মেট্রোরেল টিকেট কাটার নিয়ম : আপনারা যারা ট্রেন ভ্রমন করতে আগ্রহী। তারা চাইলে মেট্রোলের মাধ্যমে, যাতায়াত পথ সহজ করতে পারবে।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো, মেট্রোরেল ট্রেনের টিকেট দাম কত? টিকেট কিনতে কি কি প্রয়োজন হবে। এবং মেট্রোরেল টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমরা জানি গত ২২ সালের শেষের দিকে স্বপ্নের মেট্রো রেল এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। যা উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর এই মেট্রোরেল শুরু করেন, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে। আর মেট্রোরেল চলাচলের একটি সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল যা দিনে ৪ ঘন্টা।
মানে, সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। আর এই মেট্রো রেল চলাচল পথে কোথাও থামবে না। সরাসরি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে।
মেট্রোলের মাধ্যমে, যাত্রা করলে, ১২ কিলোমিটার পথ মাত্র 12 মিনিটে যাওয়া যায়। তো আপনারা যারা মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে আগ্রহে তাদেরকে অবশ্যই টিকেট কাটার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে।
আর বর্তমান সময়ে, আপনারা মেট্রোরেলে চলাচল করার জন্য দুইটি স্টেশনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই মনে রাখবেন মেট্রোরেল এ কোন প্রকার কাগজের তৈরি টিকিট দেওয়া হবে না।
মেট্রোরেলের টিকিট হিসেবে আপনাকে ই টিকিট প্রদান করা হবে। যা দেখতে একদম এটিএম কার্ড এর মত লাগবে। উক্ত কার্ড ব্যবহার করে স্থায়ী এবং একক যাত্রা করার সুযোগ পাবেন।
মেট্রোরোলে প্রমাণ করার আগে, মেট্রোরেলের স্টেশন কাউন্টার থেকে উক্ত ট্রেনের টিকেট বা কার্ড ক্রয় করতে হবে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ যা নিয়েছে, পরবর্তী কার্যক্রমে স্টেশন এর বাইরে কাঠ বিক্রি করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। তাই আপনারা যারা মেট্রোরেল টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তারা নিচে দেওয়া তথ্য অনুসরণ করুন।
মেট্রোরেল টিকিট কাটার নিয়ম
মেট্রোরেল এর টিকিট সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হচ্ছে স্থায়ী কার্ড। অন্যটি হয়েছে, একক/ সিঙ্গেল ভ্রমণের কার্ড বা টিকেট।
স্থায়ী মেট্রোরেলের কার্ড সংগ্রহের জন্য আপনাকে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আর স্থায়ী কার্ড তৈরি করার জন্য, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বরে ডিএমপিএল এর ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন লিংক প্রদান করা হয়েছে।
আপনারা চাইলে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, নিজের নাম, পিতা এবং মাতার নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি সিঙ্গেল ভ্রমণ করতে চান? তাহলে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার হবে না। মেট্রো রেল স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট/ কার্ড ক্রয় করে ভ্রমণ শুরু করে দিতে পারবেন।
মেট্রোরেল থেকে নামার সময় অবশ্যই কাঠ জমা দিয়ে আসতে হবে। আপনারা যতক্ষণ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কার্ড জমা না দিচ্ছেন। ততক্ষণ পর্যন্ত গেট দিয়ে আপনি বের হতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে আপনার যদি মেট্রোরেল এর কার্ড নিতে সমস্যা দেখা দেয় তবে, যারা কার্ড বিক্রি করেন। সেই প্রতিনিধির সহায়তা নিয়ে কাড ক্রয় করতে পারবেন।
তো আশা করি আপনারা বুঝতে পারলেন। কিভাবে মেট্রোরেল টিকিট কাটতে হয়।
মেট্রোরেল চলাচলের সঠিক সময় সূচী
আমরা উপরের আলোচনাতে জানিয়েছি 2022 সালের 29 ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের শোভাযাত্রা শুরু হয়। যা প্রতিদিন চার ঘণ্টা সময় ধরে চলবে, সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২ঃ পর্যন্ত।
যখন মেট্রোলের যাত্রী বৃদ্ধি পাবে তখন এটিকে আটটা থেকে বার টা পর্যন্ত, পরিবর্তন করে নতুন সময়সূচি জানিয়ে দেবেন।
এ পর্যন্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, মেট্রোরেল উত্তরা স্টেশন থেকে সরাসরি আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত চলবে। মাঝপথে কোন জায়গায় থামবে না।
মেট্রোরেল চলাচলের সময় সূচি পরবর্তীতে, নির্ধারণ করা হবে। আরো নতুন নতুন স্টেশন করে। যার আপডেট আপনারা এই ওয়েবসাইটেই পেয়ে যাবেন।
মেট্রোরেল টিকিট ভাড়া কত টাকা
আপনার যারা মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে চান? তারা খুব সহজেই অল্প দামে মেট্রোরেল টিকেট কিনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
আর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে 20 টাকার মত। তারপর প্রতি স্টেশন পর পরে, 10 টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোটকথা আপনি যদি একটি স্টিশনে গিয়ে নেমে পড়েন? তাহলে আপনার ২০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। আবার যদি আপনি একটির বেশি স্টেশনের যেতে চান? সেক্ষেত্রে, মূল বিশ টাকা ভাড়া সঙ্গে প্রতি স্টেশনের জন্য ১০ টাকা করে বাড়াতে হবে।
আর যাত্রীরা দীর্ঘমেয়াদি চলাচলের জন্য মেট্রো রেলের কার্ড কিনতে পারবেন। আবার আপনি যদি সিঙ্গেল চলাফেরা করতে চান হবে না।
শেষ কথাঃ
আমরা জানি আমাদের মধ্যে সকলেই ট্রেন গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে এই প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছে। আপনারা চাইলে এই পরিবহনে করে যাতায়াত করতে পারেন অল্প পরিমাণের টিকিট খরচে।
তো মেটেরিয়াল টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ…