সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার

সাইবার ক্রাইম কি : বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট কম্পিউটার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। এবং এই ইন্টারনেটের যুগে আমরা আমাদের জীবনের প্রায় বেশি অংশ সময় অনলাইনে ব্যয় করে থাকি।

সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার
সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার

কিন্তু ইন্টারনেট এত জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে নতুন নতুন খবর অনেক দ্রুত ভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেয়ে যাওয়া। কোন জায়গা থেকে আমাদের প্রিয়জনের সাথে কথা বলা ভিডিও কল এর মাধ্যমে যোগাযোগ।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে শপিং করা। যেকোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য গ্রহণ করা। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভিডিও দেখা অনলাইন গেম খেলা এবং অনলাইন বিল পেমেন্ট করা। সকল প্রকার কাজে কিন্তু আমরা নিজের ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারি।

সত্যি কথা বলতে ইন্টারনেট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শুধুমাত্র একদিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলে, সাধারণ জীবনযাপনে অনেক প্রভাব পড়বে।

বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এতটা ভাল গুণ বা লাভ আছে সেখানে ইন্টারনেটের সাথে অনেক ক্ষতিকর বিষয় জড়িত আছে। আর সেটি হল সাইবার ক্রাইম।

ইন্টারনেটে যে, কোন সময় কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকে। এবং তারা নিজের মোবাইল এবং কম্পিউটার ল্যাপটপ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকে।

অনেক মানুষ আছে যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা সেই সকল অনলাইন ট্রাফিক অনলাইন ইন্টারনেট ইউজারদের থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের পার্সোনাল ইনফরমেশন চুরি করা, টাকা আদায় করা আরো অন্যান্য অপরাধ করে থাকে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন মানুষের ঠকানো প্রাইভেসি এবং ডাটা চুরি করা বা ডাটা মিসিং করার অপরাধ গুলোকে বলা হয় সাইবারক্রাইম বা সাইবার অপরাধ।

যারা এ ধরনের সাইবার ক্রাইম করেন তাদেরকে বলা হয় Cybercriminals. ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইমের প্রকার রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে সাইবার ক্রিমিনাল গুলি আপনাকে ঠকাতে পারে। আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় সতর্ক না থাকেন, সেক্ষেত্রে হতে পারে তাদের পরবর্তী টার্গেট আপনি নিজে।

আরো পড়ুনঃ

সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ?

সাইবার ক্রাইম কম্পিউটার অপরাধ এমন যেকোন প্রকার অপরাধ যেখানে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটযুক্ত ডিভাইস অপরাধের সাধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

একটি কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যদি কোনো মানুষের তথ্য অবৈধ ব্যবহার কপিরাইটিং, পার্সোনাল ডাটা চুরি,  হ্যাকিং  অপরাধ গুলো করা হয় তখন তাকে বলা হয় সাইবার ক্রাইম।

সাইবার ক্রাইম কে কম্পিউটার ওরিয়েন্টেড অপরাধ বলা হয়ে থাকে। কারণ এসকল অপরাধে একটি কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এই সকল অপরাধ বেশিরভাগ সময় সহজ লাভের উদ্দেশ্যে এবং ঢাকার উদ্দেশ্যে করতে দেখা যায়।

কিন্তু কারণ যাই হোক না কেন আজ ইন্টারনেটে এই ধরনের অপরাধ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য যে কোন প্রকার সাইবারক্রাইম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করুন।

কম্পিউটার অনেক ধরনের হতে পারে যেমন- কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য চুরি করা, তথ্যের ভুল ব্যবহার করা, কারণ নিজস্ব তথ্য অন্যকে দিয়ে দেওয়া, কারো অনুমতি ছাড়া তথ্য নষ্ট করা এবং আরো অনেক কিছু। এছাড়া আরো অনেক প্রকারের হতে পারে। যেমন-

ইমেইল স্পাম, হ্যাকিং, ফিশিং, ভাইরাস এর মাধ্যমে অনলাইনে যে কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি নেয়া ছাড়াই চুরি করা। সাইবার ক্রাইম এর ক্ষেত্রে আপনারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য গ্রহণ করা।

