ফেসবুক কি : ফেসবুক হলো একটি সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম। মার্ক জুকারবার্গ নামের একজন উদ্ভাবক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ফেসবুক, ২০০৪ সালে প্রারম্ভিক ভাবে শুরু হয়।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করতে দেয় এবং তারা সাথে সংযুক্ত থাকতে পারেন। আরো কয়েক শত মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সাথে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন।

ফেসবুক একটি মাধ্যমিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংগতিপূর্ণ তথ্য, ছবি, ভিডিও, লিঙ্ক ও অন্যান্য কন্টেন্ট ভাগ করার সুযোগ সরবরাহ করে।
এছাড়াও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাথে ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ করতে দেয়।
এছাড়াও ফেসবুক প্রশাসন করে আরো কিছু অনলাইন প্রকারভেদ যেমন ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট গেম, ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক ইভেন্ট, ফেসবুক লাইভ, ফেসবুক নোটিশ বোর্ড, ফেসবুক আর্টিকেল, ইত্যাদি।
ফেসবুক কেন জনপ্রিয়?
ফেসবুক একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণ এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে :
সামাজিক যোগাযোগের সুবিধা:
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাথে আপনি আপনার পরিচিতদের সংযুক্ত থাকতে পারেন। এবং নতুন মানুষ সাধারণত আপনার বন্ধু হয়ে যাবেন। বা নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারেন।
এটি ব্যবহারকারীদের সাথে সাম্প্রতিক তথ্য, ছবি, ভিডিও, ও অন্যান্য কন্টেন্ট ভাগ করার সুযোগ প্রদান করে। যা সম্প্রতির ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা:
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রদান করে যেমন ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল, বন্ধুর তথ্য, লাইক ও কমেন্ট ইত্যাদি দেখানো হয়।
এটি ব্যবহারকারীদের আপনার সাথে আরও বিশ্বস্ত এবং বিনামূল্যে তথ্য ভাগ করতে দেয়।
ব্যবহারকারীর পৃথক সেবাসমূহ:
ফেসবুক বিভিন্ন সেবাসমূহ প্রদান করে, যেমন ম্যাসেঞ্জার, ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক ইভেন্ট ইত্যাদি।
এই সেবা গুলো ব্যবহারকারীদের নিজেদের সাথে বা ব্যবহারকারীর সংগ্রহ স্থলের প্রায় যে, কোনও বিষয়ে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক রাখতে সাহায্য করে।
প্রায়োগিকতা ও ব্যবহারকারীর উপস্থিতি:
ফেসবুক প্রায়োগিক ও সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস প্রদান করে এবং ব্যবহারকারীদের অনুভূতি দেয় যে তারা অনলাইনে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন।
এবং তারা এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন। সাধারণত প্রতিদিনে লাখো মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন, যা এটিকে একটি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হিসাবে প্রমাণ করে।
সংক্ষেপে বলা যায় যে, ফেসবুক একটি জনপ্রিয় হওয়ার পিছনের কারণ হলো- এটি ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগ, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, বিশ্বস্ততা, পৃথক সেবাসমূহ ও ব্যবহারকারীর প্রায়োগিকতা সরবরাহ করে।
কিভাবে ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন করা যাবে? (স্টেপ বাই স্টেপ)
ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন করতে, আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্টে লগ ইন করতে হবে। নিম্নলিখিত স্টেপ গুলো অনুসরণ করে, আপনি ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন করতে পারবেন।
পদক্ষেপ ১: ফেসবুক প্রোফাইলে লগ ইন করুন
প্রথমে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে লগ ইন করুন। আপনার ব্যবহৃত ইমেল ঠিকানা বা ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।
পদক্ষেপ ২: প্রোফাইল সেটিংসে যান
প্রোফাইলে লগ ইন করার পর, উপরের ড্রপডাউন মেনু থেকে “সেটিংস” সিলেক্ট করুন।
পদক্ষেপ ৩: “নাম” অপশনে যান
সেটিংসে পৌঁছে গেলে, মেনুতে “নাম” বা “প্রোফাইল নাম” অপশনটি তে ক্লিক করুন।
পদক্ষেপ ৪: নাম পরিবর্তন করুন
“নাম” অপশনে পৌঁছার পর, নতুন নাম টাইপ করুন। আপনি চাইলে, প্রথম নাম, মধ্যমিক নাম, শেষ নাম বা অন্যান্য বিশেষ অংশ গুলো পরিবর্তন করতে পারেন।
পদক্ষেপ ৫: সেভ করুন
নতুন নামটি লেখা সম্পন্ন করার পরে, “সেভ করুন” বা “আপডেট করুন” সিলেক্ট করুন। এটি আপনার নতুন নামটি সেভ করবে এবং আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রদর্শিত করবে।
পদক্ষেপ ৬: নাম পরিবর্তনের অনুরোধ নিশ্চিত করুন
ফেসবুক আপনার নাম পরিবর্তনের অনুরোধ নিশ্চিত করতে বলবে। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আপনি একাউন্টের নাম পরিবর্তন সম্পন্ন করে, ফেলতে পারবেন।
তবে, ফেসবুক একাউন্টের নাম পরিবর্তনের পর আপনাকে একটি বিশেষ সতর্কতা দেওয়া হবে। যে ফেসবুক একাউন্টের নাম পরিবর্তন করে ফেললে, চলতি ৬০ দিনের আগে, পুনরায় আর ফেসবুক আইডি’র নাম পরিবর্তন করা যাবে না।
স্পষ্টত ভাবে বলতে গেলে, এটি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নামের সাথে সাহায্যকারী শব্দ গুলো আর সংযুক্ত করা যাবে না।
এটি হলো ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তনের পদক্ষেপ সমূহ। স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে, আপনি এই পদক্ষেপ গুলো সহজেই অবলম্বন করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
ফেসবুক একটি বিশাল সামাজিক যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম। যা ব্যবহারকারীদের সংযোগ ও যোগাযোগ সুবিধা প্রদান করে।
এটি ব্যবহারকারীদের সাথে বন্ধুত্ব, পরিচয়, অভিযান, ব্র্যান্ড প্রচার এবং ব্যবসায়িক প্রচারের জন্য একটি প্রাধান্যমূলক প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক দ্বারা ব্যবহারকারীরা ছবি, ভিডিও, পোস্ট এবং ব্যবসায়িক পেজ গুলো শেয়ার করতে পারেন।
ফেসবুক আরও বিভিন্ন সামাজিক গ্রুপ, পেইজ, ইভেন্ট ও কমিউনিটি সরবরাহ করে। যা ব্যবহারকারীদের পছন্দ মত সামাজিক অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
তাছাড়াও ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ও সরঞ্জাম গুলো অন্যান্য সেবা গুলোর সাথে সংযোগ করে, ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য একটি প্রামাণিক প্লাটফর্ম।
সংক্ষেপে বলা যায়, ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ প্লাটফর্মের মধ্যে একটি।