ফ্রিল্যান্সিং কি : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপায় : এই পোস্ট যারা পড়ছেন, তারা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানেন বা শুনেছেন।
আমাদের পরিচিত অনেক লোক আছে, যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে জরিত। এবং তারা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে।
এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে প্রচুর টাকা উপর্জন করছে। তাই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমৈ আপনাদের জানাব, ফ্রিল্যান্সিং কি? অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপায় সম্পর্কে।
তাই বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন শেষ পর্যন্ত।
ফ্রিল্যান্সিং কি ?
আপনি যদি কোন চাকরি কে উদাহরণ হিসেবে মনে করেন। তাহলে উক্ত চাকরিতে আপনাকে সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন সময় ব্যয় করতে হয়।
এখানে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১-২ দিন ছুটি পাওয়া যায়। তারপরে মাস শেষে চাকরির বেতন হিসেবে কিছু টাকা পাওয়া যায়।
তবে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টি সম্পুন্ন ভাবে আলাদা। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ আপনাকে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কোন সময় নিয়ে কাজ করতে হবে না।
আপনি সপ্তাহে কত দিন বা প্রতিদিন কত টা সময় ব্যয় করবেন। সেটি পুরোপুরি ভাবে আপনার উপর নির্ভর করবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনি এতোখনে পেয়ে গেছেন। যদি না বুঝে থাকেন তাহলে উক্ত আলোচনা আরো একবার পড়েন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সুবিধা
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সুবিধা আছে। যে গুলো চাকরি, ব্যবসাতে পাওয়া যাবে না। আমরা ফ্রিল্যান্সিং এ এমন কিছু সুবিধা আপনাকে জানাব সেগুলো অনুসরণ করার ফলে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সুবিধা হলো- আপনি নিজের পছন্দ মতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি কোন চাকরি করেন, তাহলে আপনার একটি অফিস সময় মেনে কাজ করতে হবে।
এছাড়া আপনি যদি যদি পার্ট টাইম চাকরি করেন, সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট সময় মেনটেন করতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে উক্ত ঝামেলা গুলো পোহাতে হবে না।
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার জন্য, আপনার নিজের সময় নিজেই বেছে নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ কারার স্বাধীনতা রয়েছে। এটি অনেক বড় সুবিধা। মনে করুন- আপনাকে কোন অফিসে কাজ করার জন্য বলা হলে আপনি যদি তা পারেন তাহলে আপনাকে করতেই হবে।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার যদি কোন কাজ পছন্দ না হয় তবে সেই কাজ করিয়ে নেওয়ার মতো কেউ নেই।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আরো একটি জনপ্রিয় সুবিধা হলো- এখানে আপনার স্বাধীনতা মতো ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
আপনার যখন মনে চাই তখণ কাজ করতে পারবেন। আর যখন কাজ করার মনমানসিকতা থাকবে না। তখন আপনি কাজ না করে ছুটি কাটাতে পারবেন।
উক্ত সুবিধা গুলো ছাড়া আরো অনেক সুবিধা আছে। আপনি উক্ত সুবিধা গুলো আর কোন কাজে পাবেন না। তাই উক্ত আলোচনা আরো পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকার
আপনি যদি প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন প্রকার সমূহ জানবেন তখন আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাকি অংশ গুলো স্পষ্ট ধারণা থাকবে।
এর পাশা পাশি আপনি কি ধরণের ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এবং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণা অনেক পূর্বের, ফ্রিল্যান্সিং কে অনেক বেশি আকারে ব্যাখ্যা করা যায়। মেযন-
যদি কেউ কোন অফিসে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কাজ সম্পাদন করার জন্য কোন চুক্তি করে তাকেও কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
উক্ত আলোচনার স্বার্থে শুধু মাত্র কম্পিউটার এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কি কি দরকার?
