আমাদের সকলেরই এখন ইন্টারনেট থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়। অনেক সময় বিভিন্ন অফিসে ঘোরাঘুরি করে জন্ম নিবন্ধন পাওয়া যায়না। তাই ইন্টারনেট ছাড়া এখন আর উপায়ই বা কি?
আপনি হয়তো জানেন না, জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড Pdf আকারে নিয়ে সেখানে অনলাইনেই আবেদন করা যায়। এমনকি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করা যায়।
জন্ম নিবন্ধনের সনদ হচ্ছে একটি শিশুর অধিকার রক্ষার মূল দলিল। ফলে বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য বাধ্যতামূলক বলে ঘোষনা করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কাজে আমাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ একারনে ইন্টারনেট হতে জন্ম নিবন্ধন খালি ফরম ডাউনলোড করে সেটি পূরন করে আবেদন করতে হবে।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী, “শিশুর জন্মগ্রহণের পর জন্ম-নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি শিশুরই জাতীয়তা অর্জন, নামকরণ এবং পিতামাতার পরিচয় জানবার অধিকার আছে। তাদের হাতে পালিত হবার অধিকার আছে।” জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশ সরকার তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে।
জন্ম নিবন্ধন প্রথমদিকে সারাদেশেই হাতে লেখার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। তবে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে এটিকে সম্পূর্ন ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম pdf আকারে ডাউনলোড নিয়ে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যায়। পরবর্তীতে, জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোডও ইন্টারনেট থেকেই করা যায়। এটা তো অবশ্যই জানেন জন্ম নিবন্ধন সনদ আমাদের নাগরিক জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ।
আজকের এই লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা জন্ম নিবন্ধন ফরমেট, জন্ম নিবন্ধন খালি ফরম ডাউনলোড, জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড ও জন্ম নিবন্ধন ফি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর দেরি কেন? তো চলুন শুরু করা যাক!
জন্ম নিবন্ধন কি
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রত্যেকটি শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকার ২০০৪ সালে জন্ম নিবন্ধন আইন কার্যকর করেছে।
জন্ম নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ভাষায়, “জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।”
অর্থাৎ সহজ ভাষায় জন্ম নিবন্ধন হলো, কোনো শিশুর জন্মের পর তার নাম ও ঠিকানা সংবলিত একটি পরিচয়পত্র। এই পরিচয়পত্রটিতে নাম ও ঠিকানার পাশাপাশি শিশুটির জন্মস্থান, জন্মের তারিখ, জাতীয়তা ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
নিচে নমুন জন্ম নিবন্ধন এ চিত্র দেওয়া হলোঃ
জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করে বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা যায়৷ বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে বেশিরভাগ কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র (Nationa Id Card) এর পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধন সনদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। যেসব কাজে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক সেগুলো হলো-
ক) পাসপোর্ট ইস্যু
খ) বিবাহ নিবন্ধন
গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি
ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান
ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন
ছ) জমি রেজিষ্ট্রেশন
জ) ব্যাংক হিসাব খোলা
ঝ) আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি
ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি
ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি
ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি
ড) বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি
ঢ) গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি
ন) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও
ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয়। জন্ম নিবন্ধন ফি পরিশোধ করে সহজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করা যায়।
এতক্ষন ধরে আমরা জন্ম নিবন্ধন সনদ কি কি কাজে ব্যবহার হয় সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছি। এখন জন্ম নিবন্ধন খালি ফরম ডাউনলোড ও জন্ম নিবন্ধন করার বিস্তারিত নিয়মগুলো সম্পর্কে আমরা জানব।
আরও পড়ুনঃ
জন্ম নিবন্ধন এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া মূলত ২ ধরনের।
