ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় – [Advance Freelancing]

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয়ের কথাটি এখন আর কারো অজানা নয় । বর্তমান সময়ে যে কেউ অনলাইন থেকে আয় করার কথা মাথায় আসলেই প্রথমেই যে কথাটি মাথায় আসে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং। এখন কথা হল ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করা যায়? বন্ধুরা আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এর সকল খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে।

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েন আশা করি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা চলে আসবে। এমনকি আপনি চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার পর কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এ ব্যাপারে সকল গাইডলাইন পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আমাদের এই টিউটোরিয়ালটিতে ফ্রিল্যান্সিং এর সকল তথ্য এবং ধারা ও নিয়ম-নীতিগুলো আলোচনা করেছি- প্রয়োজনবোধে ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।

আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি সম্পন্ন আয়ত্ত করলে আপনি নিজে নিজেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা আসল আলোচনায় চলে যাই।

ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় - [Advance Freelancing]
ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় – [Advance Freelancing]

Table of Contents

ফ্রিল্যান্সিং কি? – What is Freelancing

ফ্রীলান্সিং হলো- ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে কোন বায়ার বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের কাজ করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট নিয়ে কাজ সম্পন্ন করার নাম।

অর্থাৎ সরাসরি কোনো কাজ না করে, অনলাইনে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে কারো কাজ করে দেয়ার মাধ্যমটিই হলো ফ্রিল্যান্সি। যেহেতু এই কাজটি করতে সরাসরি অফিস করতে হয় না, কারো কাছে গিয়ে কাজ করতে হয় না, নিজে নিজের ঘরে বসে নিজের সময় মত নিজের মত কাজ করা যায় তাই এ মাধ্যমটিকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

যারা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।

তবে এটিই তাদের রাতারাতি এর জন্য তাদের প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখন কথা হল আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে কি করতে হবে? আজকের আলোচনার বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। তার আগে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বেশি কিছু তথ্য না জানলেই নয়।

চলনা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আমরা টুকিটাকি কিছু বিষয়ে আগে জেনে নেই তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সুধারণা চলে আসবে। এবং আপনি খুব দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এটা আসলে স্পেসিফিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের বেশকিছু ক্যাটাগরির রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ ভিন্ন ভিন্ন রকম হতে পারে।  আবার আপনি যে কাজটি করছেন তাতে আপনার কতটুকু দক্ষতা রয়েছে তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন।

তারপরও আমি একটি প্রাথমিক ধারণা দিয়ে দিচ্ছি একজন ফ্রিল্যান্সার কত টাকা ইনকাম করতে পারেঃ

মনে করুন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখবেন, এখন কথা হলো একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এর একটি কাজের জন্য কত টাকা ইনকাম হতে পারে?  বর্তমান অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে রয়েছে।  মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে কত টাকায় হায়ার করে থাকে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ইনকাম সম্পর্কে আমরা একটি স্ক্রিনশট যুক্ত করছিঃ

এবার উপরের স্ক্রিনশটটা দিকে লক্ষ্য করুন, এখানে প্রতিটি ডিজাইনের জন্য ফ্রিল্যান্সাররা কত টাকা এভারেজ বিট করেছে। গ্রাফিক ডিজাইনাররা সাধারণত প্রতিটি কাজের জন্য 50 ডলার থেকে শুরু করে 2000 ডলার (কাজের ধরন অনুযায়ী) পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

আবারো বলছি– ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। এখানে আপনার যত দক্ষতা থাকবে আপনি তত বেশী আয় করবেন এটাই স্বাভাবিক।

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়ঃ বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে প্রত্যেক ধরনের কাজের কিন্তু সমান রেট নেই। তাই আপনাকে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন কাজটি করবেন।

** ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে যা এই আর্টিকেলের নিচের দিকে আমি আলোচনা করেছি। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে তার উপর দক্ষতা অর্জন করা শুরু করে দিন।

আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কাজ শিখবেন? কোন কাজের ডিমান্ড বেশি? কোন কাজ সহজ।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ শিখছেন আর প্রতিদিন কি পরিমাণ সময় করছেন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। ফ্রীলান্সিং এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই শেখা যায় আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো শিখতে 1 থেকে 2 বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময় লাগবে এটা কি ধরনের কাজ করবেন সেকাজ নির্ধারণ করার পূর্বে বলা কঠিন। তবে এখানে কিছু কিছু কাজের জন্য কি পরিমান সময় লাগতে পারে তার একটি তালিকা দিয়ে দিচ্ছি।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী সম্ভাব্য সময়:

