বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় : বর্তমান সময়ে যারা বাটন ফোন থেকে শুরু করে, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। তারা সকলেই মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকে।
আর বিকাশ একাউন্ট গুলো আমাদের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দারিয়েছে যা ছাড়া আমরা টাকা লেনা দেনা করার কথা কল্পনাও করতে পারি না।
কারণ বিকাশ অনেক বিশ্বস্ত একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। যা ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের মধ্যে অনেক বিকাশ ব্যবহারকারীদের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তো আপনারা যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে সমস্যায় ভোগছেন।
- পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া
- বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম (বিস্তারিত দেখুন)
- পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার নিয়ম
তাদের কে অবশ্যই জানতে হবে, মূলত কি কি কারণে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। বিকাশ একাউন্টের ছোট ছোট সমস্যা দেখা দিলে সেগুলো আমরা নিজের ঘরে বসেই ঠিক করতে পারি।
কিন্তু যখন এমন কিছু সমস্যা দেখা দেয় যে গুলো আমরা কোন ভাবেই সমাধান করতে পারি না। বিকাশ একাউন্ট সমাধন করার জন্য নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হয়।
তো চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
- একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায়
- ভিডিও দেখে ৫০০-১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট সাথে সাথে বিকাশে guide bangla
- বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ
আপনারা যারা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন। তাদের বিকাশ একাউন্ট কি কারণে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিষয়ে জানাতে নিচে একটি তালিকা তৈরি করেছি। দেখুন…
- বিকাশ একাউন্ট ব্যবহারে, ৩০ মিনিট এর মধ্যে ৩ বার যদি ভুল পিন দেওয়া হয় তাহলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়।
- বিকাশ একাউন্টের তথ্য গত ভুল থাকলে বন্ধ হয়।
- অনেক দিন বিকাশ একাউন্টে টাকা লেন দেন না করার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
- বিকাশ সিম রিপ্লেস করলে বন্ধ হয়ে যায়।
তো আপনারা যারা উক্ত সমস্যায় পড়েছেন। এখন করণীয় কি? এই বিষযে জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
আমরা যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করি। তারা সকলেই জানি যে, ৩০ মিনিটের মধ্যে একটানা তিন বার ভুল পিন ব্যবহার করলে বিকাশ একাউন্ট টেম্পোরারি বন্ধ হয়ে যায়।
এরকম ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট যদি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকাশ হেল্প লাইনে কল করলে সহজেই সমাধান জেনে নিতে পারবেন। বিকাশ হেল্প লাইনে কল করার পূর্বে আপনাকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
কারণ বিকাশ হেল্প লাইনে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে একাউন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে। যেমন- বিকাশ একাউন্ট কোন জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট দিয়ে করা হয়েছে।
বিকাশ একাউন্টে কত টাকা সর্বশেষ উত্তলণ করেছেন বা জমা করেছেন। এই সকল তথ্য কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিরা জানতে চাইবে।
আপনি এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করে, তারাপরে বিকাশ হেল্প লাইনে কল করবেন। আর আপনি তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দিতে পারলে, তারা তথ্য ভেরিফাই করে দেখবেন।
যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে। তাহলে হেল্প লাইন প্রতিনিধি আপনাকে একটি ওয়ান টাইম পিন কোড দিয়ে রিসেট করে দিবে। আপনি তখন সাথে সাথে সেই ওয়ান টাইম পিন ব্যবহার করে, নতুন পিন যুক্ত করে নিতে পারবেন।
বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার হলো- 16247
আপনারা চাইলে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে, বিকাশ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপনারা ওয়েবসাইটে হেল্প লাইনে যোগাযোগ করলে, দ্রতু বিকাশ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
আপনারা যারা জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট দিয়ে বিকাশ খোলেছেন। তারা সেই তথ্য গুলো সংগ্রহ করে, বিকাশ সাইটে লাইভ চ্যাট করে, বন্ধ বিকাশ একাউন্ট একটিভ করে নিতে পারবেন।
আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে বিকাশ অনলাইন হেল্প লাইন এর একটি লিংক যুক্ত করে দেব। যা ভিজিট করে, আপনারা খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে সমাধান করে নিতে পারবেন।বিকাশ অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করুন।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করেন। যদি কোন কারণ বসতঃ বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আপনার কাছে যদি সঠিক প্রমাণ ও ডকুমেন্ট থাকে। তাহলে বিকাশ হেল্প লাইনে যোগাযোগ করলে, তারা আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্ট পুর্নরায় একটিভ করে দিবে।
আর আপনার সুবিধার জন্য আমরা উপরিউক্ত আলোচনাতে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি? কিভাবে সমাধান করবেন। সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি।
এখন আপনারা সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, কাজ করতে পারলে, বন্ধ বিকাশ একাউন্ট চালু করে নিতে পারবেন।
আমাদের লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি উপকৃত হোন। তাহলে এটি আপনার বন্ধুদের জানতে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন।
আর মোবাইল ব্যাংকিং এর আরো অন্যান্য একাউন্ট সম্পর্কে নতুন নতুন আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ…