আপনি কি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান? বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করা পানির মতো সহজ যদি আপনি সঠিক লাইনে কাজ করতে পারেন। আর যদি আপনি সঠিক লাইন খুঁজে নিতে না পারেন তাহলে আপনি কখনোই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। আর পারলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
তাই বন্ধুরা আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি রেডি করেছি কিভাবে একজন নতুন ইউজার অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করবে তার সঠিক গাইডলাইন দিয়ে।

অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে কি কি বিষয় শিখতে হবে?
আপনি যদি অনলাইন থেকে দ্রুত বা অল্প সময়ে ইনকাম করার স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোন একটি সহজ বিষয় নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অবশ্য একটি কথা মনে রাখতে হবে রাতারাতি কখনো বৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানো সম্ভব নয়।
তাই দীর্ঘস্থায়ী ইনকামের জন্য একটি ম্যাপিং করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করার কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম নিয়ে আমরা এই ওয়েবসাইটে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেছি। এবং প্রয়োজন ভেদে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল আপলোড করেছি। আপনি চাইলে খুব সহজেই আমাদের এই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল গুলো পড়ে এবং ভিডিও দেখে আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
অনলাইন ইনকাম করার সজহ মাধ্যম
অনলাইনে ইনকাম সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে:
১। প্যাসিভ ইনকাম
অনলাইন থেকে আয় করার যে মাধ্যমগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে যে সমস্ত ক্যাটেগরি রয়েছে আমরা মূলত সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেস্টা করব। কেননা ইন কাম কি হচ্ছে মজার একটি ইনকাম ইনকাম একবার শুরু হলে আস্তে আস্তে কাজ কমবে কিন্তু ইনকাম বাড়তে থাকবে।
অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য আপনি যে প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করবেন সেটি যত দিন যাবে তত পপুলার হবে এবং আপনার কাজের গতি ততটাই কমে আসবে এবং আপনার ইনকাম ততই বাড়তে থাকবে।
এবং এই ইনকামের কোন লিমিট নেই আপনি যত ইচ্ছা তত ইনকাম করতে পারবেন।
প্যাসিভ ইনকাম এর মধ্যে অন্যতম হলো: ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউব, ডিজিটাল সফটওয়্যার বিজনেস, অনলাইন কোর্স বিক্রয়, পেইড সাবস্ক্রিপশন ইত্যাদি।
যেগুলো প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রভাবে আমাদের ওই ওয়েবসাইটে আলোচনা করা রয়েছে।
২। রেগুলার ইনকাম
রেগুলার ইনকাম হলো আমরা যত কাজ করবো তত ইনকাম করব। অর্থাৎ আপনি একটি বায়ারের কাছে কাজ নিয়েছেন আপনি যখন সে কাজটি ডেলিভারি দিবেন বায়ার তখন আপনাকে টাকা দেবে এটি হচ্ছে রেগুলার ইনকাম।
এর জন্য আপনাকে যেকোন একটি বিষয় অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে হবে। রেগুলার ইনকামের মধ্যে অন্যতম কিছু মাধ্যম হলো: গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ট্রান্সলেটর ইত্যাদি।
কাজ নির্ধারণ করা:
অনলাইনে সহজে এবং দ্রুত ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে যেকোনো একটি বিষয়/টপিক নির্ধারণ করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু টপিক বা বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। রিচার্জ করার পর যে টপিক গুলো আপনার কাছে সহজ এবং এফোর্ট মনে হবে আপনি সেই বিষয় নিয়েই কাজ শুরু করে দেবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার যে কাজটি করতে মন চায় না, সে কাজটি নিয়ে কখনোই অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখবেন না। এ সমস্ত কেস এ ফেল করার সংখ্যায় বেশি।