এখানে আমি ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু কাজের নমুনা দিয়ে দিচ্ছি এবং এই কাজগুলো শিখতে আনুমানিক কত সময় লাগবে এর একটি ডিউরেশন দিয়ে দিলাম। কারো কারো ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম বা বেশি সময় লাগতে পারে।

ক্রমিক নং কাজের ক্যাটাগরি শিখতে আনুমানিক সময়

০১

আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, টেকনিক্যাল রাইটিং, এসইও রাইটিং ইত্যাদি ২ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

০২

গ্রাফিক্স ডিজাইন, লগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, বিজ্ঞাপন ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি রিলেটেড কাজ ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

০৩

ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এন্ড্রয়েড এপস ডিজাইন ইত্যাদি ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

০৪

ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এস.ই.ও, লিড জেনারেশন, ব্যাকলিংক ক্রিয়েশন ইত্যাদি ৩ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

এখানে ডাটাগুলো আমি শুধুমাত্র একটি আনুমানিক/ এভারেজ সময় হিসেবে উপস্থাপন করেছি। আপনি সময়টির পর অনলাইনে বা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে পারবেন। কাজ শুরু করার পর আপনাকে অবশ্যই কাজগুলি শিক্ষার উপর থাকতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের শিখে ফেলেছি বলতে কোন কথা নেই আপনি যতদিন কাজ করবেন আপনাকে ততদিন ঐ কাজ শিখতে হবে।

কেননা বর্তমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিটি সেক্টরে প্রতিটি কাজ প্রতিদিন আপডেট হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজের মধ্যে যত নতুনত্ব এবং সৃজনশীলতা আনতে পারবেন আপনার অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ততটাই বেড়ে যায়।

সুতরাং শিক্ষার কোন শেষ নেই আপনি যতদিন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন ততদিন টুকিটাকি নতুন কাজগুলো শিখে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন সময়লাগে? কিভাবে দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? – How to Learn Freelancing

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে টুকিটাকি অনেক বিষয় জানলাম এখন প্রশ্ন হল- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনি দুই ভাবে শিখতে পারবেন।১।  সম্পূর্ণ ফ্রিতে, ২। পেড কোর্স এর মাধ্যমে

১। ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আপনি যদি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আপনি যে কাজটি শিখবেন সেই কাজটি সম্পর্কে ভালভাবে গুগোল এবং ইউটিউব থেকে জেনে নিন। তারপর সে সম্পর্কে গুগল ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ফ্রি টিউটরিয়াল/ফ্রি কোর্স পেয়ে যাবেন। সেগুলো সংগ্রহ করে আপনি প্রতিনিয়ত কাজ শিখতে থাকুন এবং প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস করতে থাকুন।

আপনি যখন ফ্রি তে কাজ শিখবেন তখন, আপনার সময় একটু বেশি লাগতে পারে। আবার এখানে আপনার লাভ বেশি। যেমন- আপনি যখন ফ্রিতে একটি কাজ শিখতে যাবেন শেখার জন্য আরও দুই থেকে তিনটি কাজ আপনাকে শিখতে হবে। তাহলে যে কাজটি আপনি শিখতে চাচ্ছেন সে কাজটি সহজ হবে। পক্ষান্তরে যখন আপনি কোন কোচিং সেন্টারে কাজটি শিখবেন তখন কিন্তু নির্ধারিত কাজ ছাড়া বাড়তি কোনো কাজ তারা শেখাবে না।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখুন তাহলে আপনার দুইটি লাভ- প্রথমতঃ ফ্রিতে আপনি অনেক বেশি কাজ শিখতে পারবেন। দ্বিতীয়তঃ আপনার কোন কোর্স ফি দিতে হলো না।

২। পেইড কোর্স এর মাধ্যমে: 

আপনি যদি কোন কোচিং সেন্টার বা কোর্স ক্রয় করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনি তিন ভাবে শিখতে পারেন।

প্রথমত: আপনি আপনার নিকটস্থ কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে সরাসরি ক্লাস করে শিখতে পারেন। ফ্রীলান্সিং কোর্স গুলো  কাজের উপর নির্ভর করে সাধারণত তিন থেকে ছয় মাসের হয়ে থাকে। কোচিং সেন্টারে সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি 5000 টাকা থেকে শুরু করে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