প্রথমত, আপনি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন খালি ফরম ডাউনলোড করে আপনি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। আপনার সুবিধামত অনলাইন ও অফলাইন যেকোনো একটি উপায়ে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন এর নিয়ম
সশরীরে নিবন্ধকের কার্যালয়ে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা যায়৷ সেক্ষেত্রে, জন্ম নিবন্ধনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে নিবন্ধকের নিকট নিম্নে বর্ণিত দলিল বা প্রত্যয়নসহ আবেদন করতে হবে। এই আবেদন ফরমটি হাতে লেখা বা ছাপানো হলেও চলবে।
এছাড়াও www.br.lgd.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় বরাবর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের প্রিন্ট কপি নিবন্ধন অফিসে দাখিল করলে নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রথমে এই লিংক এ ক্লি করুন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন
অতপর লাল চিহ্নিত মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তার পর পরবর্তী বাটুনে ক্লিক করতে হবে। অতপর এমন একটি ফরম আসবে>>
তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি ফিলাপ করে সাবমিট করতে হবে। এবং টাকা পেমেন্ট করে স্থানীয় অফিসে গিয়ে জম্ন নিবন্ধন সংগ্রহ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ এর আবেদন করতে কি কি প্রমান লাগে
জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য আবেদন করার সময় কিছু দলিল এর প্রয়োজন হয়। এই দলিলগুলো আবার বয়সভেদে ভিন্নতা রয়েছে। যেমনঃ
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসরের মধ্যে আবেদন করা হলে-
- তথ্য সংগ্রহকারীর প্রত্যয়ন, অথবা
- ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসর পরে আবেদন করা হলে-
- বয়স প্রমাণের জন্য এমবিবিএস ডাক্তারের এবং জন্মস্থান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর/সদস্যের প্রত্যয়ন, অথবা
- বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক বা তৎকর্তৃক মনোনীত শিক্ষক বা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন, অথবা
- বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা কোন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্ম সংক্রান্ত ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে৷ এগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো-
১. জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করার জন্য প্রথমত আপনাকে যেকোনো ওয়েব ব্রাউজার হতে http://bdris.gov.bd/br/application ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
২. পরবর্তী ধাপে আপনাকে নিবন্ধক কার্যালয় বাছাই করতে হবে। কার্যালয় বাছাইয়ের জন্য আপনার জন্ম স্থান বা স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা, প্রভৃতি ধাপ পার হয়ে ওয়ার্ড পর্যন্ত নির্বাচন করতে হবে।
৩. এরপরে যে ওয়েবপেজটি আসবে সেখানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম প্রথমে বাংলায় (ইউনিকোড) ও পরবর্তীতে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
৪. এরপর কোনো ধরনের সম্পাদনা প্রয়োজন হলে সেটি ভালভাবে সম্পাদন করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫. সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন পত্রটি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ে স্থানান্তিরত হয়ে যাবে। ফলে আবেদনকারীর আর কোন সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
৬. অতঃপর, পরবর্তী ধাপে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে আবেদন পত্রের মুদ্রিত কপি পাবেন। এটিই মূলত জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন।
৭. জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত আবেদন পত্রে নির্দেশিত প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে।
৮. সর্বশেষ ধাপে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপিসহ নিবন্ধক অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন ফি
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন-
শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যদি জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা হয় তাহলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুসারে জন্ম নিবন্ধনের জন্য কোনো ফি বা টাকা প্রদান করতে হবে না। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ঠিক একইভাবে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মাঝে যদি জন্ম নিবন্ধন করানো হয় সেক্ষেত্রে কোনো ফি বা টাকা প্রদান করতে হবে হবে নাহ।
