জার্মান স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে আজকের এই আলোচনায় বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে। কারণ বর্তমান সময়ে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে প্রতিবছর অনেক পরিমাণের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য জার্মান দেশকে বেছে নেন।
স্টুডেন্ট ছাড়াও জার্মানিতে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে জার্মানিতে গমন করতে অনেকে আগ্রহী থাকেন। জার্মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তে, অধ্যায়নরত বাংলাদেশী স্টুডেন্টের সংখ্যা প্রতিবছর 34% বৃদ্ধি পচ্ছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ মতামত ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা উচ্চস্তরে পড়াশোনার জন্য জার্মানিকে বেছে নেয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোন শিক্ষার ফি প্রদান করার প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু জার্মানিতে বসবাসের জন্য স্টুডেন্টদের নিজের খরচ নিজেকে বহন করতে হয়।
মনে করুন আপনি জার্মানিতে গমন করেছেন। সেটি হতে পারে আপনার লেখাপড়ার জন্য বা অন্যান্য কাজের জন্য। মানুষ এর প্রতিদিন জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তা থাকে।
আর সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের খরচ করার দরকার হয়। আর খরচ করার জন্য প্রয়োজন হয় টাকা। টাকা কিন্তু নিজের পকেটে এমনি এমনি চলে আসবে না। তাই জার্মানিতে বসবাস করে, টিকে থাকতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে টাকা রোজগার করতে হবে।
জার্মানিতে কোন কাজ করতে চাইলে অবশ্যই কাজের ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়। শুধুমাত্র তাই নয় বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে কাজের জন্য কোন দেশে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট এবং কাগজপত্র লাগবে।
তাই আপনি যদি জার্মানিতে গিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি জার্মান জব করতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে জানতে হবে।
তাই জার্মান যাওয়ার জন্য দেশ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে। আমি আপনাদের সহযোগিতার জন্য এখানে জার্মান স্টুডেন্ট জব করার জন্য যে কাগজপত্র গুলো লাগবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেবো। তার জন্য নিচে দেওয়া আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
জার্মান স্টুডেন্ট জব ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যে, কোন স্থান থেকে জার্মান স্টুডেন্ট জব ভিসায় যেতে চাইলে, কি কি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেই কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে আমি এখানে জানানোর চেষ্টা করব। যেমন-
ভিসার কাগজ
যে কোন দেশ থেকে জার্মানিতে যাওয়ার পর আপনার কাজ হচ্ছে ভিসার সময় বাড়িয়ে নেওয়া। তার জন্য আপনার দরকার হবে, রেসিডেন্স পারমিট।
জার্মানের প্রতিটি শহরে Aufenthaltserlaubnis রয়েছে। আপনারা সেই শহরে থাকবেন যে শহর থেকে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
অনুমতি পত্র
আপনারা যে কোন খন্ডকালীন/ পার্ট টাইম কাজ করতে চান না কেন? আপনার প্রয়োজন হবে অনুমতি পত্রের। অনুমতি পত্র ছাড়া আপনি কোন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন না।
জার্মানে কাজ করার জন্য আপনার ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে।
আয়কর পত্র
আপনি যদি জার্মানিতে স্টুডেন্ট জব করতে চান? তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দরকার হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই আয়কর পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
চারিত্রিক সনদ পত্র
একজন মানুষ হিসেবে আপনি কেমন? আপনি কি কোন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত রয়েছেন কিনা? জার্মানিতে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান করতে হবে।
জার্মানের প্রতিটি শহরের জন্য কাগজপত্রাদি আলাদা আলাদা হয়। তাই আপনি যে শহরে অবস্থান করছেন। সেই শহর থেকে আবেদন করতে হবে।
পড়া-শোনাকালীন কাজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন স্টুডেন্ট বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। তাই আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি জব করে ইনকাম করতে চান? সেক্ষেত্রে কাজ খোঁজার জন্য Werkstudent এটি লিখে গুগলে সার্চ করতে পারেন, তাহলে কাজের সন্ধান পাবেন।
খন্ডকালীন/ পার্ট টাইম কাজ
পড়াশোনায় চলাকালীন সময়ে একজন স্টুডেন্ট হিসেবে সেমিস্টার বিরতিতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। জার্মানিতে স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি সুপারমার্কেট বা রেস্টুরেন্ট গুলোতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। তাই আপনি যদি পার্ট টাইম বা খন্ডকালীন জব করতে চান? Farienjob এটা লিখে গুগলে সার্চ করুন আর খন্ডকালীন জব খুঁজে নেন।
কাজের স্থান
লেখাপড়া চলাকালীন সময়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন। সেই কাজগুলো করার স্থান হচ্ছে- Daimler, Fujitsu, Pay Scale ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ
আপনি যদি নিজের দেশ থেকে জার্মান স্টুডেন্ট জব ভিসার জন্য আবেদন করতে চান? তবে অবশ্যই উপরুক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে।
তাই জার্মান স্টুডেন্ট জব ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সম্পর্কে আপনার যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে। কমেন্ট করে, জানিয়ে দিবেন।
ধন্যবাদ।