দ্বিতীয়তঃ অনলাইন কোর্স, বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া তে অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যারা তাদের কোর্স ডিজাইন করে স্টুডেন্ট দের নিয়ে অনলাইনে লাইভ ক্লাস করে। এক্ষেত্রে আপনাকে কোচিং সেন্টারে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হতে হবে।  প্রতিদিন সময়মতো নির্ধারিত মিটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে তাদের সাথে কানেক্ট হয়ে ক্লাশ করতে হবে। এসমস্ত অনলাইন কোর্স গুলোর মূল্য- 2000 টাকা থেকে শুরু করে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

তৃতীয়তঃ ভিডিও কোর্স, বিভিন্ন আইটি সেন্টার বা বিভিন্ন কোম্পানি ভিডিও আকারে তাদের কোর্স গুলো তৈরি করে মার্কেটপ্লেসে দিয়ে রেখেছে। আপনি চাইলে পছন্দমত যেকোনো একটি কোর্স ক্রয় করে বাড়িতে বসে বসে ভিডিওগুলো দেখে কাজ শিখতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি হতে সাপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আপনি কোন একটি বিষয়ে আটকে গেলে সেই বিষয়টি গুগল বা ইউটিউব থেকে সমাধান করতে হবে।

আবার কিছু কিছু কোম্পানি বিক্রির পর তাদের সাপোর্ট দিয়ে থাকে যেকোনো প্রয়োজনে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায় এবং তারা সমাধান করে দেয়। এই সমস্ত ভিডিও কোর্সের জন্য কাজ অনুযায়ী কোর্স ফি- 1000 টাকা থেকে শুরু করে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এখন আপনার ইচ্ছা আপনি যদি চান তাহলে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন এবং যদি আপনার ফি দিয়ে শেখার আগ্রহ থাকে তাহলে সেটাও করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কোথায় করবেন

এতক্ষণ আমরা জানলাম ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়। আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন কোন কোর্স ক্রয় করে অথবা কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তাহলে কোথায় কোর্স করবেন।

ফ্রীলান্সিং কোর্স করার পূর্বে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:

  • এখানে কোর্স করবেন তারা কতটুকু কাজ শেখাবে কাজের মডেলগুলো পূর্বে দেখে নিতে হবে।
  • আপনি যেখানে পোস্ট করবেন সেখানে আপনার পক্ষে গিয়ে কোচিং করা সম্ভব কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
  • কোর্সের মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
  • কোর্স শেষে তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সরাসরি কাজের কোন ওয়ার্কশপ প্রদান করবে কিনা।
  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়ার জন্য তারা সহযোগিতা করবে কিনা।
  • আপনি যেখান থেকে কোর্স করতে চাচ্ছেন তারা আদৌ এ সম্পর্কে কতটুকু অভিজ্ঞ, তা আপনাকে যাচাই করতে হবে।
  • কোচিং সেন্টার যেভাবে আছে সেভাবে সেভাবে আপনি সময় দিয়ে কাজ শিখতে পারবেন কিনা এটাও মাথায় রাখতে হবে।
  • অতঃপর আপনি যে কোষটি করবেন সেটি জন্য নির্ধারিত ফি ঠিক আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিতে হবে।

এই বিষয়গুলি যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ অনলাইনে যেভাবে একটি কোর্সে ভর্তি হয়ে কাজ শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা খরচ হবে?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলের একটু উপরের দিকে আলোচনা করেছি। আপনি যদি কোন কোচিং সেন্টার থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে 2000 টাকা থেকে শুরু করে প্রায় 50 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগতে পারে।

এর হিসাবটি নির্ধারিত হবে আপনি কি কাজ শিখতে চাচ্ছেন? কোর্স ডিউরেশন কত দিন? এবং কতটি ক্লাস হবে, তার ওপর।

বিস্তারিত এখানে: ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা খরচ হয় ? এবং কতদিন সময় লাগে। 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইটগুলো

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে আপনারা চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলোর যেকোনো একটি থেকে কোর্স সংগ্রহ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি নিচে কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট উল্লেখ করলাম। আপনারা ঘাটাঘাটি করে দেখে আসতে পারেন।

1. Udemy:  ফ্রীলান্সিং শেখার কোর্স এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট।

2. Skillshare: ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং ক্লাস সমূহ এই সাইটে পাবেন।

3. Creativelive: ডিজাইনারদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইট।

4. The Futur: যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে উদ্যোক্তা হতে চান তাদের জন্য সেরা ওয়েবসাইট।

5. Creativelive:  Freelancing 101: Turning your Side Hustle into Cash.

6. LinkedIn: আনলিমিটেড ফ্রীলান্সিং ট্রেনিং কোর্স পাওয়া যায় – Free.

7. Coursera: Successful Negotiation: Essential Strategies and Skills.

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে কিনা?

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে কিনা? হ্যাঁ বন্ধুরা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে তবে হ্যা আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট না থাকে তবুও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কেননা এই সেক্টর গুলোতে আপনাকে মোটামুটি ইংলিশ জানতে হয় না হলে বায়ারদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন না।

সবচেয়ে বড় কথা– ফ্রীলান্সিং সেক্টর গুলোতে আপনার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন এখানে আপনার কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই। এখানে আপনি কি পারেন কোন কাজের ওপর আপনার ভালো দক্ষতা রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

এখানে এমনটা নয়- আপনি কত ক্লাস পড়াশোনা করেছেন? আপনার কতটি সার্টিফিকেট রয়েছে? আপনার কতগুলো ফাস্ক্লাস ডিগ্রী রয়েছে? এগুলো আপনার কাছে কেউ দেখতে জানতে চাইবে না।

আপনি যখনই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে যাবেন আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হবে আপনি এই কাজটি পারেন কিনা। আপনার উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে আপনি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সে কাজটি করতে পারবেন আর যদি না হয় তাহলে সেখান থেকে কেটে পড়ুন।

মোটকথা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আপনার সেই শিক্ষা টি যেকোনো ভাবে হতে পারে। আপনি যদি সেই শিক্ষাটি বাসায় বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিখেন তবুও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। অথবা যদি আপনি কোন ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তবুও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনার কতটি সার্টিফিকেট রয়েছে এটা কোন মেটার না।

আমি আবারো বলছি– ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু আপনার সার্টিফিকেট এর কোনো প্রয়োজন নেই। ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার সময় কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার টেস্ট দিতে হয়।

যেমন: আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইংলিশ গ্রামার/ভোকেবোলারী এর ওপর টেস্ট দিতে হবে।

Read More: ফ্রিল্যান্সিং করতে কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন? বিস্তারিত এখানে

ফিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এবং ফ্রীলান্সিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। যেগুলি ছাড়া আপনি অনলাইন থেকে ফ্রি-লেন্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং করতে যা যা লাগবে: 

  • একটি ভালো মানের কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ।
  • ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন।
  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনার কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে।
  • ভালো মানের একটি মাইক্রোফোন থাকতে হবে।
  • টাকা তুলার জন্য ব্যাংক একাউন্ট অথবা প্রয়োজনীয় পেমেন্ট মেথড থাকতে হবে।
  • আপনার পরিচয় বহনকারী এনআইডি কার্ড/ বা সরকার ইস্যুকৃত যেকোনো ডকুমেন্ট থাকতে হবে (প্রয়োজনে)।
  • আপনার বয়স কমপক্ষে 18 হতে হবে।  আর যদি 18 না হয় সেক্ষেত্রে মা-বাবা অথবা ভাই-বোনের (যাদের বয়স 18 এর উপরে) যেকোনো একটি নাম দিয়ে আপনাকে অ্যাকাউন্ট করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে শুরু করবো? – How to Start Freelancing Career

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে আমি নিচে কিছু রুলস দিয়ে দিচ্ছি এই রোজ গুলো ফলো করতে পারেনঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
  • সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আপনাকে যে কোন একটি বিষয়/ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।
  • আপনার নির্বাচিত ক্যাটাগরি বা বিষয়ের ওপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • আপনার বিষয়ের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করতে হবে।
  • মার্কেটপ্লেসে সুন্দরভাবে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে।
  • তারপর আপনার দক্ষতা পোর্টফলিও গুলো আপনার প্রোফাইলে সুন্দর করে সাজাতে হবে।
  • তারপর যে জব গুলো পোস্ট হবে শেজব গুলোর জন্য সুন্দর ভাবে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে।
  • যখন বায়ার আপনাকে রিপ্লাই করবে রিপ্লাইয়ে সুন্দর ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
  • কোন একটি কাজ সম্পন্ন করার পর বায়ারের কাছ থেকে ফাইভস্টার রিভিউ নিতে হবে।

