গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহানে সর্ব প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর একে একে বিশ্বের প্রায় সব দেশই করোনার সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ে। যার থেকে আমাদের বাংলা দেশ ও বাদ পড়ে নি। তাই এর সংক্রমণ ঠেকাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করার আদেশ দেন।
করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সংকটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই ছুটির এই আদেশ জারি করা হবে।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন একটাও খুলবে না। অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবই বন্ধ থাকবে। যখন এটা (ভাইরাস) থামবে তখন আমরা খুলব বা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়বে কি না, তা পরে যাচাই করে দেখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৬ মে পর্যন্ত এই ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
এর আগে সোমবারের সরকারি ছুটির আদেশে বলা হয়, ৭-১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। সাধারণ ছুটির সঙ্গে ৬ মে’র বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি এবং ১৫ ও ১৬ মে’র সাপ্তাহিক ছুটিও যুক্ত হবে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর তা বাড়িয়ে ১৬ মে করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রথম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর প্রথম গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়।
এ ছাড়া ও উক্ত ভাইরাসের কারনে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ ও এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ও পেছানো হয়েছে । দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলে দেওয়া হবে বলে।