ডেবিট কার্ডের অবৈধ ব্যবহার, নেট ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড চুরি এবং অবৈধ ব্যবহার এবং ব্যক্তি ব্যাংকের সাথে তথ্য চুরি করা এবং এ ধরণের ঠকবাজি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে সাইবার ক্রাইম এর অনুকূলে।

 সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার ?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা সাইবারক্রাইমের অনেক প্রকার বলেছি মানে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটারের ব্যবহার করে, অনেক ধরনের অবৈধ কাজ করা হয়। কিন্তু পরের বছরগুলোতে সাইবারক্রাইম বললে কেবল হেকিং কে বলা হত।

এর কারণ আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে প্রযুক্তি এতটা উন্নত ছিল না এছাড়া ইন্টারনেট বা কম্পিউটার ডিভাইসের মাধ্যম তুলনামূলক অনেক কম ছিল। কিন্তু আজ প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে তার সাথে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার হাজার গুণ বেড়ে গেছে।

তার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা সাইবারক্রাইমের প্রকার সাইবার অপরাধীরা খুঁজে বের করছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা বা কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটির ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা খরচ করে থাকে।

সাইবার সিকিউরিটি মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সাইট গুলো থেকে নিজের ব্যবসা এবং কোম্পানিকে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা করতে পারে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক সাইবারক্রাইমের কিছু সম্পর্কে। যেমন-

আরো পড়ুনঃ

Cyber Fraud

Cyber fraud এর মানে হল এমন এক ধরনের অপরাধ যা ইন্টারনেট বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। এ সকল অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধের মানুষদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য যেমন, ব্যবসার সিক্রেট, পার্সোনাল ছবি, পার্সোনাল তথ্যগুলো চুরি করে পরিবর্তন বা নষ্ট করতে পারে।

বেশিরভাগ সময় এ ধরনের অপরাধ অবৈধভাবে লাভ ইনকাম করার জন্য করে থাকে।

Hacking

হেকিং অনেক পরিমাণের হওয়া সাইবারক্রাইম যার বিষয়ে অনেক কম লোকেরাই জানা থাকে। আপনি জানেন যে আপনি হ্যাকিং বিষয়টি নিয়ে অল্প হলেও জ্ঞান রাখেন। কিন্তু হতে পারে আপনার কম্পিউটার মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এবং বর্তমানে হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু আপনি সেটা জানেন না।

হ্যাকিংয়ের জন্য সাইবার-অপরাধীরা একটি ওয়েবসাইট কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক এর ফাংশনে সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ ভাবে নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে থাকে।

এছাড়া হ্যাক করা ওয়েবসাইট সিস্টেম নেটওয়ার্ক থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতে পারে। বেশিরভাগ সময় হাড়গুলি কর্পোরেট এবং গভমেন্ট একাউন্ট ওয়েবসাইটগুলোকে হ্যাক করার কাজে দেখা গেছে।

হ্যাকিং করার এমনিতে বিভিন্ন আলাদা আলাদা নিয়ম আছে। যেগুলোর বিষয়ে আমরা এবং আমাদের মত সাধারন মানুষদের কাছে নেই।

Identity theft

Identity theft এটি এক ধরনের নির্দিষ্ট রকমের সাইবারক্রাইম যেখানে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হয়। এটি ব্যক্তিগত তথ্যের মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের তথ্য এবং এ ধরনের জরুরি এবং গোপনীয় তথ্য গুলি করা হয়।

এসকল অপরাধীরা আপনার একাউন্ট থেকে টাকা গুলো চুরি করে নিতে পারে। তাই আপনাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

Scamming

বিভিন্ন ধরনের scamming করা হয়। যে কোন অবৈধ মাধ্যমে টাকা ইনকামের উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তি বা সংগঠন দ্বারা মানুষদের ঠকানো কে স্ক্যামিং বলা যেতে পারে।