বন্ধুরা এই কাজগুলো কিভাবে করবেন তাইতো? আপনার কাছে একটু এলোমেলো লাগছে তাইনা? যাইহোক এই কাজগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে করার জন্য আপনি আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি ফলো করতে পারেন: কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন- বিস্তারিত 

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিলসমুহ

এতক্ষণ আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে টুকিটাকি অনেক বিষয়ে জেনে ফেলেছি। এখন আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য জনপ্রিয় কিছু কাজ যেগুলো করলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে খুব ভালো পরিমাণে কাজ পাওয়া যায় এবং বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এখান থেকে দেখে আপনি কোন কাজটি করতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিলগুলো হলোঃ

ক) গ্রাফিক্স ডিজাইন: ব্যানার ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, বিজ্ঞাপন ডিজাইন, ফ্লায়ার ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, স্টেশনারি ডিজাইন, প্যাকেজিং ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন ইত্যাদি রিলেটেড কাজ।

খ) লোগো ডিজাইন: বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ডিজাইন।

গ) ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট: সিএসএস, এইচটিএমএল, পিএইচপি, পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট, জেএস রিয়েক্ট, ওয়াডপ্রেস, লারাভেল, জুমলা ইত্যাদি রিলেটেড কাজ।

ঘ) অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: মোবাইলের জন্য অ্যাপস ডেভলপ করা।

ঙ) আর্টিকেল রাইটিং

চ) ডিজিটাল মার্কেটিং: 

ছ) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে সেগুলো করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কাজটি শিখবেন? বিস্তারিত এখানে।

সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো- ফ্রিল্যান্সিং জব কোথায় পাবেন

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর জব কোথায় করবেন। ফ্রীলান্সিং জব কোথায় পাবেন এ নিয়ে ভাবনার কোন শেষ নেই। বন্ধুরা টেনশনের কোন কারণ নেই কেননা বর্তমানে অনলাইন এ প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে ফ্রীলান্স কাজ করার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং জব কে আউটসোর্সিং জব ও বলা হয়। আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।

আমি এখানে ফ্রীলান্সিং জব এর জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে লিপিবদ্ধ করেছে। নিচে কিছু ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তুলে ধরলাম আপনারা চাইলে এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল তৈরী করে কাজ করতে পারবেন। Best Freelancing marketplace for Freelancing jobs.

সেরা ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস গুলো হল|

  • Fiverr
  • Freelancer
  • Upwork
  • Behance
  • Flexjobs
  • Guru
  • Dribbble
  • 99designs
  • Toptal
  • Peopleperhour
  • we work remotely
  • Freelance Writing
  • Aquent
  • Contently
  • FreeUp
  • DesignCrowd
  • Coroflot
  • Codeable
  • Contena
  • Working Nomad

এছাড়াও অনলাইনে প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে আপনারা একটু খুজাখুজি করলেই পেয়ে যাবেন।  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি নির্বাচন করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে ভেবে চিন্তে তারপর নির্বাচন করতে হবে। কেননা একটি টপিক বা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর আপনি চাইলেও সেটা বাদ দিয়ে অন্য আরেকটি শুরু করতে পারবেন না। আর চাইলেও সেক্ষেত্রে আপনার অনেক সময় এবং পরিশ্রম লস হয়ে যাবে।

আবার এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, শুধুমাত্র নির্বাচন করলেই হবে না সেই টপিকের ওপর আপনার ইন্টারেস্ট আছে কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ক্যাটাগরি বা বিষয় নির্বাচন করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি নির্বাচন করার জন্য যে বিষয়গুলি লক্ষ রাখা উচিৎঃ

পার্সোনাল ইন্টারেস্টঃ আপনি যে কাজটি নির্বাচন করবেন সে কাজের প্রতি আপনার পার্সোনাল ব্যক্তিগত কোন ইন্টারেস্ট আছে কিনা সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যে বিষয়ে কাজ করতে আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে সেই বিষয়ের সাথে মিলিয়ে যেকোনো একটি টপিক নির্বাচন করুন তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অথবা ফ্রীলান্সিং করতে আপনার অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