অন্যতম একটি কারণ হলো: মনে করুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে আপনার ধারণা খুবই নগণ্য। অথবা কোন ইউনিক বা সৃজনশীল কোন আইডিয়া আপনার মধ্যে নেই। অথবা এমনটা হতে পারে এই বিষয়গুলো আপনার কোনভাবে ভালো লাগেনা।
আপনি লোক মুখে শুনেছেন গ্রাফিক ডিজাইনে ডিমান্ড অনেক বেশি আর তার কথার উপর নির্ভর করে আপনি সে কাজের নেমে পড়লেন। এটা মোটেও উচিত নয়।
কেননা আপনি যার মুখে শুনেছেন সে কিন্তু আপনাকে কখনোই কাজ করে দেবে না । আপনার কাজ আপনাকে করতে হবে। তাই কাজ শুরু করার আগে একটি সঠিক বিষয় নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
এখন আপনি যদি মনে করে থাকেন: আপনি ইনভেস্ট করবেন এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে আপনার প্রজেক্টে কাজ করিয়ে নেবেন তাহলে সমস্যা কোথায়? আমি বলব হ্যাঁ এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে, আপনি যখন কোনো ফ্রিল্যান্সার দিয়ে আপনার প্রোজেক্টের জন্য কাজ করিয়ে নেবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে সেই কাজটি যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন করার জন্য আপনার আরো বেশি দক্ষতা প্রয়োজন।
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনি যে কাজটি না জানেন সেই কাজটি আপনি কখনোই কাউকে দিয়ে সঠিকভাবে করিয়ে নিতে পারবেন না। কেননা আবে দেশে কাজ সম্পর্কে জানিনা আপনি কিভাবে তার কাজটি বুঝে নেবেন। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, এ কাজটি 100% ঠিক আছে।
তাই আমার পরামর্শঃ আপনি নিজে কাজ করুন বা কোন ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নিন আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে না হলে আপনি বর্তমান মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করবেন।
দক্ষতা অর্জন করতে হবেঃ
অনলাইনে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখানে আপনার যত দক্ষতা থাকবে আপনি তত বেশি ইনকাম করবেন এটাই নিয়ম। একই কাজ একজন দক্ষ ব্যক্তির এক লক্ষ টাকা পক্ষান্তরে সেই কাজের জন্য একজন অদক্ষ লোক 20000 টাকা দিয়ে হায়ার করা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে, অনলাইনে আপনার দক্ষতার মূল্য পাবেন আপনার কাজের মূল্য নয়।
অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বিষয় নির্বাচন করে সেই বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করার বেশ কিছু রয়েছে। যেমন:
- আপনাকে বেশি বেশি পড়তে হবে।
- আপনাকে বেশি বেশি ভিডিও দেখতে হবে।
- নতুন নতুন ফিচার খুঁজে বের করতে হবে।
- অন্যরা যেভাবে কাজ করেছে তার মধ্যে কি ধরনের ঘাটতি রয়েছে সে ঘাটতি গুলো খুজে বের করতে হবে।
- প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করতে হবে।
- আপনার কাজের চেয়ে রিসার্চের পিছনে সময় বের করতে হবে।
একটি মূল্যবান কথা হলঃ একজন অযোগ্য ব্যক্তি 10 ঘন্টায় যে কাজ করবে একজন দক্ষ ব্যক্তি সেই কাজটি 2 ঘন্টায় করতে পারে।
আরও পড়ুন: কিভাবে অনলাইনে নিজের দক্ষতা অর্জন/Skill development করবেন।
নিয়মিত সঠিকভাবে প্রেক্টিস করতে হবেঃ
অনলাইন থেকে দ্রুত ইনকাম করার জন্য বা দ্রুত স্কিল ডেভলপমেন্ট করার জন্য আরও একটি ইম্পরট্যান্ট বিষয় হচ্ছে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা। আপনি যখন ঐ কোন নতুন বিষয় শিখবেন সেই বিষয় সম্পর্কে একাধিকবার প্রেক্টিস করুন।
আপনি একটি বিষয়ে যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন সেটি আপনার তত দ্রুত আয়ত্তে আসবে এবং খুব দ্রুত পারফর্ম করতে পারবেন।
শুধু প্র্যাকটিস করলে হবে না সেটি সঠিক ভাবে প্র্যাকটিস করতে হবে আমি আরো সহজ করে বলছি।