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান, তাহলে আপনার কিছু জিনিস থাকতে হবে যেমন-
- একটি ডিভাইস- মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার।
- এটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন- মোবাইল ডাটা, হটস্পট, ওয়াইফাই, মডেট ইত্যাদি।
- ব্যাংক একাউন্ট- পেপাল, ভিসা, ডেভিট, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি।
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা। ইত্যাদি।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপায়
আপনি এখানে জানতে পারবেন কম্পিউটার দ্বারা করা যায় এমন কিছু কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। উক্ত কাজ গুলো কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভূক্ত।
কনটেন্ট রাইটিং
প্রথমে আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং এর কথা বলব। কনটেন্ট রাইটিং করার জন্যে আপনার বিশেষ কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই।
কোন ওয়েবসাইট এর জন্য ব্লগ বা বিভিন্ন পোস্ট লেখালেখি কে কনটেন্ট রাইটিং বলে।
আপনি পরিক্ষার খাতায় যেভাবে রচনা লিখেছেন ঠিক সেরকম ভাবে রচনা লেখা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লিখলেই তাকে একজন কনটেন্ট রাইটার বলে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন। তাহলে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেই বিষয়টি ভালো ভাবে রিসার্চ করে নিতে হবে।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে চাইলে আপনার একটি গুণ প্রয়োজন হবে সেটি হলো দ্রুত টাইপ এর সক্ষমতা।
আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং করতে চাইল আপনাকে অবশ্যই একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।
যা হতে পারে আপনার হাতে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। এর মধ্যে যে কোন একটি ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দুর্দান্ত মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় এ আমাদের এই ওয়েবসাইটে একটি জনপ্রিয় আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। চাইলে পড়ে নিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে সব চেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হলো ফ্রিল্যান্সার। আপনি যদি ফ্রিল্যান্স ডট কমে একটি একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্যাটাগরি বাছাই করে কাজ শুরু করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো, ফটো, ভিডিও ব্যবহার করে কোন তথ্য জনসাধারণ এর কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি বড় মাধ্যম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।
আপনার যদি ফটো আর্ট, এডিটিং এর দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি এই বিষয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করতে চান? তাহলে আপনার অবশ্যই একটি ভালো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।
লোগো ডিজাইন
বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেস আছে। সেই সকল মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি লোগো ডিজাইন করার কাজ পেয়ে যাবেন।
যেমন- আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি সাইটে। আপনি এখানে জনপ্রিয় লোগো ডিজাইন করে ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যে কোন ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে লোগো ডিজাইন এর কাজ অর্ডার নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারলে। প্রচুর টাকা উপার্জন করে নিতে পারবে।
ভিডিও এডিটর
কোন নির্দিষ্ট ভিডিও বা কয়েকটি ভিডিও এক সাথৈ যুক্ত করে একটি ভিডিও তৈরি করে এডিট করাকে ভিডিও এডিটিং বলে।
ভিডিও এডিটিং করার অনেক চাহিদা অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে। আমরা জানি ইউটিউবে এবং ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও আপলোড করে লোকেরা টাকা আয় করে।
আপনি যদি অনলাইনে পণ্য প্রচার করার জন্য ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনার অবশ্যই ভিডিও এডিটিং করার প্রয়োজন পড়বে।
ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনলাইনে অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের ভিডিও এডিট করার কাজ পেয়ে যাবেন।
ট্রানসলেশন
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক কাজ আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হলো ট্রান্সলেশন।
ট্রান্সলেশন করার জন্যে ২ টি ভাষা জানা প্রয়োজন। তার মধ্যে একটি হলো যে ভাষায় সে ট্রান্সলেশন করবে অন্যটি হলো যে ভাষা থেকে ট্রান্সলেট করতে হবে।
আপনি যদি ট্রান্সলেশন করে আয় করতে চান তাহলে আপনি নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে করতে পারবনে।
উক্ত কাজ গুলো ছাড়া আরো শত শত কাজ আছে। সেই সকল কাজ আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে করার সুযোগ পাবেন।
আরো পুড়নঃ
- ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি আর কিভাবে করবেন। চলুন কিছু তথ্য জেনে নেই
- মার্কেটপ্লেস ছাড়াই অনলাইনে আয় করুন [ফ্রিল্যান্সিং]
- ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যৎ কী?
- অনলাইন ইনকাম এর জন্য যে ১০টি বিষয় জানা জরুরী
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, এতক্ষণ আমাদের পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনি উক্ত আলোচনা থেকে যে কোন একটি কাজ বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
তবে, শেষ আলাচনায় বলে রাখি আপনি ফ্রিল্যান্স এ সফল হতে চাইলে অবশ্যই যে কোন একটি বিষয় নিয়ে সঠিক কোর্স করে নিবেন। তারপরে ফ্রিল্যান্সিং করাজ করার জন্য মাঠে নামবেন।
আমাদের আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এবং একটি আপনার বন্ধদের কাছে একটি শেয়ার দেবেন। ধন্যবাদ।