আলবেনিয়া ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় : আলবেনিয়া অনেক জনপ্রিয় একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক প্রবাস থাকার জন্য আলবেনিয়া দেশকে বেছে নেন।
কারণ আলবেনিয়া দেশে কাজের ভিসা নিয়ে খুব সহজে গমন করা যায়। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়ায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আলবেনিয়া ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

তো আপনারা যারা কাজের বিষয় নিয়ে আলবি নিয়ে যেতে চান? তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল প্রস্তুত করা হয়েছে।
আপনারা এই আর্টিকেল অনুসরণ করে, আলবেনিয়া ভিসা সম্পর্কে এবং আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে, আলবেনিয়া ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আলবেনিয়া কাজের ভিসা
ইউরোপের একমাত্র মুসলিম কান্ট্রি হচ্ছে আলবেনিয়া। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক আলবেনিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান।
এছাড়া আলবেনিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ গুলো- ইতালি, ক্রোয়েশিয়া দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে অনেকেই আগ্রহী।
তো যারা আলবেনিয়াতে যেতে আগ্রহী, তারা চাইলে সেখানে গিয়ে চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করে, ইনকাম করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যাওয়ার জন্য কি ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি প্রদান করা হয়।
সেগুলো হল-
- আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- আলবেনিয়া বিজনেস পারমিট ভিসা।
- আলবেনিয়া ভিজিট/ টুরিস্ট ভিসা।
- আলবেনিয়ার রেসিডেন্স পারমিট ভিসা। ইত্যাদি।
ওপরে, ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনারা বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়ায় গমন করতে পারবেন।
আলবেনিয়া ভিসার জন্য আবেদন
আপনি যদি আলবেনিয়ায় যেতে চান? তাদেরকে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আলবেনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে আপনার নিকটবর্তী দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
অনেক দেশ আছে যে সকল দেশে আলবেনিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা দরকার হয় না। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়ায় যেতে চান? অবশ্যই আপনার ভিসা করার প্রয়োজন হবে।
তো বাংলাদেশ আলবেনিয়া বিষয় যেতে চাইলে, কি ধরনের কাগজপত্র লাগবে। তা আপনাকে জানতে হবে। যেমন-
- এক বছর মেয়াদে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ থাকতে হবে।
- বিদেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
- জীবন বৃত্তান্ত/ সিভি থাকতে হবে।
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর সদ্য তোলা ছবি থাকতে হবে।
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করার পর আপনারা আলবেনিয়া এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে আলবেনিয়া ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। তারপর আপনারা ঢাকা থেকে বিমান এয়ারলাইন্স থেকে বিামান টিকিট করে, আলবেনিয়ায় গমন করতে পারবেন।
আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
আপনি যদি আলবেরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান? তবে অবশ্যই আলবেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ কত সে বিষয়ে জানতে হবে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান? তাহলে আপনার সর্বমোট খরচ হতে পারে, ৭০০ ডলার।
এক্ষেত্রে আপনি যদি আলবেনিয়াতে, দ্রুত সময়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় 1500 ডলারের মত। বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘন্টার মত।
আলবেনিয়াতে কাজের বেতন কত?
আলবেনিয়া ইউরোপ মহাদেশের একটি মুসলিম দেশ। যার ফলে এশিয়া থেকে অনেক নাগরিক আলবেনিয়ায় যেতে আগ্রহী।
যারা আলবেনিয়াতে কোম্পানি ভিসা কাজ করে থাকে তারা মাস শেষে, প্রায় 500 ইউরো আয় করতে পারেন। এছাড়া কেউ যদি কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম করে সেক্ষেত্রে আরো অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আলবেনিয়া কাজের বেতন হিসেবে বিবেচিত হবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে। আপনি যত দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে পারবেন তত বেশি কাজের বিনিময়ে বেতন পাবেন।
আলবেনিয়ায় কি কি কাজ করতে পারবেন?
আপনি যদি আলবি নিয়ে গিয়ে কাজ করতে চান? তবে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে যা আপনারা শুরু করে মাস শেষে ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তো চলুন সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নেয়া যাক আলবেনিয়ায় কি কি কাজ করতে পারবেন। যেমন-
- সুপার শপে কাজ করতে পারবেন।
- ফুড প্যাকেজিং এর কাজ করতে পারবেন।
- শপিংমলের কাজ করতে পারবেন।
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ করতে পারবেন।
- রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করতে পারবেন।
উপরে দেওয়া তালিকায় যে কাজের নাম গুলো দেখতে পারছেন। এই কাজ গুলো মূলত আলবেনিয়া কাজের ভিসা নিয়ে গিয়ে করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। তবে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি।
এখন আপনার যদি আলবেনিয়া যাওয়ার মত সামর্থ্য থাক।, তাহলে আলবেনিয়া দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিয়ে, আলবেনিয়া ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় খুঁজে নিতে পারেন।
আর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আলবেনিয়া ভিসার পাশাপাশি। আরো অন্যান্য দেশের ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।