মনে করুন আপনি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করছেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সারাক্ষণ গ্রাফিক ডিজাইনের ওপর ভিডিও দেখেন বা আর্টিকেল পড়েন তাহলে আপনার দক্ষতা উন্নয়ন হবে না। এই ক্ষেত্রে আপনাকে সারাক্ষণ যেকোনো নতুন সেবা নতুন ডিজাইন নিয়ে প্রতিনিয়ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে প্র্যাকটিস করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি অন্য একটি ডিজাইন নিয়ে ভেঙে চুরে আবার নতুন রূপে ডিজাইন করুন। বা যেকোনো একটি সেপ বা আকাঝোকা নিয়ে সেখান থেকে কিভাবে নতুন একটি ডিজাইন তৈরি করা যায় সেটা চিন্তা করুন। আপনি যত চিন্তা করবেন যত প্র্যাকটিস করবেন আপনার দক্ষতা তত বাড়বে।
আপনি যখন ভিডিওতে কারোর ডিজাইন করার টিউটরিয়াল বা কোর্স দেখছেন তখন স্পেসিফিকভাবে যে কাজটি দেখছেন সেটি করতে পারবেন। কিন্তু আপনার কাজ হবে সেই ডিজাইন না করে অন্য কোনো ডিজাইন নতুনভাবে তৈরি করা।
পক্ষান্তরে, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শুরু করেন, তখন আপনাকে বিভিন্ন নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করার অভ্যাস করতে হবে। অন্য একটি ডিজাইন ফলো করতে পারেন কিন্তু কখনই কপি করার চেষ্টা করবেন না।
আপনি যদি ব্লগিং নিয়ে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে অন্যরা যে টপিক নিয়ে কাজ করেছে সেই টপিক এর মধ্যে কোন বিষয়টি অভাব রয়েছে। আপনি যখনই ব্লগিং এসে কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে পাবেন সেখান দিয়ে খুব সহজেই উপরে উঠে যেতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট টা কেদার করতে পারবেন।
কিন্তু অন্য ব্লগে যে টপিক নিয়ে কাজ করছে আপনি যদি সেই টপিক নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে তাদেরকে বিট করে তাদের উপরে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম অনেক বেশি হবে।
শুধু তাই নয় আপনি যখন আপনার টপিক নিয়ে কাজ করবেন যারা আপনার কম্পিটিটর রয়েছে তারা কিন্তু বসে নেই তারাও চাইবে তাদের পজিশন ধরে রাখতে।
আরও পড়ুন:
- মাসে 45,000 টাকা ফ্রি অনলাইন ইনকাম। নিশ্চিত আয় এর উপায়
- আর্টিকেল কাকে বলে ? আর্টিকেল লেখার জন্য কি জানতে হবে ।
- ব্লগিং কি, কিভাবে শুরু করবেন- ব্লগিং করে আয় করুন মাসে 2 লক্ষ টাকা
নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে
আপনাকে নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। আপনি যদি অনলাইন থেকে দ্রুত ইনকাম করার কথা ভাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রজেক্ট বা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। সব সময় আপনার কাজে সৃজনশীলতা এবং নতুনত্ব যোগ করুন।
আপনার প্রজেক্টকে নিয়মিত আপডেট রাখুন তাহলে একজন ইউজার এসে নতুন কিছু পাবে।
মনে করুন আপনার ওয়েব সাইটে একটি আর্টিকেল রয়েছে এক বছর আগের লেখা। একজন user’s এই লেখাটি একবার পড়েছে, যখন সেই ইউজার আবার সেই আর্টিকেলটি পড়তে আসবে যদি সেটি আগের মতোই রয়ে যায় তাহলে সে আর্টিকেলটি পড়বে না। আর যদি আপনি সে আর্টিকেলটিতে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করে আফডেট রাখেন তাহলে অবশ্যই সে মনোযোগ দিয়ে পড়বে।
অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে আপডেট থাকার কোনো বিকল্প নেই।
সর্বোপরি আমার পরামর্শ
আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করার চিন্তাভাবনা নিয়ে আসেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম-কানুন মেনে বৈধ পন্থায় কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। কখনোই হঠাৎ বড়লোক হয়ে যাব এমন পরিকল্পনা নিয়ে অনলাইনে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ অন্যের পকেট থেকে টাকা নিজের পকেটে আনা।
সঠিক চিন্তা করতে হবে, সঠিকভাবে কাজ করতে হবে, পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনার মধ্যে যদি এই সকল গুনাগুন থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্যে আসতে পারেন।
আপনি কি বিষয় নিয়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান এখন থেকে নির্ধারণ করুন।