মনে করুন: আপনি পেশায় একজন ব্যাংকার, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ  শিখতে চান তাহলে একটু বেমানান। এক্ষেত্রে আপনি একাউন্টিং, ব্যাংকিং রাইটিং, লোন, ক্রেডিট অফ লেটার্স, অর্থাৎ ব্যাংকিং সেক্টরের যেকোনো একটি কাজ কে বেছে নেন তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। আর যদি ওয়েব ডিজাইনের প্রতি প্রবল ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে সেটা নিতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

আর যদি আপনার ইন্টারেস্ট এর বাইরে কোন কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন কিছুদূর যাওয়ার পর তখন সেই কাজটি আর আপনার কাছে ভালো লাগবে না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে সেক্ষেত্রে কাজের যে ইন্টারেস্ট সিটি আপনি পাবেন না।

সহজ বিষয় নির্বাচন করাঃ অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাজারো কাজের মধ্যে যে কাজটি আপনার কাছে সবচেয়ে সহজ মনে হয় সে কাজটি নির্বাচন করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। যখন কোন কাজ আপনার কাছে সহজ মনে হবে সেই কাজটি আপনি খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন আর যদি কোন কাজ কঠিন মনে হয় সে কাজটি আপনার কাছে অনেক বোঝা মনে হবে।

চাহিদা সম্পন্ন কাজঃ আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে কাজটা নির্বাচন করছেন সেই কাজটি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কেমন চাহিদা রয়েছে। অবশ্যই কাজ নির্বাচন করার পূর্বে কাজের চাহিদা দেখে নির্বাচন করতে হবে কেননা আপনি এমন একটি কাজ নির্বাচন করলেন যেটি মার্কেটপ্লেসে কোনো চাহিদা নেই তাহলে আপনি কোথায় কাজ করবেন?

লো কম্পিটিশন কাজঃ অবশ্যই যেখানে নির্বাচন করবেন সে কাজটি চাহিদা থাকতে হবে এবং পাশাপাশি যেন কম্পিটিশন অনেক কম হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এমন কোন কাজ নির্বাচন করা যাবে না যে কাজটির জন্য আগে থেকেই প্রচুর ফ্রিল্যান্সার অপেক্ষা করছে। অর্থাৎ কাজটির চাহিদার তুলনায় কম্পিটিশন অনেক বেশি।

তাই আউটসোর্সিং করার জন্য যখন কাজ নির্বাচন করবেন তখন ভেবেচিন্তে রিসার্চ করে একটু সময় নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট আছে এমন একটি কাজ নির্বাচন করুন। এবং সে কাজটি যেন মার্কেটপ্লেসে চাহিদা থাকে এবং কম্পিটিশন কম থাকে এ দিকেও খেয়াল রাখতে হবে তাহলে খুব দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিংয়ে উন্নতি করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য করনীয়।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তরসমূহঃ

প্রশ্ন-০১#  ফ্রিল্যান্সিং কি? What is freelancing?

উত্তরঃ ফ্রীলান্সিং হলো কেউ কোন কাজের জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অফার করবে এবং যারা কাজ করে তাদের মধ্যে অনেকেই সেই কাজটির জন্য আবেদন করবে। বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কথাবার্তার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময় ও মূল্য নির্ধারণ করে কাজটি সম্পন্ন করে বিনিময় নির্ধারিত টাকা আয় করাই হল ফ্রীলান্সিং।
প্রশ্ন-০২# কে ফ্রিল্যান্সারে হতে পারবে?  Who can become a freelancer?

উত্তরঃ সহজ উত্তর হল যে কেউ ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি যে কাজটি করবেন সে কাজের ওপর পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা অর্জন করে তারপর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে পার্টিসিপেট করতে হবে।
প্রশ্ন-০৩# কারা ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে? Who hires freelancers?

