। আপনি যদি বাংলাদেশের যে, কোন একটি ওয়েবসাইট বেছে নিয়ে কাজ শুরু করেন। সেক্ষেত্রে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট ওয়েবসাইট

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে লেখালেখি করে, ইনকাম করতে চান? তাহলে, অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট ওয়েবসাইট হিসেবে, জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম বেছে নিতে পারেন।

তো আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে কাজ করতে চান? অবশ্যই আপনার লেখালেখি করতে আগ্রহী হতে হবে। বিশেষ করে, জে-আইটি সাইট সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে, কি কি কাজ করা যাবে আরো ইত্যাদি।

তো চলুন, অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক।

জে আইটি কি?

জে-আইটি হচ্ছে একটি ব্লগ। যেখানে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণের ইউজার লেখালেখি করে অর্থ উপার্জন করেন। এই ওয়েবসাইটে মূলত নির্মাণ করা হয়েছে, অনলাইন ইনকামের জন্য।

এই ওয়েবসাইটে লোকেরা নিজের জ্ঞান থেকে, ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন। মোটকথা এই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে কাজ করার পর আপনারা নগদ, রকেট এবং বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

১০০% নিশ্চিন্তে জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রামে একদম ফ্রিতে ইউজার হয়ে, লেখালেখি করে, পোস্ট ভিউয়ার উপর ইনকাম করতে পারবেন।

জে-আইটি তে কি কাজ করা হয়?

জে-আইটি তে মূলত লেখালেখির কাজ করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের রুলস অনুসরণ করে, নিয়মিত আর্টিকেল লিখলে আনলিমিটেড ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

কারণ এই ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলে, সেখান থেকে যে ভিউ আসবে সে ভিউয়ের উপর ইনকাম হবে। এছাড়া এই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার পাশাপাশি রেফার করেও ইনকাম করতে পারবেন।

জে-আইটি তে কাজ করার রুলস

আপনারা যারা অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে চান? তাদেরকে অবশ্যই জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এর রুলস গুলো অনুসরণ করে, কাজ করতে হবে।

তো কি কি রুলস পূরণ করতে পারলে আপনি জে-আইটি থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

  • জে-আইটি তে আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই ১০০ পার্সেন্ট ইউনিক হতে হবে। কোন প্রকার কপিরাইট আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে না।
  • জে-আইটি তে কমপক্ষে ৩৫০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল সাবমিট করতে হবে। ৩৫০ ওয়ার্ডের কম আর্টিকেল প্রকাশ হবে না।
  • জে-আইটি তে আর্টিকেল রিলেটেড একটি ইমেজ আপলোড করতে হবে।
  • সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে।
  • আপনার একাউন্ট থেকে রেফার করে কোন ইউজার নিয়ে আসতে পারলে, রেফার মেম্বারের ২০% ইনকাম আপনি পাবেন।
  • এ ছাড়া আপনার লেখা আর্টিকেল গুলোতে প্রতি এক হাজার ভিউ হলে, ৫০০ টাকা পাবেন।

আপনারা উপরে দেওয়া রুলস গুলো অনুসরণ করে, জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রামে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

জে-আইটি তে কি কি বিষয়ের উপর লিখা যায়?

জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রামের লেখালেখি করে, অনলাইন বিকাশ পেমেন্ট নিতে চাইলে। আপনাকে এই ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি অনুযায়ী আর্টিকেল লিখতে হবে।

তো জে-আইটি তে আপনারা কি কি বিষয়ের উপর লিখতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে-

  • অনলাইন ইনকাম
  • ব্লগিং এন্ড ওয়েবসাইট
  • ইউটিউব
  • ওয়ার্ডপ্রেস
  • ব্লগার
  • এসইও
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • অনলাইন ব্যবসা
  • ই-কমার্স
  • কম্পিউটার ও মোবাইল
  • সফটওয়্যার
  • এন্ড্রোয়েড অ্যাপস
  • গেমস
  • বিট কয়েন ইত্যাদি।

আপনারা উপরোক্ত ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি অনুযায়ী সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লিখে অনলাইন বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।

জে-আইটি তে কিভাবে জয়েন হবেন?

আপনারা যারা জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রামে কাজ করতে আগ্রহী। তারা উক্ত বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ শুরু করতে পারবেন। এখন জে আইটিতে কিভাবে জয়েন হবেন। সেই বিষয়ে আপনাকে বলে দেব।

জে-আইটি তে জয়েন হওয়ার জন্য আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। এবং কাজ করে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থাকতে হবে। যা হতে পারে, নগদ, রকেট, বিকাশ ইত্যাদি।

জে-আইটি তে জয়েন হতে চাইলে, blog.jit.com.bd এই লিংকে ক্লিক করে একটি ফর্ম পূরণ করুন। এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে সরাসরি Register With Google বাটনে ক্লিক করে, একাউন্ট তৈরি করে নিন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট পেতে চাচ্ছেন। তারা উপরে দেওয়া ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে, বাংলায় লেখালেখি করে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

আর অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment