পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে : আপনারা যারা বাংলাদেশে ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক একটি আর্টিকেলে চলে এসেছেন।
কারণ আমরা এখানে বিভিন্ন শ্রেণি মানুষদের বাংলাদেশে ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বলব।
বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ আপডেট নোটিশ অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে। যেমন- এনআইডি কার্ড, বিআরসি, ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন, ফি পরিশোধের রশিদ সহ আরো অন্যান্য কাগজপত্র।

আমরা পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে নিখুত তথ্য পেতে, আমাদের লেখা শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
সরকারি ভাবে সর্ব শেষ আপডেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ই পাসপোর্ট করতে চাইলে এনআইডি কার্ড, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদ পত্র, পেশা প্রমাণের নথি।
ই পাসপোর্ট আবেদন করা ব্যক্তির বয়স, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, আগের করা পাসপোর্টে কোন ভুল রয়েছি কিনা, এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে জানতে হবে।
বর্তমান সময়ে ই পাসপোর্ট এর ব্যবহার হয় বলে, পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র লাগে, তা জেনে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে জানতে চাইলে, আমাদের লেখা আলোচনা মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা এখানে মানুষের শ্রেণি অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই বিষয়ে জানিয়ে দেব।
বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
নিচে দেওয় যে সকল কাগজপত্র গুলোর বিসয়ে বলা হবে। সেগুলো ১ দিন বয়স হতে সকল বয়সী মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে। যেমন-
- ই পাসপোর্ট আবেদন এর অনলাইন কপি।
- পাসপোর্ট আবেদন সামারি কপি।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের স্লিপ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ইংরেজিতে। (১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিদের জন্য)
- নাগরিক সনদ পত্র।
- পেশার প্রমাণ পত্র। বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
- আগের করা পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও মূল কপি।
বয়স ভিত্তিতে কিছু কাগজপত্র যা পাসপোর্ট করতে লাগবে?
বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে আবেদনকারীর বয়স 6 বছর এর কম হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই বিষয়ে জেনে নিন।
পিতা ও মাতার ভোটার আইডি/ এনআইডি কার্ড এর কপি।
- ১ কপি 3R সাইজের ছবি।
- ১ কপি পাসপোর্ট সইজের ছবি।
- পিতা ও মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পেশাজীবি হলে তার প্রমাণ পত্র। (যদি থাকে)
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স 6 বছরের বেশি হলে আবার 15 বছরের কম হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
- পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি কপি।
- পিতা ও মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পেশার প্রমাণ পত্র নথি। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স 15 বছর থেকে 18 বছরের উপরে হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
- পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি ভার্সনের কপি।
- পিতা ও মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পেশার প্রমাণ পত্র নথি। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে।
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স 18 বছর থেকে 20 বছরের উপরে হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
- জন্ম নিবন্ধন / জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি। যেকোন একটি।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করলে পিতা ও মাতার ভোটার আইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স 20 বছর এর বেশি হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি লাগবে।
- পেশাজীবী হিসেবে প্রমাণ পত্র লাগবে।
- বাংলাদেশ এর কোন মিশনে বা কোন প্রবাসি পাসপোর্ট আবেদন করলে জন্ম নিবন্ধন লাগবে।
পেশাজীবী সম্পর্কিত কিছু তথ্য
ছাত্র-ছাত্রী হলে-
- সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যাতার সনদ পত্র।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রধান কতৃক প্রদত্ত সনদ পত্র।
- প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড এর কপি।
বেকার হলে-
- স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর এর থেকে বেকারত্বের সনদ পত্র।
সরকারি চাকুরীজীবী হলে-
- NOC পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- চাকরি হতে অবসরে গেলে PRL Order – পেনশন বই এর কপি।
প্রাইভেট সার্ভিস-
- পেশা হিসাবে প্রাইভেট সার্ভিস প্রদান করলে, আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের একটি অফিসিয়াল প্যাডে একটি প্রত্যায়ন পত্র লাগবে।
কৃষক-
- কোন ব্যক্তির পেশা যদি কৃষি কাজ হয়। তাহলে জমির পর্চা ফটোকপি।
গৃহিনী-
- মহিলাদের জন্য পেশা গৃহিণী দিলে, কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে না।
ব্যাবসা-
- ব্যক্তির পেশা যদি ব্যাবসা হয়। তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেনের ফটো কপি।
তো বন্ধুরা উক্ত বিষয় গুলো ছাড়া মানুষ আরো বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছে। তাই তাদের পেশা অনুযায়ী কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।
শেষ কথাঃ
আমরা আশা করব যে, উক্ত আলোচনা অনুসরণ করে জানতে পারলেন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? যদি এই বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন থাকে। আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।