মৃত্যু নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি মারা যাবার ৪৫ দিনের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন করালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য কোনো ফি বা টাকা প্রদান করতে হবে না। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন করা হলে সেক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য কোনো ফি বা টাকা প্রদান করতে হবে না।
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫(পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন-
কোনো ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে না করা হলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তাকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ফি বা টাকা প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির জন্মের ৪৫ দিন পর থেকে ৫ বছরের মাঝে জন্ম নিবন্ধন করলে তাকে ফি হিসেবে ২৫ টাকা প্রদান করতে হবে। দেশের বাইরে বিদেশে এই বয়স সীমায় জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি হিসেবে ১ মার্কিন ডলার( 1US Dollar) প্রদান করতে হবে।
মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন না করালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী তাকে ফি হিসেবে ২৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর এই সীমার মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন করা হলে ফি হিসেবে তাকে ২৫ টাকা প্রদান করতে হবে। বিদেশের ক্ষেত্রে একই বয়স সীমা অর্থাৎ মৃত্যুর ৪৫ দিন পর থেকে ৫ বছরের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন করা হলে ১ মার্কিন ডলার (1 US Dollar) প্রদান করতে হবে।
জন্ম বা মৃত্যুর ৫(পাঁচ) বছর পর কোনো ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন-
কোনো ব্যক্তির জন্মের ৫ বছরের মাঝে জন্ম নিবন্ধন না করা হলে পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধনের জন্য ফি হিসেবে ৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। দেশের বাইরে এক্ষেত্রে একই বয়স সীমা অর্থাৎ জন্মের ৫ বছরের মাঝে জন্ম নিবন্ধন করা না হলে পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ফি হিসেবে 1 মার্কিন ডলার ( 1 US Dollar) প্রদান করতে হবে।
মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৫ বছরের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন না করা হলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তীকালে মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য ফি হিসেবে ৫০ টাকা প্রদান করতে হবে।
বিদেশের ক্ষেত্রে একই বয়স সীমা অর্থাৎ মৃত্যুর ৫ বছরের মাঝে মৃত্যু নিবন্ধন না করা হলে পরবর্তীতে মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য ফি হিসেবে ১ মার্কিন ডলার (1 US Dollar) প্রদান করতে হবে।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় জন্ম সনদের নকল সরবারহ-
বিভিন্নভাবে আমরা অনেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি হারিয়ে ফেলে। দাপ্তরিক, শিক্ষা সহ বিভিন্ন কারনে আমাদের জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়। জন্ম সনদ হারিয়ে ফেলার কারনে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে ভীত হবার কোনো কারন নেই।
সঠিক কারন সহ স্হানীয় পৌরসভার, ইউনিয়ন পরিষদ বা নির্বাচন অফিসে আবেনের মাধ্যমে মূল সনদের জাল কপি বা নকল কপি সরবরাহ করা যায়।
এক্ষেত্রে কতৃপক্ষ বরাবর সনদের নকল কপির জন্য আবেদন করতে হয়। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী মূল সনদের নকল সরবরাহের আবেদন ফি হিসেবে ব্যক্তিকে ৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবেদনের নির্দিষ্ট সময় পর আপনি মূল সনদের নকল কপি বা জাল সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন। সনদ সরবরাহের জন্য বাড়তি কোনো ফি দিতে হবেনা আবেদন ফি ছাড়া।
দেশের বাইরে বিদেশের ক্ষেত্রে মূল সনদের নকল কপি বা জাল সনদ সরবরাহের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ১ মার্কিন ডলার ( 1 US Dollar) প্রদান করতে হবে। আবেদনের নির্দিষ্ট সময় পর আপনি মূল সনদের নকল বা জাল কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির পর বিভিন্ন ধরনের ভুল ত্রুটি দেখা যেতে পারে। এসব ভুল ত্রুটি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও সংশোধন করা যায়। এখন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের উপায় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করার উপায়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল-
আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে হলে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেগুলো হলো-
১. যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকে, তাহলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করে আসতে হবে।
