বর্তমান সময়ে স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইন ইনকাম হিসেবে সবথেকে বড় একটি মাধ্যম হলো- ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজেকে জড়িত করে, মাসে বেশ ভালো পরিমানে টাকা ইনকামের পথ বেছে নিচ্ছে।
এমনও অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা নিজের ঘরে বসে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।
তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান? তাহলে আপনারা পার্টটাইম জব হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেছে নিতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সেই কাজ গুলোতে, নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারেন তাহলে নিজের ঘরে বসে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
তাই আমি আপনাকে এখানে জনপ্রিয় পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে ধারণ দেয়ার চেষ্টা করুন। তাই আমি আশা করব আজকের আর্টিকেলটি আপনারা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে আসেন। তাহলে কোন কাজগুলো করলে দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন। সে বিষয় গুলো সম্পর্কে জানাবো।
তো চলনা সময় নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – জনপ্রিয় ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ
বর্তমান সময়ের যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ করছে তারা প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। আপনি যদি তাদের মত ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান? তাহলে, আমরা যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলো সম্পর্কে বলবো।
এ গুলোতে নিজেকে দক্ষ করতে পারলে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো কোন দক্ষতা না থাকে। নিজেকে দক্ষ করে তোলার জন্য আপনারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স করতে পারবেন। কোর্স সম্পন্ন হলে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে হিউজ পরিমাণের কাজ রয়েছে।
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে, ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আসুন লাভজনক ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়।
01. ওয়েব ডিজাইন/ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বর্তমান সময়ে আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে, কাজ খোঁজেন তাহলে দেখতে পারবেন। বেশিরভাগ সময় ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা খোঁজে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গেলে, ওয়েব ডিজাইনিং এর সাথে জড়িত অসংখ্য কাজ দেখতে পারবেন।
কারণ অনলাইন প্লাটফর্মে এখন ছোট বড় সকল কোম্পানির একটি নিজস্ব করে ওয়েবসাইট রয়েছে। যতই কোম্পানি সৃষ্টি হচ্ছে ততই ওয়েবসাইটের পরিমাণ বাড়ছে।
কারণ কোন কোম্পানির নামে একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে তাদের ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং সহজেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের পরিচিত করে তুলতে পারে।
আর আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েব ডেভেলপিং এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির দ্বারা এবং ক্লায়েন্টের দ্বারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে, হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে কিছুই না জানেন। সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে নিবেন।
তারপর আপনারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গিয়ে, প্রতিদিন বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ নিয়ে ঘন্টার ভিতরে চুক্তিতে ইনকাম করতে পারবেন।
এ বিষয়ে আপনি যদি পারদর্শী হতে পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই নিজের ক্যারিয়ার করতে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন।
02. আর্টিকেল রাইটিং
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আরো একটি জনপ্রিয় চাহিদা সম্পন্ন কাজের নাম হল আর্টিকেল রাইটিং। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটারদের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে।
এ সময়ে একজন ভালো আর্টিকেল রাইটারদের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে মাসিক ভিত্তিতে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে কাজের বিনিময়ে হাজার হাজার ডলার প্রদান করে থাকে।
আবার এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যারা ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে, আর্টিকেল রাইটারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে ডলার প্রদান করে।
সারা বিশ্ব জুড়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আর্টিকেল রাইটারদের অনেক সম্মান রয়েছে। তাই আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে, আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।
03. গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরও একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজের নাম হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণ অনলাইন জগতে এমন অসংখ্য মারকেটিং ওয়েবসাইট রয়েছে। যারা তাদের প্রোডাক্ট গুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের মাধ্যমে ডিজাইন করে নিয়ে, মার্কেটে প্রচার করছে।
মার্কেটিং সেক্টরে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করলে অনেক কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন- বিজ্ঞাপন তৈরি করা, রিপোর্ট তৈরি করা, লোগো ডিজাইন করা, বিজনেস কার্ড, ওয়েবসাইট ডিজাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ইত্যাদি।
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নিজের দক্ষতা কি কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
04. ভিডিও এডিটিং
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে পারেন। তাহলে ভিডিও এডিটিং এর কাজের বিনিময়ে আপনারা অনেক পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে।
বর্তমান সময়ে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক গুণ বেশি। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থাকে।
আর সেই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে, নিজেদের কোম্পানি কে পরিচিত করে তোলার জন্য এবং প্রোডাক্ট বিক্রির কোম্পানি হলে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য, বিভিন্ন ভিডিও এডিটরদের দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো আপলোড করেন।
আর ভিডিও এডিট করার জন্য, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির ক্লায়েন্টরা ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটরদের খোঁজে নিয়ে কাজ করায়।
তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর বিষয়ে ধারণা রাখেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, ভিডিও এডিটিং করে, প্রতিটি ভিডিও থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
05. ভয়েস ওভার
বর্তমান সময়ে, ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে ইউটিউব। আর youtube চ্যানেলের ভিডিওগুলো তৈরি করার জন্য, ভালো কোয়ালিটির ভয়েস ওভার দরকার হয়।
আর ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কাজের তালিকায় রয়েছে ভয়েজ ওভার। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন কিংবা ছেলে হয়ে থাকেন।
আপনার কন্ঠের স্বর/ ভয়েস যদি ভাল হয়। সেক্ষেত্রে ভয়েস ওভার হিসেবে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে, বিভিন্ন ভিডিওর স্ক্রিপ্ট পড়ে, নিজের ভয়েস দিয়ে তৈরি করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিলাম ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিষয়ে জানিয়েছি।
আপনারা পছন্দমত যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বেছে নিয়ে, অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
আর ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার বিষয়ে, নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।