আপনারা হয়তো নিজেদের ইমেইলে মোবাইলে এসএমএস বক্সে একটি ম্যাসেজ অনেক সময় দেখে থাকবেন যেখানে বলা হয়ে থাকে যে, আপনাকে কোনো একটি কোম্পানি থেকে অনেক ভারী সংখ্যায় টাকা পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

সেই বেশিসংখ্যক টাকার জন্য আপনার একটি প্রসেসিং একাউন্ট বা তাদের ব্যাংক একাউন্টে দিতে হবে এবং তারপর আপনার সেই ভাবি সব টাকা দিয়ে দিবে।

এখন আপনি এবং আমি জানি যে এই ধরনের মেসেজ লুকিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য পাঠানো হয়। তবে অনেক লোক আছে যারা এ ধরনের ম্যাসেজগুলো সত্যি মনে করে লোভে পড়ে, তাদের জালে পা দিয়ে দেয় আর সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে যায়।

Computer virus

অনেক অপরাধে কম্পিউটার ভাইরাস এর সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম গুলো তে ঢুকে যায়। এরপরে এই ভাইরাসগুলো সাহায্যে কম্পিউটার থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য চুরি করা বিশেষ ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

এছাড়া অনেক অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান থাকা প্রোগ্রামার্স’রা কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক গুলির বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং ট্রোজান পেরন করে সম্পূর্ণ সিস্টেম সংক্রমিত বান নষ্ট করে দিতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের ভাইরাস গুলি ইন্টারনেট এবং রিমুভাল ডিভাইস থেকে আপনার নেটওয়ার্ক বা কম্পিউটার সিস্টেম গুলো তে প্রবেশ করতে পারে।

এছাড়া আরো অনেক প্রকার রয়েছে সাইবারক্রাইমের আপনারা এই বিষয়গুলো জানা থাকলে সাইবারক্রাইম থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং নিজেদের তথ্য চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

সাইবার সিকিউরিটি কি ?

সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়া এবং চর্চা ব্যবহার করে কম্পিউটার ডিভাইস ডাটা নেটওয়ার্ক এবং প্রোগ্রাম গুলোকে সাইবার অ্যাটাক, সাইবারক্রাইম এবং অবৈধ ব্যবহার থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়।

সহজভাবে বলতে গেলে কম্পিউটার ডিভাইস বা নেটওয়ার্ক গুলোকে সাইবারক্রাইম থেকে রক্ষা করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় সাইবার সিকিউরিটি।

সাইবার সিকিউরিটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গুলো এত ভাবে সুরক্ষা দিয়ে রাখা হয় যে সাইবারক্রাইম অপরাধের আছে সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের মধ্যে সহজেই প্রবেশ করতে পারে না।

সাইবার সিকিউরিটি সেবা প্রদানের অনেক ভালো ভালো কোম্পানির অরগানাইজেশন আছে। যারা কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যান্য কোম্পানি বা অর্গানাইজেশন গুলোতে কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কগুলোতে নিরাপত্তা প্রদান করে যেকোনো ধরনের সাইবার ক্রাইম থেকে রক্ষা করে।

আপনি যদি উপরের তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে সাইবার ক্রাইম কি এবং সাইবারক্রাইম কত প্রকারে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ

সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

আপনি যদি সাইবার ক্রাইম থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে অবশ্যই সাইবার সিকিউরিটি যুক্ত করতে হবে। আমরা আপনাকে জানিয়েছিলাম এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সম্পর্কে যেগুলো ব্যবহার করে সাইবার ক্রিমিনাল, বিভিন্নভাবে সাইবারক্রাইম করে মানুষের ক্ষতি করে থাকে।

আপনি যদি এই বিষয়ে, সঠিক তথ্য অনুসরণ করে বিষয়টি বুঝতে পারেন তাহলে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। এছাড়া আরও কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ট্যাগঃ সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার

সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার সাইবার ক্রাইম কাকে বলে ? সাইবার ক্রাইম এর বিভিন্ন প্রকার

বিশেষ করে আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিদিন আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top