২. পরবর্তীতে, যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তবে তাদের নাম সংশোধন করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
৩. যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করতে হবে। পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপ করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
৪. যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে। তাছাড়া আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পূর্বে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতা মৃত হলেও তাদের মৃত্যুর কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না।
৫. যদি আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং আপনার পিতা/মাতা মৃত হয় এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পরে হয়, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের বিভিন্ন ধরনের ধাপ রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদের বিভিন্ন রকমের তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে ফি এর পরিমানও ভিন্ন। জন্ম তারিখ সংশোধন, পিতামতার নাম সংশোধন, নিজের নাম সংশোধন ইত্যাদি কাজের জন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ফি প্রদান করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সেটির ব্যাপারে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি-
প্রযুক্তিগত কারন সহ বিভিন্ন কারনে মাঝে মাঝে আমাদের জন্ম নিবন্ধনে জন্ম তারিখ ভুল হয়। অনেকে আবার ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও জন্ম তারিখ সংশোধন করচে চান।তারিখ সংশোধনের জন্য ব্যক্তিকে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম অনলাইনে পিডিএফ আকারে পাওয়া যায়। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে আবেদন করতে হয়।
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন ফি হিসেবে ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে। বিদেশের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে তাকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করতে হবে এবং আবেদন ফি হিসেবে ২ মার্কিন ডলার (2 US Dollar) প্রদান করতে হবে।
জন্ম তারিখ ব্যতীত ব্যক্তির নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি-
প্রযুক্তিগত কারনে বা তথ্য নথিভুক্তিকরণের সময় বিভিন্ন কারনে আমাদের অনেকের জন্ম নিবন্ধনে ভুল আসে। এর কারনে পরবর্তীকালে আমাদের দাপ্তরিক , শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যার সম্মখীন হতে হয় ৷
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্যে ভুল আসলে ভীত হবার কোনো কারন নেই। কারো নাম, ঠিকানা বা কোনো তথ্য ভুল হলে তা সংশোধনের জন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে পাওয়া যায়। ফাইলটি ডাউনলোড করে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। সংশোধনের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন ফি হিসেবে ৫০ টাকা প্রদান করতে হবে।
দেশের বাইরে বিদেশের ক্ষেত্রে ঠিক একইভাবে জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করতে হবে। এজন্য প্রথমে আবেদন ফরমের পিডিএফ ডাউনলোড করে আবেদন করতে হবে। সংশোধনের আবেদন ফরমের ফি হিসেবে ব্যক্তিকে ১ মার্কিন ডলার (1US Dollar) প্রদান করতে হবে।
বাংলা ইংরেজী উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোদনের পর সনদের কপি সরবরাহ-
জন্ম নিবন্ধনে জন্ম তারিখ, ব্যক্তির নাম, পিতামাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদনের নির্দিষ্ট সময় কাল পরে সনদের করি সরবরাহ করতে হয়। এক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায়।
সনদের কপি সরবরাহ করার ক্ষেতে অনলাইনে সনদের সংশোধন যাচাই করা যেতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন সফল হলে সনদের কপি সরবরাহের জন্য নিকটস্হ পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে সংশোধনকৃত সনদের কপি সরবরাহ করা যাবে। প্রয়োজনে স্হানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেও জন্ম নিবন্ধনের সংশোধিত সনদ পাওয়া যাবে। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী এক্ষেত্রে কোনো ফি প্রদান ছাড়াই আপনি সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই সেবাটি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আপনি ফ্রি তে পাবে। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানে সনদ সরবরাহের নামে কোনো ফি প্রদান করতে বললে প্রতারিত না হয়ে আপনার সনদ সংগ্রহ করুন।
দেশের বাইরে বিদেশের ক্ষেত্রেও আবেদনের নির্দিষ্ট সময় পর অনলাইনে সসংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সরবরাহের তারিখ সহ জন্ম নিবন্ধন অনুসন্ধান করে স্হানীয় নির্বাচন অফিস থেকে আপনি সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিভাবে জন্ম নিবন্ধন দেখব
জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধন দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের পদ্ধতি একদম সহজ।
১. অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখার জন্য প্রথমত https://103.48.18.180/verifyapp/ সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
২. পরবর্তীতে প্রথম ফাঁকা ঘরটিতে যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন তার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রবেশ করাতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ফাঁকা ঘরটিতে জন্ম তারিখ নির্ভুলভাবে প্রবেশ করাতে হবে। তবে জন্ম তারিখ বসানোর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে প্রথম ৪ টি সংখ্যা হবে জন্মসাল, পরের দুইটি সংখ্যা হবে মাসের সংখ্যার ক্রম এবং শেষের দুইটি সংখ্যা হবে জন্ম তারিখ। এই ক্রম ভুল করলে কোনোভাবেই আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে পারবেন না।
৪. সকল তথ্য সঠিকভাবে বসানো হলে জন্ম সনদের সকল তথ্য সংবলিত একটি পৃষ্ঠা আসবে। সেই তথ্যগুলোই মূলত যাচাইকৃত তথ্য।
তবে যদি matching birth record not ফউন্দ লেখা দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে যে জন্ম তারিখ বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর মধ্যে কোনো ভুল রয়েছে।
নিচের চিত্রটি দেখে নিন>>
উপরের দেয়া ছবিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ বাটুনে ক্লিক করুন। তার পর আপনার সকল তথ্য চলে আসবে। তথ্যটি নিচের মতো দেখাবে।
ভুয়া জন্ম নিবন্ধন
ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দেশের অন্যতম বড় একটি সমস্যা। ভুয়া জন্ম নিবন্ধন বন্ধ করার জন্য সরকার বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভুয়া জন্ম নিবন্ধন বন্ধ করার জন্য সরকার পুরো জন্ম নিবন্ধন পদ্ধতিকে ডিজিটাল সিস্টেমে নিয়ে এসেছে। ভুয়া জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য https://103.48.18.180/verifyapp/ লিংকে প্রবেশ করে জন্ম সনদের নাম্বার ও জন্ম তারিখ প্রবেশ করাতে হবে। এরপর তথ্যগুলো সঠিক হলে জন্ম নিবন্ধনের সকল তথ্য স্ক্রিনে দেখা যাবে। আর ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে matching birth record not found লেখা দেখা যাবে।
এই লেখাটি শুরু থেকে পড়ে থাকলে ইতোমধ্যে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড, জন্ম নিবন্ধন ফি, জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সবকিছুই জেনে গেছেন।
এখন, লেখার এই অংশটিতে আমরা মৃত্যু নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোডসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
মৃত্যু নিবন্ধন কি
সহজ ভাষায় মৃত্যু নিবন্ধন হলো মারা যাওয়ার পর সরকারের মৃত্য ব্যক্তির তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম নিবন্ধন করা। আইনের ভাষায়, মৃত্যু নিবন্ধন হলো মৃত ব্যক্তির নাম, মৃত্যুর তারিখ, মৃত্যুর স্থান, লিঙ্গ, পিতা বা মাতা বা স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক খাতায়/রেজিস্টারে লেখা এবং মৃত্যু সনদ প্রদান করা।
জন্ম নিবন্ধনের মত মৃত্যু নিবন্ধনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে আবেদন করতে হয়।
মৃত্যু নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে
জন্ম নিবন্ধনের মত মৃত্যু নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তাও অপরিসীম। মৃত্যু নিবন্ধন এর সনদ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেবা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যেসব কাজে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন সেগুলোর মধ্যে ২ টি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো-
১. মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন
২. পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তি প্রভৃতি
তাছাড়া দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা নির্ণয় করতে হলে মৃত ব্যক্তির হিসাব রাখা জরুরি। মৃত্যু নিবন্ধন করতে হলে মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন করা না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সম্পাদনের পর মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।
মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করব কিভাবে
মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদনের নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। মৃত্যু নিবন্ধনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে নিবন্ধকের নিকট কিছু প্রমানাদি দলিল বা প্রত্যয়নসহ আবেদন করতে হবে। এই মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে, প্রিন্ট করে ছাপিয়ে বা হাতে লিখেও আবেদন করা যাবে। তবে আইন অনুযায়ী, আবেদন ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে অবশ্যই নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক প্রত্যয়ন বা দলিল সংযুক্ত থাকতে হবে:
