লন্ডনের ভিসার দাম কত | লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

লন্ডন, যা ইউনাইটেড কিংডমের রাজধানী, লন্ডন বাংলাদেশের কমিউনিটি হিসেবে পরিচিত। লন্ডন একটি বহুতল শহর যেখানে সবচেয়ে বেশি লোকজন বাস করেন।

লন্ডন প্রশাসনিক ভাবে ৩২ টি বিভাগে বিভক্ত এবং সেটা আনডারগ্রাউন্ড টিউব, বাস, ট্রেন ও ট্রাম রাস্তা সংযোগ এর মাধ্যমে সম্পর্কিত।

লন্ডনের ভিসার দাম কত | লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।
লন্ডনের ভিসার দাম কত | লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

লন্ডন বিখ্যাত হয়েছে, তার ঐতিহ্যিক স্থাপত্য ও ভৌগোলিক উপাত্ত গুলোর জন্য, যেমন- টাওয়ার ব্রিজ, বাকিংহ্যাম প্যালেস, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাববি, লন্ডন আই, কোকসক্রুশ ও পিকাডিলি সার্কাস।

লন্ডন আধুনিক ভবনের সাথে ঐতিহ্যিক শহরও হয়েছে, যেমন- ট্রাফালগার স্কোয়ার, লন্ডন আই ও বিগ বেন।

লন্ডন একটি কেন্দ্রভূত বাণিজ্যিক ও আর্থিক শহর, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এখানে বিভিন্ন শপিং মল, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কোম্পানি সমূহ, হোটেল সমূহ, রেস্টুরেন্ট ও ভর্তি কর্মসংস্থান গুলো আছে।

লন্ডনে পরিচিত শপিং এলাকা গুলোর মধ্যে ওক্সফোর্ড স্ট্রিট, কোভেন্ট গার্ডেন, হরোডস, এবং ক্যানারি হ্যাট উল্লেখযোগ্য।

সেই সাথে লন্ডন সংস্কৃতি এবং বিনোদনের জন্যও খ্যাতিমান হয়েছে। এখানে আপনি থিয়েটার, কনসার্ট হল, মিউজিয়াম, গ্যালারি সমূহ পাবেন।

লন্ডনের কয়েকটি প্রমুখ সামাজিক ঘটনা হল ওয়েস্টমিনস্টার বাংলা মিশ্র সংগঠন (বিএমসিএচএস) দ্বারা আয়োজিত বৈশাখী মেলা, লন্ডন বাংলা ফেস্টিভ্যাল, বাংলাদেশ বিজনেস মিশন এবং বিজনেস আয়োজন সমূহ।

তাই আমাদের বাংলাদেশের অনেক সংখ্যক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে লন্ডন ভ্রমণ করেন। একজন মানুষ তার নিজের এবং পরিবারের জীবন যাত্রা’র মান উন্নয়ন করার জন্য বিদেশ গমন করেন।

বিদেশ গমন করার কারণ হচ্ছে- নিজের দেশে স্বল্প বেতনে চাকরি করে, বা অন্যান্য কাজ করে নিজের পরিবার সচ্চ ভাবে না চালাতে পেরে অনেকেই বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করেন।

আর বিদেশ প্রবাসের কথা চিন্তা করলেই সকলেই মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, কাতার এই দেশ গুলোর কথা চিন্তা করে থাকে। কিন্তু শিক্ষিত সমাজ এর মধ্যে লন্ডন একটি পরিচিত দেশ। শিক্ষিত সমাজ এর বেশি অংশ মানুষ চান, অন্যান্য দেশের ‍তুলনায় লন্ডন পারি জমাতে।

কারণ লন্ডন সৌন্দর্য এবং দৈনন্দিন জীবনের বিলাসিতা দেখে যে কোন ব্যক্তি লন্ডন যেতে আগ্রহী হবে। সেখানে মানুষ এর জীবন যাত্রা ভিন্নধর্মী। এছাড়া উক্ত সকল দেশে কাজ এর বেতন অনেক কম পরিমানে।

কিন্তু আপনি যদি লন্ডন গমন করেন। তাহলে সেখানে অনেক ভালো ভালো কাজের অফার পাবেন। এবং কাজের বিনিময়ে অনেক ভালো বেতন ভোগ করতে পারবেন। তাই আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষ ইচ্ছা করেন যে, যদি লন্ডন যেতে পারতাম।

তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলে জানিয়ে দেব লন্ডন যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা পাওয়া যায়। এবং লন্ডন ভিসার দাম কত টাকা। তো এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত আলোচনা শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করে পড়ুন।

লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা যারা লন্ডন কাজের উদ্দেশে যেতে আগ্রহী। তাদের কে অবশ্যই লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আমরা জানি লন্ডন বিশ্বের সকল দেশের মানুষের জন্য কাজের ভিসা অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করে দিয়েছেন।

আপনি চাইলে নিজের দেশ বাংলাদেশ দেথে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লন্ডন যেতে পারবেন।

কিন্তু লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূর্ণ করতে হবে। কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম শর্ত পুরণ করতে হবে লন্ডন ভাষা শিক্ষা। এছাড়া ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।

লন্ডন ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি আপনাকে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস হইতে হবে। উক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী না হলে আপনি লন্ডন ভিসা পাবেন না। কারণ লন্ডন যে সকল কাজের জন্য কর্মচারী/ শ্রমিক নেওয়া হয়। তাদের অবশ্যই ভাষা শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি যদি লন্ডন ভাষা না জানেন বা না বুঝেন। তাহলে কিন্তু লন্ডন গিয়ে কাজ করতে পারবেন না।

আবার আপনি কাজের উদ্দেশে লন্ডন যেতে চাইলে  আপনার কাছে অবশ্রই Ielts Score সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আপনার কাছে যদি এই সার্টিফিকেট থাকে। তাহলে সহজেই লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার জন্য সকল শর্ত পূরণ করতে পারলে। আপনার লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য খরচ হতে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আর লন্ডন যাওয়া পর্যন্ত আপনার সর্বমোট খরচ হতে পারে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।

আপনি যদি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কাজের জন্য মাস শেষে বেতন পাবেন প্রায় ২ লাখ টাকা। আমি আবারো বলছি, আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইল, লন্ডন ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।

শেষ কথাঃ

আপনারা উপরে উল্লিখ আলোচনা অনুসরণ করে, জানতে পারলেন লন্ডনের ভিসার দাম কত ? আমরা আপনাকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু এই ভিসা ছাড়া আপনি আরো অনেক ভিসা নিয়ে লন্ডন পারি জমাতে পারবেন। যেমন- স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশ থেকে মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বেশি লন্ডন গমন করে থাকে। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে।

তো আপনার যদি লন্ডন যাওয়ার মতো সামর্থ থাকে। তাহলে টাকা পয়সা যোগার করে, এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করে, লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সম্পন্ন করে ফেলুন।

আর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে লন্ডন সহ আরো অন্যান্য দেশে ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ…

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

Leave a Comment