উত্তরঃ সাধারণত কোন ব্যক্তি, কোন প্রতিষ্ঠান, বা কোন টিম তাদের ছোট মাঝারি এবং বড় ধরনের যেকোনো কাজ করে নেয়ার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে।

প্রশ্ন-০৪# কি ধররে কাজ ফ্রিল্যান্সার রা মার্কেটপ্লেসে করে থাকে? What kinds of works do freelancers on marketplace?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ করে থাকে, যেমন- আইটি রিলেটেড কাজ, একাউন্স রিলেটেড কাজ, ডিজাইন রিলেটেড কাজ, মার্কেটিং রিলেটেড কাজ, ভাষা সংক্রান্ত কাজ ইত্যাদি। (ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সম্পর্কে বিশদ ধারণা পেতে আপনারা এই আর্টিকেলের উপরের অংশে দেখতে পারেন এখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি)।

প্রশ্ন-০৫# কোন কাজের চাহিদা বেশি? Which jobs are in demand?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কয়েকটি কাজ হল:

  • = এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট।
  • = ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট।
  • = গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, অন্যান্য ডিজাইন।
  • = ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইন্জিন মার্কেটিং ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-০৬# ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা সমূহ কি কি?  What are the advantages of being a freelancer?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সারদের অনেক রকমের সুবিধা থাকে।

যেমন-

  • ফ্রীলান্সিং হল একটি স্বাধীন পেশা আপনার ইচ্ছা হলো কাজ করবেন আপনার ইচ্ছা না হলে কাজ করবেন না।
  • নিজের সুবিধামতো নিজের সময়ে কাজ করা যায়।
  • নিজের পছন্দের কাজ করা যায়।
  • নিজ বাসায় বসে কাজ করা যায়।
  • ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন অফিস বা এসেট এর প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন হলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন ধরনের পুজি লাগে না এবং ইনভেস্ট করতে হয় না।
  • ফ্রিল্যান্সিং রেমিটেন্স সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে তুলা যায়।

প্রশ্ন-০৭# ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাগুলো কি?  What are the disadvantages of freelancing?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সুবিধার পাশাপাশি কিছু কিছু অসুবিধা রয়েছে।

যেমন-

  • অনেক সময় কাজের চাপ থাকায় একটানা কাজ করতে একঘেয়েমি লাগতে পারে।
  • এক জায়গায় বসে একই রকম কাজ দীর্ঘ করতে করতে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  • ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস গুলোর অধিকাংশ বায়ার দেশের বাইরের হাওয়ায় রাত জেগে কাজ করতে হয় এজন্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
  • কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে পেমেন্ট নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। অবশ্য এ বিষয়গুলি আপনি চাইলেই এড়িয়ে চলতে পারবেন।

প্রশ্ন-০৮# আমরা কোথায় ফ্রিল্যান্সিং করব?  Where can I freelance?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনলাইনে থাকা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এর শরণাপন্ন হতে পারেন এছাড়া চাইলে বিভিন্ন বায়ার বা কোম্পানীর সাথে সরাসরি ও কাজ করতে পারেন।

প্রশ্ন-০৯# কিভাবে ফ্রিল্যান্সি শুরু করব? How to get started?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করুন> যেকোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করুন> অতপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করে ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

প্রশ্ন-১০# আমি কি ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে পারবো? Can I make a career out of freelancing?

এক কথায় উত্তর হল অবশ্যই পারবেন? যে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। চাইলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার ক্যারিয়ার করতে পারবেন বর্তমানে ফ্রীলান্সিং পেশাটি অনেক জনপ্রিয় একটি ফ্যাশন। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ ব্যাক্তি তাদের পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সি কে বেছে নিয়েছে।

সর্বপরি আমাদের পরামর্শঃ

সর্বপরি আমাদের পরামর্শ হলো আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় বর্তমানে আপনি যে পেশায় জড়িত আছেন সেটির সাথে থেকেই পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করা শুরু করে দিন। যখন আপনার ভালো দক্ষতা হবে তখন আপনি ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং এ চলে আসুন। একথা একারনেই বললাম এই পেশাতে আসার সাথে সাথেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি সময়ের ফ্রেমে বাধা। আপনি যত সময় দেবেন তত আয় করতে পারবেন। আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে আপনার কাজের মূল্য তত বাড়বে। অর্থাৎ একই কাজ আপনি আজ রেটে করবেন সেই কাজটিই দুই বছর পর তার ডাবল দামে করবেন। এর কারন হলো আপনি যে কাজটি দুই বছর আগে করবেন তার থেকে দুই বছর পর আপনার দক্ষতা বাড়বে।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং পেশাটিতে যত দিন যাবে আপনার আয় বাড়তেই থাকবে।

বন্ধুরা আপনার যদি কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল

1 thought on “ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় – [Advance Freelancing]”

Leave a Comment