- সরকারী বা বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন, অথবা
- সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুসংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র, অথবা
- মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- সংশ্লিষ্ট কবরস্থান বা শ্মশানের কেয়ারটেকার কর্তৃক প্রদত্ত দাফন বা সৎকার রসিদের সত্যায়িত অনুলিপি, অথবা
- ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট সদস্য অথবা পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুসংক্রান্ত প্রত্যয়ন, অথবা
- নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন মৃত্যুসংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf
জন্ম নিবন্ধন সনদের মত মৃত্যু নিবন্ধন সনদের আবেদন করার জন্যও নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করে হাতে লিখে বা অনলাইনে পূরন করে মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করা যায়৷
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে৷ বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সকল ধরনের আবেদন ফরম ডাউনলোডের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। অন্যান্য ফরমের মত মৃত্যু নিবন্ধন ফরম ডাউনলোডের জন্যও এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যাবে। এখন আমরা মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড এর পুরো প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করব।
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf এর প্রক্রিয়া
১. প্রথমত আপনাকে www.forms.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
২. এরপর যে ওয়েবপেজটি আসবে সেখানে আপনাকে “সেবা নিন” লেখাটির পাশে ক্লিক করতে হবে।
৩. পরবর্তীতে যে ওয়েবপেজটি চালু হবে সেখানে “সনদ” ট্যাবটিতে ক্লিক করতে হবে।
৪. সনদ ট্যাবটিতে ক্লিক করার পরে যে ওয়েবপেজটি চালু হবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সনদের তালিকা আসবে। তালিকা থেকে খুঁজে “মৃত্যু সনদ প্রাপ্তির জন্য আবেদন” ট্যাবটিতে ক্লিক করতে হবে।
৫. মৃত্যু সনদ প্রাপ্তির জন্য আবেদন ট্যাবটিতে ক্লিক করলে যে নতুন ওয়েবপেজটি চালু হবে সেখানে “আবেদন করুন” ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
৬. মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করার জন্য এই ওয়েবসাইটটিতে নিজস্ব ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট খুলতে হতে পারে।
৭. এরপরে নতুন ওয়েবপেজ চালু হয়ে গেলে সেখান থেকে মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
৮. এরপর ফরমটি অনলাইনে পূরন করা যাবে। সেখানে আবেদন ফরমের লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। অন্যান্য ঘরগুলো পূরণ করা ঐচ্ছিক।
৯. মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে প্রয়োজন হলে সংরক্ষণ করা যায় এবং পরবর্তীতে সেবা ব্যবস্থাপনা অপশন হতে ড্রাফট আবেদন পুনরায় শুরু করা যাবে।
১০. মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন দাখিলের পর প্রতিটি আবেদনের জন্য একটা স্বতন্ত্র ট্রাকিং নম্বর প্রদান করা হবে। এই ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে সেবা ব্যবস্থাপনা অপশন থেকে আবেদনের অগ্রগতি জানা যাবে।
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে নির্বিঘ্নে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পেতে পারেন। তাই নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরন করে মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেই ফরমে আবেদন করুন।
তো এই ছিল জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড এবং অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের খুটিনাটি আলোচনা। এই লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আপনাকে আর ঝামেলায় পড়তে হবে। এই লেখাটি থেকে কোনো ধরনের উপকার পেয়ে থাকলে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্স তো আছেই!
জন্ম সনদ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করবো কিভাবে?
আলমাছ হাসান বিপ্লব
পিতা সুরুজ মিয়া
মাতা রহিলা খাতুন
ডাকগর হায়দরাবাদ মাদ্রাসা
গ্রাম হায়দরাবাদ 39 নং ওয়াড
থানা পুবাইল
জেলা গাজিপুর
বাকই উওর পাড়া লাকসাম কুমিল্লা
শামিম ভাই আপনি প্লিজ একটু আমাকে কল দিন
01712354171
জন্ম নিবন্ধন
জন্ম নিবন্ধন সনদ
নাম: মো: শামীম হোসেন
পিতার নাম: কবির হোসেন
ডাকঘর: হাজিপুর
গ্রাম: বাকই
থানা: লাকসাম
জেলা: কুমিল্লা
Ki babe jormo sonot dwnlod korbo
এই আর্টিকেল এর বিস্তারিত দেওয়া আছে। প্লিজ ভালো করে দেখুন