চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার নিশ্চত উপায় : বর্তমান সময়ে চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা সম্ভব। বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন সেক্টরে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব।
আপনারা কিভাবে একটি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন। সেই বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য আজ এই আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

আপনারা চাইলে চাকরির পাশাপাশি অনলাইন থেকে শুরু করে, অফলাইনে বিভিন্ন কাজ করে, ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
আমরা আপনাকে যে, কাজের আইডিয়া গুলো জানাবো। সেগুলো অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে এবং কাজ করতে সুবিধা হবে।
তো চলুন আর বেশি সময় নেবো না। বিস্তারিত আলোচনায় ফিরে যাব। এক্ষেত্রে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করা নিশ্চিত উপায় গুলো জানতে নিচে দেওয়া আলোচনা গুলো শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সরকারের পড়ুন।
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে অফলাইনে এমন অসংখ্য কাজ রয়েছে। যা আপনারা একটি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের নিশ্চিত উপায়ে হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
তো আমি এখানে, অনলাইন সেক্টরে এমন কত গুলো কাজের আইডিয়া জানাবো যেগুলোতে আপনার দক্ষতা থাকলে, চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করা নিশ্চিত উপায় সম্পর্কে। যেমন-
ফ্রিল্যান্সিং করুন
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমাদের বাংলাদেশে আউটসোর্সিং কে ফ্রিল্যান্সিং বলা থাকে। একটু খোলার সাথে বলতে গেলে, কোন একজন মানুষ তার প্রয়োজনীয় কাজগুলো আপনাকে দিয়ে করাবে।
এবং তারমাধ্যম হিসেবে সে অনলাইনে আপনার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা থেকে শুরু করে পেমেন্ট প্রদানের কাজ গুলো অনলাইনের মাধ্যমে করবেন।
আমাদের বাংলাদেশ ডলার ইনকাম করার পিছনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপকভাবে অবদান রয়েছে। তাই আপনারা চাইলে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনার অসংখ্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা সম্পন্ন এবং জনপ্রিয় কাজগুলো হচ্ছে-
- আর্টিকেল রাইটিং
- ডিজাইনিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি
আপনারা এই ধরনের কাজ গুলোতে, নিজেকে দক্ষতা সম্পন্ন করতে পারলে, একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, ফাইভার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি প্লাটফর্মে, নিজের প্রোফাইল তৈরি করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের দেওয়া কাজ সম্পন্ন করে, ডলার রোজগার করতে পারবেন।
ব্লগিং করুন
ব্লগিং এর বিষয়ে এক কথায় বলতে গেলে বলা যায় লেখালেখির মাধ্যম। ভার্চুয়াল জগতে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে আপনি লেখালেখির মাধ্যমে নিজের ঘরে বসে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন।
আমার দেখা অনেকেই রয়েছে, যারা চাকরির পাশাপাশি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করছে।
এছাড়া আপনারা চাকরির পাশাপাশি আরো অন্যান্য কাজের ফাঁকে বাড়তি টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং সেক্টর বেছে নিতে পারেন। ব্লগিং এ প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করতে পারলে, আপনারা মাস শেষে ভালো পরিমাণের টাকা রোজগার করতে পারবেন।
ব্লগিং শুরু করার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে লেখা আর্টিকেল ভিজিট করে পড়তে পারেন। ব্লগিং কি, কিভাবে শুরু করবেন- ব্লগিং করে আয় করুন মাসে 2 লক্ষ টাকা।
ইউটিউবিং শুরু করুন
আপনার চাইলে, যে কোন চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে, একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
কারণ ইউটিউব চ্যানেলে সাধারণ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে, পারলেই আপনারা google এডসেন্স মনিটাইজেশন করে, ইউটিউব থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
তো একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর, এখানে কপিরাইট মুক্ত ভিডিও আপলোড করে চলতি এক মাসের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াজ টাইম সম্পন্ন করতে পারলে, গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন করতে পারবেন।
তো ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করতে গেলে, আপনার তেমন সময় দিতে হবে না। আপনি চাকরির পাশাপাশি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় দিলেই বেশ ভালো পরিমান টাকা রোজগার করতে পারবেন।
ফেসবুকিং করুন
আমরা জানি, বর্তমানে স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে চাকরিজীবী সকলের স্মার্টফোন গুলোতে, ফেসবুক একাউন্ট খোলা রয়েছে। আপনারা চাইলে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে, যে কোন অবস্থায় থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
বিশেষ করে আপনি যদি ফেসবুক থেকে আয় করতে চান? তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব। আপনারা বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করুন। কারণ ফেসবুকে এখন ইউজ পরিমানের মানুষ প্রতিদিন অধিক সময় ব্যয় করে থাকে।
তাই আপনি যদি একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট মার্কেটিং করেন। সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন। যা থেকে আপনি ভালো করে মনে কমিশন গ্রহণ করতে পারবেন কোম্পানির পক্ষ হতে।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় খুঁজেন? তারা উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে যেকোনো একটি অনলাইন প্লাটফর্ম বেছে নিয়ে নিজেকে জড়িত করে, মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি ওপরে আলোচনায় অনলাইন সেক্টরে কাজ গুলো ফুল টাইম হিসেবে করতে পারেন। তাহলে আপনার একটি চাকরির তুলনায় প্রতি মাসে অনেক বেশি পরিমাণে রোজগার করতে পারবেন।
তো চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার বিষয়ে যদি কোন মতামত থাকে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যত দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকাম রিলেটেড আরও অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে চাইলে, ভিজিট করতে পারেন।
ধন্যবাদ।