ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত লাগে : আজকের আর্টিকেলে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
আমরা জানি বর্তমান সময় ইন্টারনেট নির্ভরযোগ বিষয়ে প্রায় সকল ব্যবসা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং কে সিলেক্ট করে নিয়েছে, নিজেদের পণ্য এবং সার্ভিস প্রচারের জন্য।
আর এর ডিজিটাল মার্কেটিং শুনতে, সহজ মনে হলো এর জটিল স্তর আছে। যা জানা না থাকলে, কোম্পানির বিক্রয় বাড়ানোতে অনেকটা বেশি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে।
এ জটিলতার জন্য যে কোন ইন্ডাস্ট্রির প্রতিটি কোম্পানি এখনকার চরম প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন বিশ্বে, উন্নতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের ওপর বিশেষ ভাবে নির্ভর হচ্ছে।
তাই নিজের কোম্পানির প্রচার এবং প্রসার করার জন্য এ সকল কোম্পানি উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন। ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারদের নিয়োগ করতে সর্বদাই আগ্রহী থাকেন।
তো আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আগ্রহে থাকেন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে। বা এখানে কি কি শিখতে পারবেন। সেটি এখানেই জানতে পারবেন।
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি ? ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কিভাবে করব ? [বিস্তারিত]
- পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কি? কেন? কিভাবে শুরু করবেন (A2Z) গাইড
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন [অনলাইনে আয়]
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে ?
তো বন্ধুরা ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল ইন্ডাস্ট্রি গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ সকল মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পেশাদার কোর্স। যা আপনি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রথাগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিখতে পারবেন।
সামগ্রিকভাবে এই কৌশল গুলোর সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান লাভ করতে তিন থেকে পাঁচ মাস একটানা সময় লাগতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাতটি বিভিন্ন দিক সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করতে। পাঁচ থেকে ছয় বছর একটানা অনুশীলন এবং প্র্যাকটিস করার প্রয়োজন হয়।
তাই এ বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে, সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল তাই এরপরও এই মার্কেটিং এর পিছনে পরিবর্তন হতে পারে। আর সেজন্য আপনাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো ?
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো। তো নিচে দেওয়া আলোচনা গুলো স্পষ্ট ভাবে, পড়ার পর আপনারা বুঝতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শাখা কত গুলো কারণ রয়েছে।
যেমন-
ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা বৃদ্ধি
অধিকাংশ কোম্পানি তাদের ক্রিয়া-কলাপের ডিজিটালাইজ করার প্রয়োজনীয়তা বুঝেন। তাই কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রচারের জন্য দক্ষতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশেষজ্ঞদের জন্য অনুসন্ধান করেন।
এমনিতে গুগলের মতো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল মার্কেটের সন্ধান করে যারা উদীয়মান উদ্ভাবন এর ক্ষেত্রে তাদের ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার করতে পারে।
সহজে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়
যে কোন মানুষ যেকোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন শুধুমাত্র ব্যাচেলর ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর।
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সার্টিফিকেট কোর্স করে নিতে পারেন। এ বিষয়ে পড়ার জন্য আপনাকে মোটেও তিন থেকে চার বছর সময় ব্যয় করতে হবে না।
আপনি এই মার্কেটিং কে নিজের পেশা বানাতে চাইলে। প্রথমে একটি বিশ্বস্ত সার্টিফিকেসন কোর্স করে বিভিন্ন পর্যায়ের অংশগ্রহণ করে, বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা তৈরী হয় ?
ডিজিটাল মার্কেটের মধ্যে দক্ষ পরিচালনা এবং ক্ষমতা নেতৃত্ব দানের থাকতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সগুলোতে আচরণগত দক্ষতা শেখানো হয় যা একজন উদ্যোগপতির বিশেষ দক্ষতা হিসেবে মনে করে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনাকে ভাল যোগাযোগ ক্ষমতার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে মার্কেটিং এর পরিকল্পনা করতে হয়।
তাছাড়া একজন উদ্যোক্তার মতো ডিজিটাল মার্কেটেরাও সৃজনশীল পদ্ধতিতে তাদের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে হয়। যাতে তাদের ব্র্যান্ড সেরা মুখপাত্র এবং পরিচিতি লাভ করে।
আকর্ষণীয় স্যালারি প্যাকেজ
ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাগুলোতে চাহিদার সাথে সাথে প্রেসার ডিজিটাল মার্কেটের অভাব থাকায় যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। যার ফলে আপনারা যথেষ্ট পরিমাণের স্যালারি দাবি করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে এমন অসংখ্য ডিজিটাল মার্কেট রয়েছে যারা প্রতিমাসের লক্ষ টাকা উপার্জন করে।
৭. কঠোর পরিশ্রম ও সৃজনশীল পেশা:
এটি হল এমন একটা বিষয়, যেখানে আপনি আপনার শৈল্পিক চিন্তাভাবনার সাথে টেকনিক্যাল বিষয়বস্তুগুলোর মেলবন্ধন ঘটিয়ে নিজের পেশাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখেন, তখন আপনি গভীর জ্ঞানলাভের পাশাপাশি আপনার সৃজনশীলতাকেও কাজে লাগাতে পারেন।
কোনো প্রজেক্টে কাজ করার সময়ে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও কনটেন্ট কিংবা ফটোশুটও বানাতে হতে পারে।
যার সাথেই আপনাকে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলগুলো সম্পাদন করতে হয়।
তাই, আপনাকে আপনার সৃজনশীল কন্টেন্টের কার্যকারিতা বুঝে সেই অনুযায়ী ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে আপনি নিজেকে ক্যারিয়ার সহজেই গড়ে তুলতে পারবেন। আর একবার যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে যেতে পারেন।
তাহলে আপনাকে পেছনের দিকে আর ফিরিয়ে তাকাতে হবে না। আপনারা অফলাইনে এবং অনলাইনে সহজে মার্কেটিং করে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শেখানো হয় ?
উপরোক্ত আলোচনা জানার পর অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শেখানো হয়। আমি আপনাকে সংক্ষিপ্তভাবে জানাতে চাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে কাজগুলো শেখানো হয়।
সেগুলো হচ্ছে-
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (এসইও)
- সার্চ ইঞ্চিন মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটি
- অ্যাফিলিয়েট এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- অডিও মার্কেটিং
- ডেটা এনালাইটিক্স ইত্যাদি
শেষ কথাঃ
আলোচনা শেষে আপনাদের আরো একবার বলতে, চাই আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান। তাহলে আপনার সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছরের মত।
আপনি যদি এই সময়টা ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন।
তো আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং অনেক বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে। ধন্যবাদ